ধর্ম ও বিশ্বাস

“খ্রিস্টধর্মের বড় ধরনের বিচ্যুতি”

“আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’য়ালা পবিত্র কুরআনের সূরা নিসার ১৭১-১৭৫ আয়াত খ্রিস্টানদের দ্বারা প্রচারিত হযরত ঈসা (আঃ)-এর সম্পর্কে জঘন্য ঐশ্বরিকতার দাবী দ্যার্থহীনভাবে অস্বীকার করেছেন এবং বলেছেন যে, যারা এই বিশ্বাস প্রচার করে তাদের আল্লাহর নিকট জবাবদিহি করতে হবে।”

ইমাম আলী (আ.) বলেছেন:

ما جالَسَ هذَاالقُرآنَ اَحَدٌ الّا قامَ عَنهُ بِزِیادَةٍ اَو نُقصانِ؛ زِیادَةٍ فی هُدًی اَو نُفصانِ مِن عَمًی

“যে ব্যক্তি এই ঐশীগ্রন্থ আল-কুরআনের সান্নিধ্যে অর্জন করেছে সে অবশ্যই অধিক সংখ্যক নিয়েই দাঁড়াতে পারবে —হয় তা হিদায়াতের (সঠিক পথের) প্রচুর্যতা নিয়ে অথবা অধিক (ভ্রষ্টতা) অন্ধত্ব নিয়ে।”

“আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’য়ালা পবিত্র কুরআনের সূরা নিসার ১৭১-১৭৫ আয়াত হযরত ঈসা (আ.)-এর কথা বলা হয়েছে, কিভাবে ইয়াহুদীরা আল্লাহর নবী হযরত ঈসা (আঃ) কে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং তাঁর পবিত্র মাতা হযরত মারিয়াম-এর নামে মিথ্যা অপবাদ রটিয়েছে, সেখানে তা স্পষ্ট বর্ণনা করা হয়েছে।”

অন্যদিকে, খ্রিস্টানরা চরম বিপরীত দিকে চলে গিয়ে হযরত ঈসা (আ.)-কে ঈশ্বরের মর্যাদা পর্যন্ত উন্নীত করেছে।

আল্লাহ খ্রিস্টানদের সতর্ক করেছেন যে, তারা যেন বাড়াবাড়ি না করে। কারণ তিনি (মসীহ) ছিলেন আল্লাহর বান্দা ও প্রেরিত রাসূল।

হযরত ঈসা (আ.) হযরত মারিয়াম (আ.)-এর পুত্র, এর বেশি কিছু নন। মসীহ (ঈসা) আল্লাহর প্রেরিত রাসূল বৈ আল্লাহর পুত্র বা প্রতিনিধি নন।

“হযরত ঈসা (আ.)-এর ঐশ্বরিকতা প্রমাণ করতে যে যুক্তি-প্রমাণ উপস্থাপন করা হয় তা হল তাঁর পিতৃহীনতা। কিন্তু হযরত আদম (আ.)ও ছিলেন পিতৃ-মাতৃহীন। তাহলে সেই যুক্তি অনুসারে হযরত আদম (আঃ) তো ঈশ্বর হওয়ার অধিক হকদার।”

“আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’য়ালা বলেন, মসীহ নিজেই তোমাদের এই উপাধিগুলোকে ঘৃণা করেন এবং তিনি কখনও আল্লাহর আদেশ অমান্য করেননি। তিনি উপাসক, উপাস্য নন। তিনি সৃষ্ট, কিন্তু স্রষ্টা নন। তিনি মাখলুক  কিন্তু খালেক নন।

পরিশেষে আল্লাহ বলেছেন, যারা এমন বিশ্বাস পোষণ করে তাদেরকে পরকালে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। যারা তাওহীদের বিরুদ্ধে কথা বলে তারা কঠোর শাস্তির মুখোমুখী হবে আর মুমিনরা তাদের পুরস্কার পাবে।

মিডিয়া মিহির | ধর্ম ও বিশ্বাস

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button