ইসলামে কুড়িয়ে পাওয়া বস্তুর বিধান
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আল উয্মা সাইয়্যেদ আলী খামেনেয়ী (হাফি.) কুড়িয়ে পাওয়া বস্তু সম্পর্কে করণীয় কী- এ সংক্রান্ত একটি দ্বীনি মাসয়ালার জবাব দিয়েছেন।
প্রশ্ন: “যদি আমি এমন কিছু কুড়িয়ে পাই যার মূল্য আড়াই গ্রাম রূপার চেয়ে কম, তাহলে কি আমি তা নিজের কাছে রাখতে পারব?”
আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলী খামনেয়ী (হাফি.) জবাবে বলেন, “যদি কুড়িয়ে পাওয়া বস্তুর মূল্য আড়াই গ্রাম রূপার চেয়ে কম হয় এবং এর মালিক খুঁজে না পাওয়া যায়, তাহলে তা নিজের জন্য রাখা জায়েয।”
মূল্যবান বস্তু কুড়িয়ে পেলে করণীয়:
“কেউ যদি কোনো মূল্যবান বস্তু কুড়িয়ে পায়, তাহলে মালিক খুঁজে বের করা অত্যাবশ্যক (ওয়াজিব)।” তবে সরাসরি নিজে খোঁজার বাধ্যবাধকতা নেই; বরং অন্য কাউকে বিনামূল্যে বা পারিশ্রমিকের বিনিময়ে মালিকের সন্ধান করার দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে। এই খরচ বহনের দায়িত্ব কুড়িয়ে পাওয়া ব্যক্তির উপর বর্তায়।
মালিক না পাওয়া গেলে কী করবেন?
- যদি বস্তুটির মূল্য আড়াই গ্রাম রূপার চেয়ে বেশি হয় এবং মালিক পাওয়া না যায়, তাহলে ইহতিয়াতে ওয়াজিব (বাধ্যতামূলক সতর্কতা) হিসেবে এর মূল্য দরিদ্রদের মধ্যে সদকা করে দিতে হবে।
- অধিকাংশ ফকীহর (ধর্মীয় বিশেষজ্ঞ) মতে, রাস্তায় পড়ে থাকা বস্তু (যেমন টাকা, সোনা, জুতা, মোবাইল ইত্যাদি) তুলে নেওয়া মাকরুহ (অপছন্দনীয়), না তোলাই উত্তম। তবে যদি কেউ তুলে নেয়, তাহলে মালিক না পাওয়া পর্যন্ত উপরের নিয়ম অনুসরণ করতে হবে।
মিডিয়া মিহির/ধর্মী ও বিশ্বাস/রাসেল আহমেদ