রমজান মাসে পবিত্র কুরআনের একটি আয়াত তিলাওয়াতের সওয়াব
আখেরি নবী হিসেবে হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর নবুয়ত ঘোষনার মাধ্যমে কুরআন নাযিলের যুগের সূচনা হয়। আর এটি ছিল পবিত্র রমজান মাসের দিবসগুলোতে।
ইমাম রেজা (আ.) হাদীসে রমজান মাসে কুরআন তিলাওয়াতের সওয়াবের কথা উল্লেখ করে বলেন,
«مَنْ قَرَأَ فِی شَهْرِ رَمَضَانَ آیَهً مِنْ کِتَابِ اللَّهِ عَزَّ وَ جَلَّ کَانَ کَمَنْ خَتَمَ الْقُرْآنَ فِی غَیْرِهِ مِنَ الشُّهُور»؛
“যে ব্যক্তি রমজান মাসে আল্লাহর পবিত্র কিতাবের একটি আয়াত তিলাওয়াত করে, সে যেন অন্য মাসে সম্পূর্ণ কুরআন খতম করেছে।” (বিহারুল আনওয়ার, খণ্ড ৯৩, পৃষ্ঠা ৩৪১)
আরো একটি রেওয়ায়েতে বর্ণিত হয়েছে যে, ইমাম রেজা (আ.) প্রতি তিন দিনে একবার সম্পূর্ণ কুরআন খতম করতেন এবং বলতেন: “যদি আমি চাইতাম, তাহলে তিন দিনের কম সময়ে পবিত্র কুরআন খতম করতে পারতাম, কিন্তু আমি তা করিনি। কারণ, আমি তিলাওয়াতের সময় প্রতিটি আয়াত সম্পর্কে চিন্তা করতাম যে এই আয়াত কোন বিষয়ের ওপর এবং কোন সময়ে নাযিল হয়েছে। তাই প্রত্যেক এক খতমে আমার তিন দিন সময় লেগে যেত।”(বিহারুল আনওয়ার, খণ্ড ৪৯, পৃষ্ঠা ৯০)
নিঃসন্দেহে নবীর বংশধরদের (আহলুল বাইত) নির্দেশনা অনুয়ায়ী ধমীয় বিভিন্ন বিষয়ে আমল করলে, আমরাও তাদের মতো করে নিজেদেরকে গড়ে তুলতে পারব। তারা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ পথপ্রদর্শক হিসেবে তাদের সকল অনুসারীদের অবস্থা সম্পর্কে অবগত আছেন। আমাদেরও উচিৎ তাঁদের জীবনের প্রত্যেকটা বিষয় সেটা যদি অনেক ছোটও তার পরেও গুরুত্বসহকারে সেটি আমাদের জীবনে আমল করা।
মিডিয়া মিহির/কুরআন/আশরা ওয়াসিম