ইরানের সেনাপ্রধানের হুঁশিয়ারি: যেকোনো আগ্রাসনে সেনাবাহিনী ও আইআরজিসি’র ঐক্যবদ্ধ পাল্টা জবাব
রাসেল আহমেদ | প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

মিডিয়া মিহির: ইরানের সেনাপ্রধান সতর্ক করে বলেছেন, ইরানের বিরুদ্ধে যেকোনো আগ্রাসনের জবাবে সেনাবাহিনী ও ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) যৌথভাবে দ্রুত ও শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া জানাবে। তিনি আরও বলেছেন, ইরানের ওপর পুনরায় হামলা হলে তা কঠোর ও অনুতাপজনক জবাবের মুখোমুখি হবে।
পবিত্র প্রতিরক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)-এর কমান্ডার মেজর জেনারেল মোহাম্মদ পাকপূর ইরানের সেনা সদর দপ্তরে যান এবং ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল আমির হাতামির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাতে মেজর জেনারেল হাতামি বলেন, “ইসলামি বিপ্লবের বিজয়ের পর ইরানি জাতি ‘স্বাধীনতা, মুক্তি ও ইসলামি প্রজাতন্ত্র’– এই বৈধ দাবিকে তাদের প্রধান লক্ষ্য হিসেবে স্থির করে—যা আজও শপথ নেওয়া শত্রুদের বিরাগভাজন।”
তিনি সেনাবাহিনী ও আইআরজিসি-এর কৌশলগত অংশীদারিত্ব, সংহতি ও ঐক্যকে জাতীয় নিরাপত্তার দৃঢ় স্তম্ভ আখ্যা দিয়ে বলেন, “ইরানি সেনাবাহিনী ও আইআরজিসি-এর বিদ্যমান ঐক্য ও সমন্বয় জাতীয় নিরাপত্তার মজবুত ভিত্তি এবং নিরাপত্তা ও শক্তি অর্জনের মূল চাবিকাঠি।”
তিনি আরও যোগ করেন, “এই ঐক্য আমাদের দেশকে শত্রুর ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত ও ফিতনা থেকে রক্ষাকারী লৌহকবচ হিসেবে কাজ করছে।”
মেজর জেনারেল হাতামি স্মরণ করিয়ে দেন, “পবিত্র প্রতিরক্ষা যুগ এবং তার পরবর্তী সময়েও আমরা জাতীয় সংহতি ও জনগণের সমর্থনের মাধ্যমে শত্রুর বহু ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করেছি। এমনকি সাম্প্রতিক ১২ দিনের আরোপিত যুদ্ধেও শত্রুর দাবির সামনে দৃঢ় অবস্থান নিয়ে আমরা আবারও প্রমাণ করেছি যে জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে কখনো আপস করা হবে না।”
শত্রুদের উদ্দেশে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “ইরানি জাতির শত্রুরা জেনে রাখুক, সামান্যতম আগ্রাসনেরও জবাবে সেনাবাহিনী ও আইআরজিসি ঐক্যবদ্ধ, দ্রুত, বুদ্ধিদীপ্ত ও শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া জানাবে। আর যদি তারা একই ভুল পুনরায় করে, তবে এবার তাদের জন্য জবাব হবে কঠোর ও অনুতাপজনক।”
অন্যদিকে, মেজর জেনারেল মোহাম্মদ পাকপূর সাম্প্রতিক ১২ দিনের আরোপিত যুদ্ধে জাতীয় ঐক্যের প্রশংসা করেন এবং তা ইসলামি বিপ্লবের শুরুর দিনগুলো ও আট বছরের পবিত্র প্রতিরক্ষা যুদ্ধের সঙ্গে তুলনা করেন।
তিনি বলেন, “যুদ্ধের শুরুতে ঊর্ধ্বতন কমান্ডারদের ক্ষয়ক্ষতি সত্ত্বেও সর্বোচ্চ নেতার বিচক্ষণ নেতৃত্ব যুদ্ধ পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।”
মেজর জেনারেল পাকপূর আরও উল্লেখ করেন যে, সশস্ত্র বাহিনী জনগণের সঙ্গে একসাথে থেকে শত্রুর মোকাবিলা করেছে এবং অবশেষে শত্রু ও তাদের মিত্রদের যুদ্ধবিরতির জন্য বাধ্য করেছে। তিনি এই সংকটময় সময়ে ইরানি জাতির অনন্য সংহতির প্রশংসা করেন এবং জনগণের ধৈর্য ও ত্যাগের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।