ইকুয়েডরের সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ইরানের জেনারেল স্টাফের
রাসেল আহমেদ | প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ইকুয়েডরের সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ইরানের জেনারেল স্টাফের, ইকুয়েডরের এই সিদ্ধান্ত গাজা ও ফিলিস্তিনে চলমান গণহত্যার মতো অপরাধে ইসরায়েলকে আরও উসকানি দিতে পারে
মিডিয়া মিহির: ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফ ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)-কে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করার ইকুয়েডরের সিদ্ধান্তকে “অবৈধ, অযৌক্তিক ও বিপজ্জনক” আখ্যা দিয়েছে।
শনিবার এক বিবৃতিতে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফ কঠোর ভাষায় ইকুয়েডরের পদক্ষেপের নিন্দা জানায়। বিবৃতিতে বলা হয়, এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন আধিপত্যবাদী শক্তি ও “ভুয়া জায়নবাদী শাসনের” স্বার্থে গৃহীত হয়েছে, যা বিশ্বে অশুভ শক্তির বিস্তার ও আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা বাড়াতে পারে।
বিবৃতিতে সতর্ক করে বলা হয়, ইকুয়েডরের এই সিদ্ধান্ত গাজা ও ফিলিস্তিনে চলমান গণহত্যার মতো অপরাধে ইসরায়েলকে আরও উসকানি দিতে পারে। সেখানে প্রশ্ন তোলা হয়—আইআরজিসি কি সন্ত্রাসী, যারা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল-সমর্থিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং ইরানের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষা করে? নাকি প্রকৃত সন্ত্রাসী তারা, যারা অন্য দেশের ভূমি দখল করে, আগ্রাসন চালায় এবং আন্তর্জাতিক আইন বারবার লঙ্ঘন করে?
ইরানের সশস্ত্র বাহিনী পুনর্ব্যক্ত করে যে তারা ফিলিস্তিনি ও লেবাননের জনগণের পাশে থাকবে, বিশেষত গাজার নিরপরাধ মানুষের অধিকার রক্ষায় দৃঢ় অবস্থান নেবে।
তারা ইকুয়েডর সরকারকে আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে আহ্বান জানায় এবং পশ্চিমা শক্তির স্বার্থে “অশুভ শক্তিকে সহযোগিতা না করার” সতর্কবার্তা দেয়।
বিবৃতির শেষাংশে জানানো হয়, ইরানের জনগণ ও এর সশস্ত্র বাহিনী, বিশেষ করে আইআরজিসি, যেকোনো ধরনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কঠোর জবাব দেবে এবং শত্রুর ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় পিছপা হবে না। কোনো হুমকি তাদের জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার সংকল্প দুর্বল করতে পারবে না।