পবিত্র জেরুসালেম নগরীর প্রকৃত ও বৈধ মালিকানা আসলে কাদের?
পবিত্র জেরুসালেম নগরীর প্রকৃত ও বৈধ মালিকানা আসলে কাদের?
উরসালিম (জেরুসালেম): ইতিহাস, নৃবিজ্ঞান, আইনশাস্ত্র, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ধর্ম ও নীতিশাস্ত্রের আলোকে এর প্রকৃত মালিকানা কাদের?
ইসরাইলী জবরদখলকারী ইয়াহুদীরা দাবী করে যে জেরুসালেমের ঐতিহাসিক মালিক নাকি তাঁরা। কারন, তাঁদের ধর্মের আদি পূর্বপুরুষগণের জন্মস্থান জেরুসালেমে এবং ইয়াহুদী ধর্মের অনুসারীদের আদিবাস এই অঞ্চলে। ইসরাইলী ইয়াহুদীরা জেরুসালেমের জমি দাবী করে থাকে তাঁদের ধর্মের ঐতিহাসিক বিকাশস্থলের দোহাই দিয়ে। অপরদিকে ফিলিস্তিনীরা কিন্তু ধর্মের ভিত্তিতে জেরুসালেম দাবী করেন না, দাবী করেন বংশ পরম্পরার জমির মালিকানার বলে।
তাঁদের পূর্বপুরুষগণের আমল থেকেই তাঁরা এই অঞ্চলে বসবাস করে আসছেন কিংবা কেউ কেউ জমি কিনে এই অঞ্চলে এসে বসবাস শুরু করেছেন। তাঁদের পূর্বপুরুষগণ এক যুগে ছিল প্যাগান, তার পরবর্তী যুগে ইয়াহুদী, তারও পরে খ্রিস্টান এবং অবশেষে মুসলমান। এই অঞ্চলে ধর্মান্তরিত হবার এবং মাইগ্রেশন ইমিগ্রেশনের অসংখ্য ঘটনা ঘটেছে, তাই এখানকার ডেমোগ্রাফীর পরিবর্তন ঘটেছে যুগে যুগে। জেরুসালেমের আদিবাসী কেনানীদের একদল প্রথম যুগে ছিল হযরত নূহ (আ.) এর ধর্মের অনুসারী, আরেকদল ছিল প্যাগান। আর এই অঞ্চলে পরবর্তীতে ইমিগ্রেন্ট হওয়া বণি ইসরাইল গোত্রের মানুষেরা প্রথম যুগে ছিল ইব্রানী ধর্মের অনুসারী, এবং পরবর্তী যুগে হয়েছিল ইয়াহুদী। খোদ বণি ইসরাইল নিজেও এই অঞ্চলে ইমিগ্রেন্ট হিসেবে এসেছিল। তাঁরা ছিল মূলত বাবেলী, অর্থাত বাবেল থেকে তাঁরা এই অঞ্চলে এসে বসবাস শুরু করেছিল। বাবেল থেকে কেনানে, কেনান থেকে মিশরে এবং অতঃপর মিশর থেকে পুনরায় কেনানে এসেছিল বণি ইসরাইল।

তারপর বিভিন্ন যুগে আবার কেনান থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে চলে গিয়েছিল তাঁরা। এই অঞ্চলে পরবর্তীতে হযরত ঈসা মাসীহ (আ.) এর আবির্ভাবের পর এই বণি ইসরাইলের ইয়াহুদীদের একটা বড় অংশ খ্রিস্টান হয়ে যায়। বাকি কেউ কেউ ইয়াহুদী থেকে যায়। এছাড়াও সেখানে অইয়াহুদী বিভিন্ন গোষ্ঠীর বসবাসও ছিল। এরপর ইসলামের আবির্ভাব ঘটলে বণি ইসরাইলের ইয়াহুদী এবং বণি ইসরাইলের খ্রিস্টানদের অধিকাংশই মুসলমান হয়ে যান। সেই যুগে মেজরিটি মুসলিম সহ কিছু খ্রিস্টান এবং ইয়াহুদীরা সেখানে বসবাস করত। তাঁরা সবাই ছিল সেখানকার ভূমিপুত্র। ধর্মের ভিত্তিতে ভূমিপুত্র নয়, বরং বংশ পরম্পরায় জমির মালিকানা বলে ভূমিপুত্র। পরবর্তী নানা যুগে সেখানকার জমি অন্যান্য সকল এলাকার মতই বেচাকেনা হতো, অনেক আরব মুসলিমরা এই এলাকায় জমি কিনে বসবাস করতে এসেছে, আবার অনেক ইয়াহুদীরা এই এলাকার জমি বিক্রি করে অন্যত্র গিয়ে বসবাস শুরু করেছে।
