হযরত ফাতেমা মাসুমা (সা.আ.)-এর করুণায় এক কিশোরীর অলৌকিক আরোগ্য
ডক্টর মুহাম্মাদ ফারুক হুসাইন । প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মিডিয়া মিহির: প্রতিবেদনে বর্ণিত হয়েছে—রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর আহলে বাইত আল্লাহর অসীম রহমতের প্রতিচ্ছবি, যারা মানবতার জন্য মুক্তির দ্বারস্বরূপ। তাদের অফুরন্ত করামত যুগে যুগে ইতিহাসকে আলোকিত করেছে। এই নূরানী পরিবারের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হলেন হযরত ফাতেমা মাসুমা (সা. আ.), যাঁর পবিত্র দরগাহ ক্বুম নগরীতে সকল দরিদ্র-দুঃখী ও বিপন্ন মানুষের জন্য শান্তি ও প্রার্থনার কেন্দ্রস্থল। নিচে তাঁদের এক মহিমান্বিত করামতের কাহিনী উল্লেখ করা হলো।
এক তেরো বছরের কিশোরী তার পিতা-মাতার সঙ্গে ক্বুম সফরে আসে। দীর্ঘদিনের এক রোগের কারণে তার জিহ্বা বদ্ধ হয়ে যায়, ফলে সে কথা বলার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। বহু চিকিৎসকের পরামর্শ ও প্রচেষ্টা সত্ত্বেও আরোগ্যের কোনো লক্ষণ দেখা দেয়নি। যখন সব চিকিৎসা ব্যর্থ হলো, তখন তারা ভরসা রাখল হযরত মাসুমা (সা.আ.)-এর দরবারে। তাঁরা পবিত্র মাজারের পাশে রাতদিন অশ্রুসিক্ত প্রার্থনায় নিমগ্ন হলেন।
দুই রাত ধরে তারা সেই পবিত্র স্থানে অবস্থান করলেন। কিশোরীটি কান্না ও মিনতিতে আল্লাহর দরবারে নিবেদিত ছিল। হঠাৎ এক সময় হারামের সব আলো নিভে গেল। সেই অলৌকিক মুহূর্তে হযরত মাসুমা (সা.আ.) কিশোরীর প্রতি করুণাদৃষ্টি নিক্ষেপ করলেন। তখনই মেয়েটি উচ্চস্বরে চিৎকার করে উঠল, আর তার কণ্ঠস্বর সবার কানে পৌঁছল। উপস্থিত জিয়ারতকারীরা ও খাদেমরা ছুটে এলো, এমনকি কেউ কেউ তার পোশাক থেকে তাবারুক নেওয়ার চেষ্টা করল। পরে খাদেমরা তাকে ভিড় থেকে সরিয়ে নিয়ে গেলেন কাশিকখানায়।
সেখানে কিশোরীটি আবেগভরে বলল:
“যখন হারামের আলো নিভে গেল, আমি এক অভূতপূর্ব নূরের ঝলকানি দেখলাম, যা এর আগে কখনো চোখে পড়েনি। সেই মুহূর্তে আমি হযরত মাসুমা (সা.আ.)-কে প্রত্যক্ষ করলাম। তিনি স্নেহভরে আমাকে বললেন: ‘তুমি আরোগ্য লাভ করেছ, এখন তুমি কথা বলতে পারো।’ সঙ্গে সঙ্গে আমি চিৎকার করে উঠলাম এবং বুঝতে পারলাম—আমার জিহ্বার বাঁধন খুলে গেছে।”