৮টি আরব-ইসলামী দেশের যৌথ প্রতিক্রিয়া: ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনা “সুরক্ষা, শান্তি ও পুনর্গঠনের ভিত্তি”
রাসেল আহমেদ | প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

মিডিয়া মিহির: তুরস্ক, জর্ডান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, সৌদি আরব এবং মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা যৌথভাবে ট্রাম্পের ২০ দফার গাজার যুদ্ধ পরিসমাপ্তির প্রস্তাবের প্রতি তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
আরবী আল-জাদিদ জানিয়েছে, নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের প্রাঙ্গণে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতের পর এই ৮টি দেশ যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গে সমঝোতা চূড়ান্ত করা এবং বাস্তবায়নে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। এছাড়া আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার গুরুত্বের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এই ব্যাপক সমঝোতা গাজায় মানবিক সহায়তা অব্যাহতভাবে পৌঁছানো, ফিলিস্তিনিদের স্থানচ্যুতি রোধ এবং সকল পক্ষের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করবে।
এতে ইসরায়েলের সম্পূর্ণ গাজা থেকে প্রত্যাহার, গাজার পুনর্গঠন এবং দুই-রাষ্ট্র সমাধানের ভিত্তিতে ন্যায্য শান্তি প্রক্রিয়া তৈরি করার কথা বলা হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় গাজা ও পশ্চিম তীরের একীকরণ নিশ্চিত করবে।
তবে বিবৃতিটি এমন সময় এসেছে যখন ট্রাম্পের প্রস্তাব কেবল ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি এবং প্রতিরোধ শক্তির অস্ত্র ধ্বংস ও সুড়ঙ্গ ধ্বংসের জন্য সময়সীমা ও নিশ্চয়তা দেয়, কিন্তু গাজার পুনর্গঠন, ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি এবং মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর স্পষ্ট বাস্তবায়ন পরিকল্পনা বা সময়সূচি উল্লেখ করেনি।
প্রস্তাবে সকল ইসরায়েলি বন্দির অবিলম্বে মুক্তি এবং ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ শক্তির অস্ত্র ধ্বংসের দাবি করা হয়েছে। তবে গাজার পুনর্গঠন সংক্রান্ত অর্থায়ন, পর্যবেক্ষক বিশেষজ্ঞদের পরিচয় এবং সময়সূচি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি।
এছাড়া প্রস্তাবে স্বায়ত্তশাসিত ফিলিস্তিনি সরকারের হাতে শাসন হস্তান্তরের কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই, এবং জোর দিয়ে বলা হয়েছে যে হামাস ভবিষ্যতে গাজার সরকারের কোনো ক্ষমতা পাবেনা। যদিও প্রস্তাবে ইসরায়েলের গাজা থেকে প্রত্যাহারের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে, তবে প্রত্যাহারের সুনির্দিষ্ট ভৌগোলিক সীমা এবং ধাপে ধাপে বাস্তবায়নের রূপরেখা ও সময়সূচি উল্লেখ করা হয়নি।



