১৫ শা’বানের মহিমান্বিত রজনী শবে বরাত ও ইমাম মাহদীর ( আ.) শুভ জন্মদিবস উপলক্ষে সবাইকে তাবরীক, অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা: পর্ব-১
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
১৫ শা’বানের মহিমান্বিত রজনী শবে বরাত ও ইমাম মাহদীর ( আ.) শুভ জন্মদিবস উপলক্ষে সবাইকে তাবরীক, অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা
পনেরো শা’বানের রাত অত্যন্ত মুবারক রজনী (শব); হযরত ইমাম জাফার আস-সাদিক্ব (আ.) থেকে বর্ণিত হয়েছে: ইমাম মুহাম্মদ আল-বাক্বিরকে (আ.) পনেরো শা’বান রাতের ফযীলত, মর্তবা ও মর্যাদা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি (আ.) বললেন: কদরের রাতের পরে সবচেয়ে উত্তম ও শ্রেষ্ঠ রজনী হচ্ছে এ রজনী (পনেরো শা’বানের রাত)।
এ রাতে মহান আল্লাহ বান্দাদের ওপর স্বীয় ফযল (কৃপা ও করুণা) বর্ষণ এবং স্বীয় করুণা ও বদান্যতা দিয়ে তাদেরকে ক্ষমা করেন। অত:পর মহান আল্লাহর নৈকট্য ও কুরবাত্ লাভের উদ্দেশ্যে এ রাতে তোমরা সবাই সা’ই,কোশিশ, তালাশ ও চেষ্টা করবে। আর এ রাত হচ্ছে এমন এক রাত যে রাতে মহান আল্লাহ স্বীয় পবিত্র সত্তার কসম ও শপথ করে বলেছেন যে তিনি তাঁর দরগাহে কোনো সায়েল অর্থাৎ প্রার্থনাকারীকে খালি হাতে ফিরিয়ে দিবেন না সে পর্যন্ত যে পর্যন্ত সে পাপাচারে লিপ্ত না হয়; আর এ রাত হচ্ছে সেই রাত যাতে কদরের রাতে মহান আল্লাহ হযরত রাসূলুল্লাহর (সা.) জন্য যা নির্ধারণ করেছেন সেটার অনুরূপ আমাদের অর্থাৎ হযরত রাসূলুল্লাহর (সা.) আহলুল বাইতের (আ.) জন্য নির্ধারিত করেছেন।
অতএব মহান আল্লাহর কাছে তোমরা দু’আ ও তাঁর হামদা ও সানা (প্রশংসা ও স্তুতি) করবে এ রাতে। আর এ রাতের সবচেয়ে বড় বরকত, ফযীলত ও রহমত হচ্ছে ২৫৫ হিজরীতে সামার্রা নগরীতে হযরত সুলতান-ই আসর (যুগের সুলতান) ইমাম-ই যামান (যুগের ইমাম) হযরত মুহাম্মদ ইবনুল হাসান ইবনে আলী ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে আলী ইবনে মূসা ইবনে জাফার ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে আলী ইবনুল হুসাইন ইবনে আলী ইবনে আবী তালিব আল-মাহদী (হিদায়াতপ্রাপ্ত) আল-হুজ্জাত্ (প্রামাণিক দলীল) আল-মওঊদ (প্রতিশ্রুত) আল-মুন্আযারের (আ.) শুভ জন্মগ্রহণ যা আসলে মুবারক এ রজনীর অশেষ ফযীলত ও মর্যাদার কারণ হয়েছে। (দ্রঃ মাফাতীহুল জিনান,পৃ:২৯৭)।
পর্ব ১ সমাপ্ত
- বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ, গবেষক ও লেখক
- মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান