আল্লামা নায়িনী (রহ.) : জীবনদর্শনের প্রজ্ঞা ও রাজনৈতিক চিন্তার দীপ্ত জ্যোতি
ডক্টর মুহাম্মাদ ফারুক হুসাইন। প্রকাশ: ২৩ অক্টোবর ২০২৫
আল্লামা নায়িনী: জীবনদর্শনের প্রজ্ঞা ও রাজনৈতিক চিন্তার দীপ্ত জ্যোতি
একটি গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষাতে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী আল্লামা মির্জা মুহাম্মদ হোসেন নায়িনীকে নাজাফের প্রাচীন ধর্মীয় শিক্ষাকেন্দ্রের এক উজ্জ্বল আলোকস্তম্ভ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, “আল্লামা নায়িনীর ব্যক্তিত্বের অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল তাঁর চিন্তাশীলতা ও শৃঙ্খলাবদ্ধ জ্ঞানচর্চা, বিশেষত উসুলে ফিকহ (ফিকহের মূলনীতি) শাস্ত্রে তাঁর গঠনমূলক অবদান ও বিপুল সংখ্যক নবপ্রবর্তন।”
তিনি আরও বলেন, প্রজ্ঞাবান শিষ্যদের গড়ে তোলা ছিল তাঁর আরেকটি অনন্য কৃতিত্ব। তবে যা তাঁকে অন্যান্য মুজতাহিদদের মধ্যে ব্যতিক্রমী করে তুলেছে, তা হলো রাজনৈতিক চিন্তায় তাঁর গভীরতা, যা প্রতিফলিত হয়েছে তাঁর কালজয়ী গ্রন্থ “তানবিহুল উম্মাহ ওয়া তানযিহুল মিল্লাহ”–এ।
আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী ব্যাখ্যা করেন, আল্লামা নায়িনীর রাজনৈতিক দর্শনের মূল ভিত্তি ছিল ইসলামী শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষা, যা স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে এক বলিষ্ঠ অবস্থান। তাঁর মতে, শাসনব্যবস্থা ও তার সকল দায়িত্বশীল ব্যক্তিকে জনগণের তত্ত্বাবধান ও জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত একটি প্রতিনিধি পরিষদ, যার আইনসমূহের বৈধতা নির্ধারিত হবে প্রখ্যাত ধর্মীয় পণ্ডিতদের অনুমোদনের ভিত্তিতে।
আধুনিক ভাষায়, আল্লামা নায়িনীর এই কাঠামোই আজকের “ইসলামী প্রজাতন্ত্র” ধারণার ভিত্তি। আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী বলেন, “আল্লামা নায়িনী ও তাঁর সমসাময়িক আলেমরা যে ‘মশরুতাহ’ আন্দোলনকে সমর্থন করেছিলেন, তা ছিল ন্যায়ভিত্তিক শাসন প্রতিষ্ঠা ও স্বৈরতন্ত্রের অবসানের জন্য। এটি ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন এক প্রয়াস, যা ব্রিটিশদের প্রভাবিত তথাকথিত ‘মশরুতাহ’ আন্দোলনের বিপরীত, যে আন্দোলনের পরিণতিতে শেখ ফজলুল্লাহ নূরীর মতো আলেমকে ফাঁসিতে ঝুলতে হয়েছিল।”
এই সাক্ষাতে আয়াতুল্লাহ আ’রাফি, হাওযা ইলমিয়ার পরিচালক, আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন ও কার্যক্রমের বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেন, যা আল্লামা নায়িনীর স্মৃতিকে সম্মান জানাতে আয়োজন করা হয়েছে।
এই অনুবাদে আমরা পেয়েছি এক মনীষীর চিন্তাজগতের গভীরতা, যার প্রভাব আজও ইসলামী রাষ্ট্রচিন্তায় অনুরণিত।
আল্লামা নায়িনীর জ্ঞানতত্ত্ব ও চিন্তার দীপ্তি — আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ীর শ্রদ্ধাঞ্জলি
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন, সালাম ও দরুদ প্রেরিত হোক আমাদের নবী মুহাম্মাদ (সা.) ও তাঁর পবিত্র আহলে বাইতের প্রতি, বিশেষভাবে সেই মহামানবের প্রতি যিনি পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধি।
