ঘুম এবং মৃত্যুর মধ্যে পার্থক্য
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’য়ালা তাঁর কুরআন মাজিদে সূরা আল-আন’আমের ৬০ নং আয়াতে নিদ্রা এবং রুহ দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া এবং পুনরায় ফিরে আসার বিষয়ে উল্লেখ করেছেন।
وَهُوَ ٱلَّذِي يَتَوَفَّىٰكُم بِٱلَّيۡلِ وَيَعۡلَمُ مَا جَرَحۡتُم بِٱلنَّهَارِ ثُمَّ يَبۡعَثُكُمۡ فِيهِ لِيُقۡضَىٰٓ أَجَلࣱ مُّسَمࣰّىۖ ثُمَّ إِلَيۡهِ مَرۡجِعُكُمۡ ثُمَّ يُنَبِّئُكُم بِمَا كُنتُمۡ تَعۡمَلُونَ
তিনিই রাতে তোমাদের মৃত্যু ঘটান এবং দিনে তোমরা যা অর্জন কর তা তিনি জানেন। তারপর দিনে তোমাদেরকে তিনি আবার জীবিত করেন, যাতে নির্ধারিত সময় পূর্ণ করা হয়। তারপর তার দিকেই তোমাদের প্রত্যাবর্তন। তারপর তোমরা যা করতে সে সম্বন্ধে তিনি তোমাদেরকে অবহিত করবেন।
আলী (আ.) বলেছেন,
«مَنِ اتَّخَذَ قَولَ اللهَ دَلیلًا، هُدِیَ اِلَی الَّتی هِیَ اَقوَم»
“যে ব্যক্তি আল্লাহর বাণীকে পথপ্রদর্শক হিসেবে গ্রহণ করে, তাকে সর্বোত্তম পথের দিকে হিদায়াত দেওয়া হয়।”
আল্লাহ কুরআনের ১৩৫ পৃষ্ঠায় (সুরা আন’আম) ঘুমের বিষয়ে উল্লেখ করে বলেছেন, এই যে প্রতি রাতে ঘুমের মাধ্যমে রুহ আমাদের দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং ভোরবেলা পুনরায় দেহে ফিরে আসে। মুফাসসিরগণ ফজরের নামায পড়ার কারণও এই নিয়ামতের শুকরিয়া হিসাবে ব্যাখ্যা করে থাকেন। পরবর্তী আয়াতে ফেরেশতাদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যারা মানুষের জীবনকালে তাকে মৃত্যু থেকে রক্ষা করেন, যতক্ষণ না তার মৃত্যুর সময় আসে। এরপর আল্লাহ অপরাধীদের জন্য তিন ধরনের শাস্তির কথা উল্লেখ করেছেনঃ প্রথমত, আসমানী শাস্তি! দ্বিতীয়ত, পার্থিব শাস্তি এবং তৃতীয়ত, যুদ্ধ ও পারস্পরিক সংঘাতের শাস্তি।
মিডিয়া মিহির/ধর্ম ও বিশ্বাস/আশরা ওয়াসিম