
মিডিয়া মিহির: আজকের দ্রুতগামী জীবনধারায় অতিভোজ ও অপ্রয়োজনীয় ভক্ষণ সাধারণ হয়ে উঠেছে। ইসলামের আলোকে, খাদ্য গ্রহণ কেবল শরীরের চাহিদা মেটানোর জন্য নয়, বরং আত্মা ও স্বাস্থ্য রক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পয়গাম্বর একরম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলাহি) এবং আলী ইবনে আবি তালেব (আলাইহিস সালাম) আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন, কিভাবে মিতাহারীতা, সীমিততা এবং সচেতনতা খাদ্যাভ্যাসকে সুশৃঙ্খল রাখে।
পয়গাম্বর একরম (সা.) বলেছেন, المؤمن يأكل ويشبع، والكافر يطغى অর্থাৎ, একজন মুমিন তার প্রয়োজন অনুযায়ী খায়, কিন্তু অবিশ্বাসী অতিভোজ করে। মুমিন মিতাহারী, কম খাওয়া এবং মাঝে মাঝে রোজা রাখে; সে অন্যদের জীবনধারার অনুসরণ করে না।
আলী ইবনে আবি তালেব (আলাইহিস সালাম) সতর্ক করেছেন, كم من أكلة منعت أكلات অর্থাৎ, এমন কম খাবারও আছে যা অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত রাখে। এজন্য একজন মানুষকে এমনকি একটি কুঁচি খাবারের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে, কারণ তা হতে পারে তার শেষ খাবার।
পয়গাম্বর (সা.) আরও বলেছেন, المؤمن يأكل مع عائلته بقدر بطنه، والكافر يأكل سبعة بطون অর্থাৎ, একজন মুমিন এবং তার পরিবার একটি পেটের পরিমাণ খাবার খায়, কিন্তু অধর্মী বা অবিশ্বাসী সাত পেট খায়।
মুমিন অন্যের জীবনধারার প্রতি অযত্নবান; সে যেকোনো ব্যক্তির নকল করে না। খাওয়ায় সে মিতাহারী; মুখ সবসময় চিবাতে ব্যস্ত থাকে না এবং সপ্তাহের অনেক দিন রোজা রাখে।
অন্যদিকে, অধর্মী বা অনৈতিক ব্যক্তি তার প্রতিটি দিন এবং মুহূর্ত খাওয়া ও অতিভোজে ব্যয় করে। অতিভোজ কেবল শরীরকেই নয়, আত্মাকেও ভারী করে।
সুতরাং, মুমিনকে মিতাহারী পথে চলতে হবে। প্রায়শই একটি কুঁচি খাবারই যথেষ্ট।
যখন পূর্ণতা অনুভূত হয় বা প্রায় পূর্ণ হওয়া যায়, তখন ভোজন থেকে উঠে দাঁড়াতে হবে এবং বলে الحمدلله رب العالمين খাবারের স্থান ত্যাগ করতে হবে।