হাওযায়ে ইলমিয়ায়ে কোমের এই সম্মাননা অনুষ্ঠান নিঃসন্দেহে এক প্রশংসনীয় উদ্যোগ, যার অভাব দীর্ঘদিন ধরে অনুভূত হয়েছে। আল্লামা নায়িনী এক সময় নাজাফের আকাশে চিন্তা ও জ্ঞানের দীপ্তি ছড়িয়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু সময়ের প্রবাহে তাঁর নাম ও অবদান যেন ধীরে ধীরে বিস্মৃতির আড়ালে চলে যায়। যদিও কোমের অনেক আলেম তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা রেখেছেন, তাঁর শিষ্যরা ছিলেন নিজ নিজ যুগের মুজতাহিদ, তবুও তাঁর ব্যক্তিত্বের পূর্ণতা নিয়ে আলোচনা ছিল সীমিত। আজকের এই আয়োজনের মাধ্যমে তাঁর বহুমাত্রিক অবদান নতুনভাবে উদ্ভাসিত হবে বলে আশা করা যায়।
আল্লামা নায়িনী ছিলেন নাজাফের প্রাচীন ধর্মীয় শিক্ষাকেন্দ্রের এক উজ্জ্বল স্তম্ভ, যে কেন্দ্রের ইতিহাস হাজার বছরেরও বেশি পুরনো। এই দীর্ঘ ইতিহাসে কখনো তা ছিল জ্ঞানতত্ত্বের প্রাণকেন্দ্র, আবার কখনো নিস্তব্ধ। তবে বিগত দুই শতাব্দীতে, বিশেষ করে আল্লামা বাহরুল উলুম ও কাশিফুল গিতার মতো মনীষীদের সময় থেকে, নাজাফে নতুন প্রাণের সঞ্চার ঘটে। এই ধারায় জন্ম নেন শেখ আনসারি, সাহেব-উল-জাওয়াহের, আখুন্দ খোরাসানি—এবং তাঁদেরই উত্তরসূরী হিসেবে আবির্ভূত হন আল্লামা নায়িনী।
আল্লামা নায়িনীর বিশেষত্ব ছিল ফিকহ ও اصول الفقه-এ শৃঙ্খলাবদ্ধ চিন্তার ভিত্তিতে নতুন কাঠামো নির্মাণ। তিনি প্রতিটি বিষয়কে এমনভাবে উপস্থাপন করতেন—যেন তা এক সুসংগঠিত চিন্তার স্রোত, যেখানে প্রতিটি যুক্তি পূর্বসূত্রে বাঁধা। তাঁর লেখনী ও বক্তৃতায় এই বিন্যাস ও স্পষ্টতা এতটাই প্রখর ছিল যে, তা পূর্ববর্তী আলেমদের রচনায় বিরল। তাঁর পাঠে এমন এক আকর্ষণ ছিল যে, নজাফে তাঁর পাঠশালা ছিল সর্বোচ্চ মানের, যেখানে আরব ছাত্ররাও ফারসি ভাষায় পাঠ গ্রহণ করতেন—শুধু তাঁর স্পষ্ট ও গভীর ব্যাখ্যার জন্য।
তিনি ছিলেন নবপ্রবর্তনের এক উজ্জ্বল প্রতীক—শেখ আনসারির মতবাদের ব্যাখ্যা থেকে শুরু করে নিজস্ব মৌলিক চিন্তা পর্যন্ত, তাঁর অবদান ছিল বিপুল ও গভীর।
আরেকটি অনন্য বৈশিষ্ট্য ছিল শিষ্য গঠনে তাঁর দক্ষতা। তাঁর হাতে গড়া শিষ্যরা ছিলেন নিজ নিজ যুগের আলেম ও মুজতাহিদ—যেমন আয়াতুল্লাহ খুই, আয়াতুল্লাহ হাকিম, সাইয়্যেদ আবদুল হাদি, মির্জা বাকের, শেখ হুসাইন হিল্লি, মির্জা হাসান বজনুর্দি প্রমুখ। তাঁদের অনেকেই পরবর্তীতে নজাফের মর্জায়ে তাকলিদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন।
এই বিশাল সংখ্যক প্রজ্ঞাবান শিষ্য তাঁর জ্ঞানতত্ত্বের গভীরতা ও শিক্ষাদানের ক্ষমতার সাক্ষ্য বহন করে। আল্লামা নায়িনীর এই অবদান শুধু তাঁর সময়েই নয়, আজও ইসলামী চিন্তায় অনুরণিত।
আল্লামা নায়িনীর রাজনৈতিক চিন্তায় ইসলামী শাসন, নেতৃত্ব ও জনগণের তত্ত্বাবধান
প্রথমত, আল্লামা নায়িনীর রাজনৈতিক দর্শনের মূল ভিত্তি হলো ইসলামী শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার বিশ্বাস। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, একটি ইসলামী সরকার গঠিত হওয়া উচিত—এটি নিছক একটি মত নয়, বরং একটি সুসংগঠিত চিন্তা। যদিও তিনি শাসনব্যবস্থার নির্দিষ্ট কাঠামো নির্ধারণ করেননি, তাঁর গ্রন্থ “তানবিহুল উম্মাহ”–তে এই বিশ্বাসের সুস্পষ্ট ঘোষণা রয়েছে।
