ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচি স্পষ্ট করে বলেছেন, “যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত ইরান সরাসরি দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় বসবে না।”
রেড ক্রিসেন্টের নওরোজ সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের সাথে আলোচনাকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “সর্বোচ্চ চাপ ও হুমকির নীতির মুখে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান কখনোই যুক্তরাষ্ট্রের সাথে মুখোমুখি আলোচনায় বসবে না। এটি আমাদের অপরিবর্তনীয় নীতি এবং আমেরিকার সর্বোচ্চ হুমকির নীতি পরিবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই অবস্থান বহাল থাকবে।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে যেখানে প্রতিদিন নতুন অভিযোগ ও অযৌক্তিক দাবি উত্থাপন করা হচ্ছে, সেখানে সরাসরি আলোচনার কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে পরোক্ষ আলোচনার পথ উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।”
ইরানের শীর্ষ এ কূটনীতিক জাতীয় স্বার্থের প্রতি গুরুত্বারোপ করে বলেন, “আমাদের একমাত্র লক্ষ্য হলো জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এই লক্ষ্য অর্জনে আমরা কোনো ধরনের সুযোগ হাতছাড়া করব না।”
বিদেশী বিনিয়োগ বিষয়ে আরাকচি জানান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অর্থনৈতিক কূটনীতির আওতায় বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
তিনি বলেন, “বিদেশে বসবাসরত ইরানিদের নিকট থেকে বিনিয়োগে আকর্ষণ করা এই বছরের একটি প্রধান লক্ষ্য। সর্বোচ্চ নেতার বক্তব্য অনুযায়ী, শুধু বিদেশি বিনিয়োগই নয়, দেশীয় বিনিয়োগও সমান গুরুত্বপূর্ণ।”
তিনি আরও যোগ করেন, “আমরা আশা করি সরকার বিদেশে বসবাসরত ইরানিদের জন্য বিনিয়োগ ও লেনদেন সংক্রান্ত নিয়ম-কানুন সহজতর করবে, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সাক্ষাৎকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইরানের দৃঢ় অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করার পাশাপাশি কূটনৈতিক সমাধানের পথও উন্মুক্ত রেখেছেন।
মিহির মিডিয়া/মধ্যপ্রাচ্য ডেস্ক// রাসেল আহমেদ