রোজা অবস্থায় ইনজেকশন বা স্যালাইন ব্যবহার করলে কি রোজা ভেঙে যায়?
এই প্রশ্নটি পবিত্র মাহে রমজান মাসে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার কার্যালয়ে উত্থাপিত হয়েছে। কার্যালয়ের শরীয়তের হুকুম-আহকাম বিষয়ক প্রতিনিধি হুজ্জাতুল ইসলাম রেজায়ি এই বিষয়ে বলেন, ”যদি ইনজেকশন বা স্যালাইন পুষ্টিদায়ক বা শক্তিবর্ধক হয় এবং শিরায় প্রয়োগ করা হয়, তাহলে সর্বোচ্চ নেতার মত হলো- এহতেয়িাতে ওয়াজিব (সতর্কতামূলক বিধান) হচ্ছে এটি ব্যবহার না করা (অর্থাৎ ব্যবহার করলে রোজা বাতিল হয়ে যাবে)”।
সর্বোচ্চ নেতা পূর্বে অন্যান্য ঔষধি বা অ-শক্তিবর্ধক ইনজেকশন সম্পর্কে বলেছেন, যদি ইনজেকশন শক্তিবর্ধক না হয় এবং ওষুধ বা এ্যানেস্থেশিয়া (অবশকরণের) জন্য হয়, তাহলে কোনো সমস্যা নেই। যদিও এ বিষয়ে অন্যান্য সকল ফকীহ একমত যে এতে কোনো সমস্যা নেই অর্থাৎ এতে রোজা ভঙ্গ হয় না।
তবে, শক্তিবর্ধক ইনজেকশন এবং স্যালাইন ব্যবহার সম্পর্কে আয়াতুল্লাহ আ’রাকি, আয়াতুল্লাহ নূরী হামাদানি এবং আয়াতুল্লাহ সিস্তানির মত হলো, এটি ব্যবহারে কোনো বাধা নেই এবং এতে রোজা ভঙ্গ হয় না। এহতিয়াত ওয়াজিব (সতর্কতামূলক বিধান) হলো, যদি এটি ব্যবহারের কোনো জরুরি প্রয়োজন না থাকে, তাহলে ব্যবহার না করা উচিত। যদি এর ব্যবহার অত্যাবশ্যক হয়, তাহলে রোজা না রাখা অবস্থায় (অর্থাৎ রাতে) ব্যবহার করতে হবে, কেননা আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ীর মতে এটি রোজা বাতিল করে; তাই পরে এর কা’যা আদায় করতে হবে।
অথবা অন্যান্য মারজা’র সাথে পরামর্শ করতে হবে। যদি কোনো মারজা বলে যে এতে কোনো সমস্যা নেই, তাহলে কা’যা আদায়েরও প্রয়োজন নেই। এই বিষয়ে যেমনটি বলা হয়েছে, আয়াতুল্লাহ সিস্তানি, আয়াতুল্লাহ নূরী হামাদানি এবং আয়াতুল্লাহ আ’রাকীর ফতোয়া হলো যে এতে কোনো সমস্যা নেই। তাই তাদের মত অনুসরণ করে শক্তিবর্ধক ইনজেকশন এবং স্যালাইন ব্যবহার করা যেতে পারে।
সূত্রঃ আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলী খামেনেয়ীর (হাফি.) দপ্তর
মিডিয়া মিহির/ধর্ম ও বিশ্বাস/রাসেল আহমেদ