দ্বিতীয়ত, এই ইসলামী শাসনব্যবস্থার কেন্দ্রবিন্দু হলো “বেলায়েত” বা নেতৃত্ব। আল্লামা নায়িনী এই শাসনব্যবস্থাকে অভিহিত করেন “হুকুমতে বেলায়েতিয়্যাহ”—যা স্বৈরতান্ত্রিক মালিকানার বিপরীতে একটি আধ্যাত্মিক নেতৃত্বভিত্তিক সরকার। তাঁর মতে, ইসলামী শাসনের প্রকৃত রূপ ও অন্তর্নিহিত শক্তি হলো বেলায়েত, যা জনগণের কল্যাণে পরিচালিত এক ন্যায়ভিত্তিক নেতৃত্বের প্রতীক।
তৃতীয়ত, তাঁর রাজনৈতিক চিন্তার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হলো “জাতীয় তত্ত্বাবধান”। তিনি বিশ্বাস করেন, শাসনব্যবস্থা ও তার সকল দায়িত্বশীল ব্যক্তিকে জনগণের নজরদারির আওতায় থাকতে হবে। এই তত্ত্বাবধানের জন্য প্রয়োজন “মজলিসে মাবউসান”—একটি আইনপ্রণেতা পরিষদ, যা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়। এই পরিষদ আইন প্রণয়ন করবে, কিন্তু সেই আইন ততক্ষণ পর্যন্ত বৈধ নয়, যতক্ষণ না তা প্রখ্যাত ধর্মীয় পণ্ডিতদের অনুমোদন লাভ করে। এই কাঠামো আজকের “শুরায়ে নেগাহবান” বা গার্ডিয়ান কাউন্সিল-এর ধারণার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।
আল্লামা নায়িনীর এই চিন্তাধারা একদিকে যেমন ইসলামী নেতৃত্বের নৈতিক ভিত্তি তুলে ধরে, অন্যদিকে জনগণের অংশগ্রহণ ও জবাবদিহিতার গুরুত্বও প্রতিষ্ঠা করে। তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি ছিল সময়ের চেয়ে অনেক অগ্রসর, যা আজও ইসলামী রাষ্ট্রচিন্তায় প্রাসঙ্গিক ও প্রভাবশালী।
আল্লামা নায়িনীর জ্ঞান, দর্শন ও আত্মিক উচ্চতায় এক অনন্য আলোকবর্তিকা
আমরা আজও আল্লামা নায়িনীর সেই মহান গ্রন্থ “তানবিহুল উম্মাহ” পাঠ করি, শিক্ষা নিই, পাঠ দিই—তবু তাঁর ফিকহভিত্তিক মৌলিক চিন্তাগুলোকে যথাযথ গুরুত্ব দিই না। অথচ তিনি ছিলেন এমন একজন চিন্তাবিদ, যিনি আলোচনার গভীরতায় হারান না, বরং ফিকহের মূলভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে যুক্তি ও প্রমাণের মাধ্যমে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক মতবাদ তুলে ধরেছেন। তাঁর প্রতিটি বক্তব্যে থাকে ধর্মীয় উৎসের দিকনির্দেশনা এবং সমাজের বাস্তবতা—যেমনটা একজন প্রকৃত ফকীহের চিন্তায় থাকে।
এই দৃষ্টিভঙ্গি তাঁকে আমাদের আলেমদের মধ্যে এক ব্যতিক্রমী ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছে। এমনকি আখুন্দ খোরাসানি–এর মতো মনীষীও তাঁর গ্রন্থে প্রশংসাসূচক মন্তব্য লিখেছেন, যা তাঁর চিন্তার গভীরতা ও গ্রহণযোগ্যতার সাক্ষ্য বহন করে।
তবে দুঃখজনকভাবে, এই গ্রন্থ একসময় সংগ্রহ থেকে সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করা হয়। আমাদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী, আল্লামা নায়িনী নিজেই বিভিন্ন জায়গা থেকে বইটি সংগ্রহ করে প্রকাশ থেকে বিরত রাখেন। কেউ যদি মনে করে, তিনি মত পরিবর্তন করে বইটি প্রত্যাহার করেন—তবে তা অত্যন্ত সরল ও অযৌক্তিক ধারণা। কারণ, একজন শক্তিশালী ফকীহ তাঁর মত পরিবর্তন করলেও, গ্রন্থ প্রত্যাহার করেন না।
