হযরত মুহাম্মাদ (সা.) কেন ফেরেস্তাদের অন্তর্ভুক্ত নন?
হযরত মুহাম্মাদ (সা.) কেন ফেরেস্তাদের অন্তর্ভুক্ত নন?
মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিন পবিত্র কোরআন মাজিদের সুরা আনআমের ৯ আয়াতে মুশরিকদের অজুহাত ও প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন
➡️ রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন:
«اَصدَقُ القَولِ وَ اَبلَغُ المَوعِظَةِ وَ اَحسَنُ القَصَصِ، کِتابُ اللهِ»
অর্থাৎ «কোরআন হলো (একমাত্র) চিরন্তন ও শাশ্বত সত্যবাণী, সবচেয়ে বলিষ্ঠ (ও সেরা) উপদেশবাণী এবং সেরা (শিক্ষণীয়) কাহিনী ও ঘটনা-সম্বলিত গ্রন্থ।» (সূত্র: আমালী, শেইখ সাদুক, পৃষ্ঠা ৩৯৪)
পবিত্র কোরআনের সুরা আনআমের ৯নং আয়াতে কাফিরদের অজুহাত/বাহানা ও অহেতুক প্রশ্ন যে রাসূলুল্লাহ কেন ফেরেস্তা নন এগুলো জবাব দিয়েছেন। আল্লাহ তাদের জবাবে বলেন: «যদি আমি এমনটি করতাম অর্থাৎ মুহাম্মাদ (সা.)-কে ফেরেশতা হিসেবে নাযিল করতাম তবে তাদের উপর আযাব ও বালা-মুসিবত নাযিল হতো এবং তারা ধ্বংস হয়ে যেত।» আযাব নাজিল হওয়ার কারণ হলো: অদৃশ্য যদি দৃশ্যমান হত তাহলে কেউ সামান্য ভূল করলে আসমানি আযাব নাজিল হত আর সব কিছু ধ্বংস হয়ে যেত।
পরবর্তী আয়াতে আল্লাহ তায়ালা কিয়ামত-দিবসের কথা উল্লেখ করে বলেন: আল্লাহ-ই আসমানসমূহ ও জমিনের একমাত্র অধিপতি এবং তিনি তার বান্দাদের উপর রহমত নাযিল করেছেন এবং বিভিন্ন বিষয়ের জ্ঞান দান করেছেন।
পরের আয়াতে আল্লাহরই মালিকানার কথা উল্লেখ করে বলেন, আসমানসমূহ ও জমিন ছাড়াও এর বাইরে যা কিছু রাতে ও দিনে স্থিত হয় আল্লাহই হচ্ছেন সব কিছুর মালিক।
পরবর্তী আয়াতে আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। আল্লাহ বলেন: «বলুন, আমি যদি আমার প্রতিপালকের অবাধ্যতা হই, তবে নিশ্চয়ই আমি ভয় করি মহাদিবসের আযাবকে।»
অতঃপর আল্লাহ তায়ালা তার রহমত ও এই রহমতের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন: «যে ব্যক্তি কিয়ামতের দিন আল্লাহর এই আযাব থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারবে, সে-ই আল্লাহর রহমত প্রাপ্ত হবে।»
এরপর মহান আল্লাহ মূর্তিপুজার নিন্দা করে বলেন: কেন তোমরা অল্লাহর সাথে শিরক করো? অনিষ্ট থেকে রক্ষা পেতে আর মঙ্গলের আশায় কেন স্বহস্তে তৈরিকৃত খোদার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করো? আর তোমাদের উপর কোনো অনিষ্ট/ক্ষতি অবতীর্ণ হলে কেবল আল্লাহ-ই তো তোমাদেরকে তা থেকে রক্ষা করেন।
মিডিয়া মিহির/কুরআন/মোঃ হোসাইন কাদীর গাজী