ইরান–সৌদি আরব: অর্থনীতি ও নিরাপত্তা খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর ঘোষণা
রাসেল আহমেদ | প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ইরান–সৌদি আরব: অর্থনীতি ও নিরাপত্তা খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর ঘোষণা; বড় ধরনের আঞ্চলিক পরিবর্তনের আভাস!
মিডিয়া মিহির: ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান আলী লারিজানি সৌদি আরব সফরে জানিয়েছেন যে, তেহরান ও রিয়াদ অর্থনীতি এবং নিরাপত্তা খাতে আরও কাঠামোবদ্ধ ফ্রেমওয়ার্কের অধীনে সহযোগিতা বাড়াতে সম্মত হয়েছে।
আলীলারিজানি বলেন, দুই দেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। বর্তমানে অর্থনৈতিক সহযোগিতা সীমিত থাকায় বাণিজ্যের পথে থাকা প্রতিবন্ধকতা দূর করা জরুরি। পাশাপাশি পশ্চিম এশিয়ায় আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার বিষয়টিও আলোচনার অন্যতম এজেন্ডা ছিল।
তিনি আরও জানান, প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা বিশেষায়িত কমিটির মাধ্যমে অগ্রসর করা হবে, যাতে ভবিষ্যৎ উদ্যোগগুলো আরও সংগঠিত রূপ পায়।
ইসরায়েলের কাতারে সাম্প্রতিক হামলার প্রভাব নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে লারিজানি বলেন, সৌদি কর্মকর্তাদের অবস্থান আগেই পরিষ্কার ছিল, তবে “এখন তা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।” তিনি যোগ করেন, আঞ্চলিক দেশগুলো ক্রমশই ইরানের মত উপলব্ধি করছে যে, “একটি অনিয়ন্ত্রিত উপাদানই এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতার পথে প্রধান অন্তরায়।”
সৌদির প্রতিক্রিয়া
সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রী খালিদ বিন সালমান বৈঠক শেষে এক্স (X)-এ দেওয়া পোস্টে লিখেছেন, “রিয়াদে ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিব আলী লারিজানির সঙ্গে বৈঠকে আমি সৌদি–ইরান সম্পর্ক পর্যালোচনা করেছি। এছাড়া পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় ও ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছি। আঞ্চলিক পরিস্থিতির সাম্প্রতিক অগ্রগতি এবং নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় চলমান প্রচেষ্টাও আলোচনায় স্থান পেয়েছে।”

সৌদি আরবের কর্মকর্তারা এই বৈঠককে “অঞ্চলীয় সহযোগিতার জন্য নতুন অধ্যায়” হিসেবে অভিহিত করেছেন। তাদের মতে, ইরান–সৌদি সম্পর্ক জোরদার হলে অর্থনৈতিক বাণিজ্য সহজ হবে এবং নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দুই দেশ যৌথভাবে কাজ করতে পারবে।
রিয়াদের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, “আমরা এমন একটি ভবিষ্যতের দিকে এগোতে চাই যেখানে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও জনগণের কল্যাণ একসঙ্গে অগ্রাধিকার পাবে। পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতিই হবে আমাদের সহযোগিতার ভিত্তি।”