ধর্ম ও বিশ্বাসবিশেষ সংবাদবিশ্বসংবাদ বিশ্লেষণ

ইমাম মাহদী (আ.ফা.)-এর সঙ্গে সম্পর্ক— নৈতিক উৎকর্ষ ও সমাজের দৃঢ়তার মূলভিত্তি

রাসেল আহমেদ | প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর, ২০২৫

মিডিয়া মিহির: ইরানের মাজানদারান প্রদেশে দেশটির সর্বোচ্চ নেতার প্রতিনিধি হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন মুহাম্মদ বাকের মুহাম্মাদি লায়েনি বলেছেন— ইমাম মাহদী (আ.ফা.)-এর সঙ্গে ধারাবাহিক ও আত্মিক সম্পর্ক কেবল ব্যক্তিগত নৈতিক উন্নতির ভিত্তি নয়, বরং ইসলামী সমাজের স্থিতি ও দৃঢ়তারও প্রধান স্তম্ভ।

তিনি সাড়ি শহরের আল-যাহরা (সা.আ.) বিশেষায়িত হাওযা মাদ্রাসার ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে এক নৈতিক আলোচনায় বলেন— “যদি কোনো শিক্ষক নৈতিক শিক্ষার সবচেয়ে গভীর ভিত্তি নির্ধারণ করতে চান, তবে তা নিঃসন্দেহে হবে পবিত্র ইমাম মাহদী (আ.ফা.)-এর সঙ্গে সম্পর্ক। কারণ তিনি নূরের উৎস, উদারতার কেন্দ্র ও পবিত্রতার প্রতীক। তাঁর থেকে বিচ্ছিন্নতা মানুষকে সঠিক নৈতিক পথ থেকে দূরে সরিয়ে দেয়।”

তিনি পবিত্র কুরআনের সূরা যুমারের ৬৯ নম্বর আয়াত এবং ইমাম সাদিক (আ.)-এর একটি হাদীস উদ্ধৃত করে বলেন— “ইমাম হলেন পৃথিবীর নেতা, আল্লাহর প্রতিনিধি ও তাঁর খলিফা। সমগ্র সৃষ্টিজগৎ তাঁর অস্তিত্বের সঙ্গে সম্পর্কিত ও নির্ভরশীল।”

তিনি আরও বলেন— “ইমামই সময় ও পৃথিবীর মালিক ও পরিচালক। তাঁর সঙ্গে আত্মিক সম্পর্ক নৈতিকতা সংরক্ষণ ও আত্মশুদ্ধির জন্য অপরিহার্য।”

হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন মুহাম্মদি লায়েনি বলেন— “প্রত্যেক মুমিনের অন্যতম বড় আশা হওয়া উচিত হযরত ইমাম মাহদী (আ.ফা.)-এর দরবারে হাযির হওয়ার তৌফিক লাভ ও শাহাদতের মর্যাদা অর্জন। কারণ শাহাদত এক মহান করামত, আর এর প্রতি উদাসীনতা দুর্বল ঈমানের লক্ষণ।”

হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন মুহাম্মদ বাকের মুহাম্মাদি লায়েনি

তিনি উপদেশ দেন— “আমাদের সর্বদা হযরত ওয়ালিয়ে আসর (আ.ফা.)-এর স্মরণ হৃদয়ে জাগ্রত রাখা উচিত। প্রতিটি সমাবেশ শেষে ‘السلام علیک یا صاحب الزمان’ বলে তাঁর প্রতি সালাম ও তাওয়াসসুল বজায় রাখলে, তাঁর দোয়া ও অনুগ্রহ আমাদের অন্তরে প্রবাহিত হবে।”

তিনি আরও বলেন— “ইমাম মাহদী (আ.ফা.) হচ্ছেন শত্রুর মোকাবিলায় ধৈর্য ও স্থিতির আশ্রয় এবং ইসলামী বিপ্লব ও ব্যবস্থার রক্ষাকারী শক্তি। গত চার দশকের শত্রুদের চাপ ও নিষেধাজ্ঞা তাঁর অনুগ্রহেই ব্যর্থ হয়েছে।”

শেষে তিনি সতর্ক করেন— “ইমাম মাহদী (আ.ফা.)-এর প্রতি গাফিলতি মানুষকে বিপথগামী করে ও হকের পথ থেকে দূরে সরিয়ে দেয়। তাই আল্লাহর স্মরণ, ইমামের প্রতি তাওয়াসসুল এবং আত্মিক সম্পর্ক— এগুলিই হৃদয়ের পবিত্রতা ও সত্যপথে অবিচল থাকার নিশ্চয়তা প্রদান করে।”

আরও পড়ুন

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button