ট্রাম্প যুদ্ধ বন্ধ করতে চেয়েছিলেন!
“ট্রাম্প ইসরায়েলের জন্য ইয়েমেনি শিশুদের লক্ষ্যবস্তু করেছেন” —এই কথাটি গত শনিবার রাতে ইয়েমেনের জনগণের উপর মার্কিন হামলার সমালোচনায় পশ্চিমা সামাজিক মাধ্যমে অনলাইন এ্যাকটিভিস্টদের মুখে বারবার আলোড়িত হচ্ছে। পশ্চিমা অনলাইন এ্যাকটিভিস্টরা ইয়েমেনের নিহত, আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের ছবি প্রকাশ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক পদক্ষেপকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে এবং তীর্যক ব্যাঙ্গ করে বলছে যে, “তিনিই সেই ব্যক্তি যিনি যুদ্ধ বন্ধ করার কথা বলেছিলেন।”
একজন সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারী এই প্রসঙ্গে লিখেছেন যে, যুদ্ধ বন্ধ করার ট্রাম্পের দাবি ছিল মার্কিন জনগণকে বোকা বানানোর একটি নিছক ধোঁকা। এই সামাজিক একটিভিস্ট জোর দিয়ে বলেছেন, ট্রাম্প একজন কট্টর ইহুদিবাদী। পশ্চিমা মিডিয়া কর্মীরা ওয়াশিংটনের তেল আবিবকে সমর্থনের তীব্র সমালোচনা করেছেন এবং ট্রাম্পকে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ইচ্ছা পূরণের একটি হাতিয়ার হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
গত শনিবার রাতে ট্রাম্প কমান্ড সেন্টারে উপস্থিত থেকে সরাসরি ইয়েমেনের জনগণের উপর হামলা পরিচালনা করেন। এই হামলায় এখন পর্যন্ত ৫৩ জন শহীদ ও ১০১ জন আহত হয়েছে। অনেক শিশু ও বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা পশ্চিমা এ্যাক্টিভিস্টদের চোখ এড়ায়নি। অনেক পশ্চিমা অনলাইন এ্যাকটিভিস্ট এই বিষয়টি উল্লেখ করেছেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন সেই শিশুদের বোমা মেরে হত্যা করছে, যারা ক্ষুধার সঙ্গে সংগ্রাম করে বেঁচে ছিল।
কিছু কিছু অনলাইন এ্যাকটিভিস্ট তীব্র ঝুঁকি থাকা সত্বেও ফিলিস্তিনের পক্ষে জায়নবাদী শাসনের উপর চাপ সৃষ্টির ইয়েমেনি পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে এই দেশটির প্রশংসা করেছেন। ইয়েমেন আমাদের শত্রু নয় মার্কিন মিডিয়া কর্মী ও অনলাইন এ্যাকটিভিস্টরা জোর দিয়ে বলেছেন, “ইয়েমেন আমাদের শত্রু নয়।” এই কর্মীদের একজন একটি ছবি প্রকাশ করেছেন, যাতে ইয়েমেন একদল হিংস্র হায়েনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করছে।
আপনি কাকে ভোট দেন তা গুরুত্বপূর্ণ নয়; বোমা থামবে না সোশ্যাল মিডিয়া এক্স-এ কিছু ব্যবহারকারী জোর দিয়ে বলেছেন, মার্কিনীরা যে কাউকেই ভোট দিক; এই দেশের যুদ্ধ ও রক্তপাতের নীতি অব্যাহত থাকবে। এই কাজগুলো কোনো কাজেই আসবে না অনলাইন এ্যাকটিভিস্টরা আরেকটি বিষয় উল্লেখ করেছেন যে, ইয়েমেন বারংবার প্রমাণ করেছে যে- তাদের বিরুদ্ধে এই হত্যার নীতি ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমের মাধ্যমে তাদের লক্ষ্য থেকে সরানো যাবে না। সামাজিক মাধ্যমের এই এ্যাকটিভিস্টরা হতবাক হয়েছেন যে, কীভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখনও এই বিষয়টি বুঝতে পারছে না! আমরা ইয়েমেনের পাশে আছি “আমরা সবাই ইয়েমেনি” — এই কথাটিও পশ্চিমা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীরা বারংবার পুনরাবৃত্তি করেছে।
এই এ্যাকটিভিস্টরা ফিলিস্তিনের সমর্থন এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর জন্য ইয়েমেনের প্রশংসা করেছেন এবং জোর দিয়ে বলেছেন যে, তারাও ইয়েমেনের পাশে দাঁড়িয়েছেন। একজন সামাজিক এ্যাকটিভিস্ট ইয়েমেনের জনগণের বন্দুক নাচের ভিডিও শেয়ার করে (যেখানে তারা জায়নবাদী শাসনের পতাকা মাড়িয়ে দিচ্ছে) লিখেছেন, “ইয়েমেন আবারও ঘুরে দাঁড়াবে এবং এভাবে নাচবে।”
মিডিয়া মিহির নিউজ ডেক্স/রাসেল আহমেদ