ইতিহাস

ঈদের রঙিন পোষাক

আজ ঈদ মদিনার ঘরে ঘরে আনন্দ। দিকে দিকে রঙিন ঝলমলে বাহারি পোষাকে শিশু-কিশোরের সমাহারে চমকিত। তখন ইমাম হাসান ও ইমাম হুসাইন (আঃ) নবীজির কাছে গিয়ে বললেন, নানাজান! আজ ঈদ, ঘরে ঘরে আনন্দের হিল্লোল বইছে। দিকে দিকে শিশু যুবক ও বৃদ্ধরা ঈদ আনন্দ করছে, নতুন রঙিন পোষাক পড়ছে। হে আমাদের প্রিয় নানাজান! আজ আমরা কি নতুন রঙিন পোশাকে ঈদের সাজে সজ্জিত হবো না? সকলের সাথে ঈদ উদযাপন করবো না? কিন্তু আমাদের যে নতুন রঙিন পোষাক নেই। তাই তো আমরা আপনার কাছে এসেছি, আপনি আমাদের ঈদের সালামী হিসেবে নতুন রঙিন পোষাক দিন।

নবীজি তাদের কথা শুনে ব্যথিত হলেন এই ভেবে যে, তাঁদের ঈদ উদযাপনের উপযোগী কোন পোষাক নবীজির কাছে নেই। এমনি পরিস্থিতিতে হযরত জিবরাইল (আঃ) দু’টি শুভ্র রঙের পোষাক নবীজির হাতে তুলে দিলেন। নবীজি হাসানাইনদ্বয়কে ডেকে বললেন এই নাও তোমাদের নতুন পোষাক। হাসানাইনদ্বয় বললেন এতো শুভ্র পোষাক! আমরা তো রঙিন পোষাক চেয়েছিলাম। তাদের কথাশুনে নবী পাক (সাঃ) কিছুক্ষণের জন্য কিংকর্তব্য বিমুড় হলেন। পরক্ষণেই হযরত জিবরাইল এসে নবীজিকে বললেন ইয়া রাসূলুল্লাহ আপনি ভাববেন না। যিনি এই পোষাকগুলো পাঠিয়েছেন তিনি চাইলেই তা রঙিন করে দিতে পারেন।

এরপর নবীজি (সাঃ) হযরত জিবরাইলের সাহায্যে পোষাকগুলো পানিতে ভিজালেন। প্রথমে ইমাম হাসান (আঃ)-এর কাছে পরে ইমাম হুসাইন (আঃ)-এর কাছে জানতে চাইলেন কে কোন রঙের পোষাক চান। ইমাম হাসান (আঃ) চাইলেন সবুজ রঙের পোষাক। আর ইমাম হুসাইন (আঃ) চাইলেন রক্তিম লাল রঙের পোষাক। নবী কারীম (সাঃ) ইমাম হাসান (আঃ) কে সবুজ রঙের আর ইমাম হুসাইন (আঃ) কে রক্তিম লাল রঙের পোষাক ঈদের উপহার হিসেবে প্রদান করলেন –যা আল্লাহর পক্ষ থেকে হযরত জিবরাইল (আঃ) নিয়ে এসেছিলেন। ইমাম হাসান ও ইমাম হুসাইন (আঃ) সেই পোষাক পরিধান করে খুশিতে ঈদ আনন্দে বেড়িয়ে পরলেন।

মিডিয়া মিহির/তামান্না ইসলাম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button