আবার অন্য এলাকার ইয়াহুদীরাও এই এলাকায় জমি কিনে বসবাস করতে এসেছে পরবর্তীতে। এখানকার আদিবাসী কেনানী, ইমিগ্রেন্ট বণি ইসরাইল সহ অন্যান্য গোষ্ঠীগুলোও (যেই ধর্মেরই হোক না কেন) এই এলাকার জমি বিক্রি করে এই অঞ্চল ছেড়ে অনেক সময় অন্য এলাকায় চলে গিয়েছিল, আবার অন্যান্য জাতির লোকেরা যেমন আরব, তুর্কী, ইরানী, শামী, ইরাকী, মিশরী, মাগরিবীরাও অনেকে এই এলাকার জমি কিনে এখানে এসেছিল। ধর্ম পরিবর্তন, জমি কেনাবেচা বাবদ হাতবদল, মাইগ্রেশন-ইমিগ্রেশন সহ সব ধরনের ঘটনাই ঘটেছে এই অঞ্চলে। শেষমেশ জেরুসালেমে মুসলিমরাই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছিল এবং সেখানে মুসলিমদের সাথে সাথে খ্রিস্টান এবং ইয়াহুদীরাও শান্তিতে বসবাস করত। উমাইয়্যা, আব্বাসী, ফাতিমী, মামলুক, অটোমান, বিভিন্ন যুগে এই অঞ্চল বৃহত্তর মুসলিম রাষ্ট্রের অংশ ছিল; পরবর্তীতে অটোমানদের হাত থেকে বিচ্ছিন্ন হবার পরেও ফিলিস্তিন একটি মুসলিম প্রধান দেশ হিসেবে অস্তিত্বে ছিল। যদিও সেই যুগে ফিলিস্তিনে আগ্রাসন চালিয়ে তা জবরদখল করে রেখেছিল বৃটিশরা। আরেকটি বিষয় আছে এখানে, এখানকার কেনানী এবং বণি ইসরাইলরা ইসলাম, এমনকি খ্রিস্ট ধর্ম আসার অনেক আগেই এসেরিয়ান বাদশা তৃতীয় শালমান্নাসর এবং ব্যাবেলিয়ান বাদশা দ্বিতীয় নেবুকাদনাজ্জারের সময় জেরুসালেম অঞ্চল থেকে অন্যত্র চলে যায়। পুনরায় হাকামানেশিয় পার্সিয়ান বাদশা সাইরাস দ্যা গ্রেট এদের অনেককে আবার উক্ত অঞ্চলে ফিরিয়ে আনেন। তারপর গ্রিক-মেসিডোনিয়ান বাদশা আলেকজান্ডারের সময়ও অনেক বণি ইসরাইল আবার জেরুসালেম থেকে চলে যায়।

এরপর বাতলেমুসিয়ান এবং সেলুকিয়ানদের মধ্যে কয়েকবার উক্ত অঞ্চল হাতবদল হবার সময়েও অনেকে এখান থেকে অন্যত্র চলে যায়। এছাড়াও তৃতীয় এবং চতুর্থ আনতিয়োকুসের সময় এখানকার অনেক ইয়াহুদীরা যিউসিয়ান প্যাগানে কনভার্টেড হয়। তারপর একসময় রোমান বাদশা বোম্বেই এর সময়েও বণি ইসরাইলের অনেকে এখান থেকে চলে যায়। এরপর রোমান সম্রাট তিতুসের সময়ও যখন সেকেন্ড টেম্পলের পতন ঘটে তখনও বণি ইসরাইলের অনেকে এখান থেকে মাইগ্রেট করে। এরপর রোমান সম্রাট কন্সটান্টিনাইনের যুগে এবং তার পরবর্তীতে বাইযান্টাইন সম্রাট হিরাক্লিয়াস, দ্বিতীয় যাস্টিনিয়ান, তৃতীয় লিও এবং রোমানোস লিকাপিনোসের যুগেও এখানকার বণি ইসরাইলের অনেকে অন্য অঞ্চলে পাড়ি জমায়।
সুতরাং খ্রিস্ট কিংবা ইসলাম ধর্ম আসার অনেক আগে থেকেই কেনানী ও বণি ইসরাইলীয় ইয়াহুদীরা এবং সেখানকার অইয়াহুদী নাগরিকরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারনে বিভিন্ন অঞ্চলে চলে গিয়েছিল। এছাড়াও অন্যান্য অঞ্চলের অন্যান্য ধর্মের লোকেরাও বিভিন্ন সময়ে এই এলাকায় এসেছে। জেরুসালেম বাদেও পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলের সার্বিক চিত্র এটাই। মাইগ্রেশন, ইমিগ্রেশন, ধর্মান্তরিত হওয়া, অন্যান্য জাতি গোষ্ঠীর সাথে মিশে যাওয়া, নতুন জাতিসত্তায় পরিনত হওয়া, জাতিসত্তার পরিবর্তন, ইত্যাদি তো হাজার হাজার বছর ধরেই গোটা পৃথিবীর নৃতাত্ত্বিক রীতি। এভাবেই মানবজাতির বিবর্তনমূলক বিকাশ ঘটছে এবং ঘটবে। সুতরাং যেহেতু জেরুসালেমে বসবাসরত ইয়াহুদীদের একটা বড় অংশই পরবর্তী যুগে সেচ্ছায় ধর্মান্তরিত হয়ে খ্রিস্টান এবং অতঃপর মুসলমান হয়ে গিয়েছিল, কেউ কেউ আবার অন্য অঞ্চলে মাইগ্রেট করেছিল, কেউ কেউ তাঁদের জমি অন্যদের কাছে বিক্রি করেছিল, বাইরে থেকেও অন্যান্য