জীবনযাপনধর্ম ও বিশ্বাসবিশেষ সংবাদবিশ্ব

নারীর হিজাব: ব্যক্তিগত অধিকার নয়, এটি আল্লাহর নির্ধারিত বিধান

ডক্টর মুহাম্মাদ ফারুক হুসাইন। প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০২৫

মিডিয়া মিহির: অনেকেই মনে করেন হিজাব নারীর ওপর আরোপিত এক সামাজিক বা পারিবারিক বাধা। কিন্তু কুরআনের দৃষ্টিতে হিজাব কোনো ব্যক্তিগত অধিকার নয়, বরং এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত এক পবিত্র বিধান—যার মাধ্যমে নারীর মর্যাদা রক্ষা পায় এবং সে আল্লাহর আনুগত্য প্রকাশ করে। অনেকে মনে করেন, হিজাব নারীর জন্য একটি সীমাবদ্ধতা এবং তার দুর্বলতার প্রতীক। কিন্তু কুরআনের দৃষ্টিভঙ্গিতে হিজাব কোনো ব্যক্তিগত অধিকার নয়, এটি না নারীর নিজস্ব সিদ্ধান্ত, না পুরুষের অনুমতি, না পরিবারের ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল। বরং হিজাব একটি ঐশী অধিকার—আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত বিধান—যার অনুসরণ নারীর মর্যাদা রক্ষা করে এবং আল্লাহর আদেশ মানার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়।

আয়াতুল্লাহ আল-উজমা জাওয়াদি আমলি তাঁর একটি গ্রন্থে “নারীর হিজাব: এক ঐশী অধিকার” শীর্ষক আলোচনায় এই বিষয়টি তুলে ধরেছেন, যা পাঠকদের উদ্দেশে উপস্থাপন করা হলো।

‍সন্দেহ বা ভুল ধারণা:

কিছু মানুষের মনে এমন একটি ভুল ধারণা রয়েছে যে, তারা মনে করে হিজাব নারীর জন্য একটি বাধা বা সীমারেখা, যা তার পরিবার বা স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কের কারণে আরোপিত হয়েছে। তাই তারা হিজাবকে নারীর দুর্বলতা ও সীমাবদ্ধতার প্রতীক হিসেবে দেখে।

‍সঠিক ব্যাখ্যা:

এই ভুল ধারণার সমাধান এবং কুরআনের আলোকে হিজাবের প্রকৃত ব্যাখ্যা হলো—নারীকে বুঝতে হবে:

১. হিজাব শুধুমাত্র তার ব্যক্তিগত বিষয় নয়, যাতে সে বলতে পারে: “আমি আমার অধিকার ত্যাগ করেছি।”

২. হিজাব পুরুষের বিষয় নয়, যাতে সে বলতে পারে: “আমি এতে সন্তুষ্ট।”

৩. হিজাব পরিবারের বিষয় নয়, যাতে তারা সম্মতি দেয়।

হিজাব নারীর জন্য একটি আল্লাহপ্রদত্ত অধিকার।

সূত্র: নারী—জলাল ও সৌন্দর্যের দর্পণে”, পৃষ্ঠা ৪৩৭

আরও পড়ুন

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button