আসলে, নাজাফে যে “মাশরুতাহ” আন্দোলন আলেমদের সমর্থন পেয়েছিল, তা ছিল ন্যায়ভিত্তিক শাসন ও স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে সংগ্রাম। কিন্তু ইংরেজদের প্রভাবিত “মাশরুতাহ” আন্দোলন ছিল ভিন্ন, যার পরিণতিতে শেখ ফজলুল্লাহ নূরীর ফাঁসি, সাইয়্যেদ আবদুল্লাহ বেহবাহানীর হত্যাকাণ্ড, এবং সত্তার খান ও বাকের খানের দমন ঘটে। এই বাস্তবতা নাজাফে পৌঁছালে, আলেমরা তাঁদের সমর্থন নিয়ে পুনর্বিবেচনায় যান। আল্লামা নায়িনীও বুঝতে পারেন, তাঁর গ্রন্থ অপ্রত্যাশিত রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে সমর্থন করছে, যা তাঁর মূল আদর্শের পরিপন্থী।
তিনি ছিলেন এক অসাধারণ ফকীহ, আধ্যাত্মিক সাধক, এবং দর্শনের জগতে অভিজ্ঞ। তাঁর সম্পর্ক ছিল মোল্লা হোসাইন কুলি হামাদানি, মোল্লা ফতেহ আলি, জাহাঙ্গীর খান–এর মতো মনীষীদের সঙ্গে। এমনকি তিনি ফিলোসফি ও আধ্যাত্মিক জ্ঞানেও পারদর্শী ছিলেন। তাঁর তাহাজ্জুদ ও রাতের ইবাদত ছিল গভীর, হৃদয়স্পর্শী—যা তাঁর জামাতা আকানজফি–এর বর্ণনায় উঠে এসেছে।
এই আত্মিক সাধনা ও চিন্তার গভীরতা তাঁকে সঠিক পথের সন্ধান দিয়েছে, এবং সেই পথে অটলভাবে চলার শক্তিও দিয়েছে।
আজকের এই সম্মেলন—হোক তা কোমে, নাজাফে, বা মাশহাদে—একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। বিশেষত মাশহাদে, যেখানে আকাজাদেহ–এর কারণে আখুন্দ খোরাসানীর চিন্তা বেশি প্রচলিত ছিল, সেখানে মির্জা মাহদি ইসফাহানী–এর আগমনে আল্লামা নায়িনীর চিন্তা নতুনভাবে আলোচিত হয়। পরবর্তীতে আয়াতুল্লাহ মিলানি তাঁর চিন্তাকে মাশহাদে পুনরুজ্জীবিত করেন।
এই সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা আশা করি, আল্লামা নায়িনীর জ্ঞানতত্ত্ব, রাজনৈতিক দর্শন ও আত্মিক সাধনার পূর্ণতা নতুনভাবে উদ্ভাসিত হবে।
والسلام علیکم و رحمةالله و برکاته
১. এই সাক্ষাতের শুরুতে হুজ্জাতুল ইসলাম ও মুসলিমীন আলীরেজা আ’রাফি, যিনি ইরানের ধর্মীয় শিক্ষাকেন্দ্রগুলোর পরিচালক, তিনি সম্মেলনের কার্যক্রম ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
২. আয়াতুল্লাহ শেখ মুহাম্মদ হাসান নাজাফি — বিখ্যাত গ্রন্থ “জাওয়াহিরুল কালাম”–এর প্রণেতা, যিনি ইসলামী ফিকহে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
৩. আয়াতুল্লাহ মোল্লা মুহাম্মদ কাযিম খোরাসানি — যিনি “আখুন্দ খোরাসানি” নামে সুপরিচিত, ছিলেন উসুলে ফিকহের একজন শ্রেষ্ঠ চিন্তাবিদ ও রাজনৈতিক চিন্তায় অগ্রণী।
৪. আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আবুল কাসেম খুই — বিশ শতকের অন্যতম প্রভাবশালী মুজতাহিদ, যিনি বহু শিষ্য ও অনুসারী রেখে গেছেন।
৫. আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ মোহসেন হাকিম — ইসলামী জ্ঞানের ক্ষেত্রে এক উজ্জ্বল নাম, যিনি বহু বছর ধরে মর্জায়ে তাকলিদ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
৬. আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আবদুল হাদি শিরাজি — ছিলেন নাজাফের একজন প্রখ্যাত আলেম ও চিন্তাবিদ, যিনি ধর্মীয় নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
৭. “পস্ত” — একটি ফারসি শব্দ, যার অর্থ তুচ্ছ, মূল্যহীন বা অত্যন্ত দুর্বল।
৮. আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ জাওয়াদ হোসেইনি খামেনেয়ী — আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ীর পিতা, যিনি নিজেও একজন বিশিষ্ট আলেম ছিলেন এবং ধর্মীয় জ্ঞানে গভীর প্রভাব রেখেছেন।