জাতি এবং ধর্মের লোকেরা বৈধভাবে ইমিগ্রেন্ট হয়েছিল, ইত্যাদি ইত্যাদি, তাই অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল প্রতিষ্ঠার আগ পর্যন্ত জেরুসালেমে বসবাসরত ব্যক্তিরা মুসলমান হোক কিংবা খ্রিস্টান, ইয়াহুদী হোক না কেন, তাঁরা সকলেই ছিলেন সেখানকার জমির আসল মালিক এবং বৈধ নাগরিক। আর বর্তমানে যেসব ইয়াহুদীরা ইউরোপ থেকে এসে ফিলিস্তিনী ভূমি জবরদখল করেছে, তাঁদের অধিকাংশই বণি ইসরাইলী ইয়াহুদী নয় বরং এরা হচ্ছে ককেসিয় এবং বলকান অঞ্চলের কাযারিয়ান তাতার ইয়াহুদী। এরা খ্রিস্ট এবং ইসলাম ধর্মের আবির্ভাবের অনেক পর ইয়াহুদী ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল এবং বিভিন্ন সময়ে তাঁদের অঞ্চল ছেড়ে তাঁরা ইউরোপের বিভিন্ন অঞ্চলে গিয়ে জীবনযাপন করা শুরু করে।

সুতরাং ইউরোপে বসবাসরত এই কাযারিয়ান নব্য ইয়াহুদীরা কী করে শুধুমাত্র ধর্মের পরিচয়ে একটি অঞ্চলের মালিকানা দাবী করে এই অঞ্চলে এসে হাজার হাজার বছর ধরে এখানে বসবাসরত এখানকার ভূমিপুত্র নাগরিকদেরকে উচ্ছেদ করে এখানকার সমস্ত জমিজমা জবরদখল করে একটি অবৈধ রাষ্ট্র গঠন করে এখানকার মালিকানা দাবী করতে পারে?! ঐতিহাসিক ও বংশপরম্পরার মাধ্যমে কিংবা ক্রয় বিক্রয়ের ভিত্তিতে জমির মালিকানা নির্ধারণ না করে যদি কারও অনুসৃত ধর্মের জন্মস্থানের ভিত্তিতেই কোন অঞ্চলের জমির মালিকানা দাবী করা সঠিক হয়, তাহলে তো খ্রিস্টানরাও জেরুসালেমের জমির মালিকানা দাবী করতে পারে, কারন হযরত ঈসা মাসীহ (আ.) এর জন্মস্থান জেরুসালেমে।
মুসলমানরাও একই দাবী করতে পারে, কারন মুহাম্মাদ রাসূলুল্লাহ সা. {তাঁর জন্য আমার পিতা মাতা কুরবান হোক} এর পূর্বপুরুষগণের আদিবাস ছিল এই অঞ্চলে। আবার বৌদ্ধরাও তাঁদের ধর্মের জন্মস্থানের দোহাই দিয়ে গোটা ভারত দাবী করতে পারে। এছাড়াও আমারা যাঁরা বাঙ্গালী কিংবা পাকিস্তানী মুসলমান, তাঁদের বসবাসকৃত জমির মালিকানাও হিন্দুরা দাবী করতে পারবে, কারন হাজার বছর আগে এই অঞ্চলের সবাই হিন্দু ছিল এবং আমাদের পূর্বপুরুষগণ ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন। আবার ভারতের পৌত্তলিক মূর্তিপূজকরাও বলতে পারে যে মক্কার জমির মালিক তাঁরা, কারন মক্কাবাসী এক আমলে পৌত্তলিক মূর্তিপূজক ছিল। আসলে ধর্মান্তরিত হলেই কি জমিজমার মালিকানা হারিয়ে যায়, নাকি জমিজমার মালিকানা বংশগত উত্তরাধিকার সূত্রে কিংবা ক্রয় বিক্রয়ের ভিত্তিতে বর্তায়? ধর্মের পরিচয় দিয়েই কি জমির মালিকানা দাবী করা যায়, নাকি উত্তরাধিকার সূত্রে কিংবা ক্রয় করার মাধ্যমে জমির মালিকানা দাবী করতে হয়? যেখানে বণি ইসরাইলের ইয়াহুদীরাও শুধুমাত্র ধর্মের ভিত্তিতে জেরুসালেমের দাবী করতে পারে না, যেহেতু তাঁরাই পরবর্তী যুগে বিভিন্ন ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল এবং অনেকে তাঁদের জমি বিক্রি করে অন্য অঞ্চলে চলে গিয়েছিল; সেখানে অনেক পরের যুগে ধর্মান্তরিত হওয়া কাযারিয়ান ইয়াহুদীরা কিভাবে এই অঞ্চলের মালিকানা দাবী করে, যেখানে এদের পূর্বপুরুষদের কেউই এই অঞ্চলে কখনই বসবাস করে নি এবং এখানকার জমির মালিকও ছিল না একেবারেই?!
জেরুসালেম শহরের মালিকানা দাবী করতে গিয়ে আরেকটি অপযুক্তি দেখানোর চেষ্টা করে ইসরাইলের ইয়াহুদীরা। তাঁরা বলে যে যখন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র অটোমান সাম্রাজ্যের থেকে আলাদা হয় এবং বৃটিশদের আগ্রাসনের পর বৃটিশদের দখলকৃত অঞ্চলে পরিণত হয়, তখন বেশ কিছু ইয়াহুদী পরিবার ইউরোপ থেকে শরনার্থী হিসেবে ফিলিস্তিনে আসে এবং তাঁদের অনেকেই পরবর্তীতে ফিলিস্তিনের কিছু জমি ক্রয় করে এর মালিকানা লাভ করে। ফলে জমির নতুন মালিক হিসেবে তাঁরা ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছে। এই অপযুক্তির জবাবে বলা যায় যে, শরনার্থী সেই ইয়াহুদীরা গোটা ফিলিস্তিনের সকল জমি ক্রয় করে নি, বরং কিছু কিছু এলাকার অল্প কিছু জমি তাঁরা ক্রয় করেছিল।

এত অল্প জমি ক্রয় করে কীভাবে কেউ গোটা রাষ্ট্রের মালিকানা দাবী করতে পারে?! আর তাছাড়া কেউ যদি একটি রাষ্ট্রের মধ্যে অনেক বেশি পরিমাণ জমি ক্রয় করেও, তারপরও কি তাঁর অধিকার আছে গোটা সেই রাষ্ট্রের মালিকানা কিংবা এমনকি সেই রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে তাঁর মালিকানাধীন জমিটুকুকে একটি আলাদা স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে দাবী করার? কোনো রাষ্ট্রের নাগরিকরা সেই রাষ্ট্রের কোনো জমি ক্রয় করলে তাঁরা কেবল আইনগতভাবে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্দিষ্ট কিছু বৈধ কাজ করার অধিকার প্রাপ্ত হয়, সেই জমির অসীম ও পরম স্বত্বাধিকারীতে পরিণত হয় না। নাহলে যে কেউই কোনো রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে তাঁর ক্রয়কৃত দুই কাঠা জমিকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা দিয়ে বসতেই পারে! এটা করলে কি তা আইনসিদ্ধ হবে? কক্ষনই হবে না। সুতরাং, আইনশাস্ত্র, নীতি বিজ্ঞান, ধর্ম, সমাজ বিজ্ঞান সহ পৃথিবীর কোনো শাস্ত্রের আলোকেই ইসরাইলী ইয়াহুদীদের দাবী করা প্রাচীন ঐতিহাসিক আবাসস্থল, ধর্মীয় পরিচয়, নতুন করে ক্রয় করা জমি, ইত্যাদি কোনো অপযুক্তিই প্রমাণ করতে সক্ষম নয় যে ফিলিস্তিন ও জেরুসালেমের মালিকানা তাঁদের। বরং এর প্রকৃত ও বৈধ মালিক হচ্ছেন আবহমানকাল থেকে এই অঞ্চলে বৈধভাবে বসবাসরত ফিলিস্তিনীরা।
(মুহাম্মাদ আশিকুর রহমান)
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, রাজনীতি ও সমর বিষয়ক গবেষক, বিশ্লেষক ও লেখক