(APEC)-এর ৩২তম অনানুষ্ঠানিক শীর্ষ সম্মেলন শেষ: তিনটি সহযোগিতা চুক্তি ও এক যৌথ বিবৃতি স্বাক্ষরিত
ডক্টর মুহাম্মাদ ফারুক হুসাইন। প্রকাশ: ১ নভেম্বর ২০২৫
দুই দিনব্যাপী আলোচনা শেষে দক্ষিণ কোরিয়ার ঐতিহাসিক শহর গিয়ংজু-তে এশিয়া–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থা (APEC)-এর ৩২তম অনানুষ্ঠানিক শীর্ষ সম্মেলন শেষ হয়েছে। অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর নেতারা বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও আঞ্চলিক প্রযুক্তিগত উন্নয়ন নিয়ে ঐক্যমত্যে পৌঁছে তিনটি সহযোগিতা চুক্তি ও একটি যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে-মিয়ং সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্যায়ের শেষে ঘোষণা করেন যে, এপেকভুক্ত দেশগুলোর নেতারা আঞ্চলিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্কিত মূল বিষয়গুলোতে একমত হয়েছেন এবং তিনটি সহযোগিতা নথি—এর মধ্যে একটি যৌথ বিবৃতিসহ—অনুমোদন করেছেন।
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এশিয়া–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বর্তমানে এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে অবস্থান করছে,” এবং এর পাশাপাশি উল্লেখ করা হয় যে “বিশ্ব বাণিজ্যব্যবস্থা এখনো বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে।”
বিবৃতিতে বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলের স্থিতিস্থাপকতা (resilience) জোরদারের প্রচেষ্টার প্রতি সমর্থন জানানো হয়েছে, যদিও সেখানে বহুপাক্ষিক সহযোগিতা (multilateralism) বা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (WTO)–এর নাম সরাসরি উল্লেখ করা হয়নি।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) বিষয়ে নতুন উদ্যোগ
এই সম্মেলনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা–সংক্রান্ত একটি নতুন উদ্যোগও গৃহীত হয়। এতে বলা হয়, এআই প্রযুক্তি আঞ্চলিক অগ্রাধিকারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে উদ্ভাবনী সমাধান দিতে সক্ষম। সদস্য দেশগুলো প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে তারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অবকাঠামোর উন্নয়ন, বিনিয়োগ বৃদ্ধি, এবং প্রতিরোধক্ষম (resilient) প্রযুক্তি পরিবেশ তৈরিতে যৌথভাবে কাজ করবে।
পরবর্তী আয়োজন চীনে
চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং সম্মেলনের সমাপনী পর্বে ঘোষণা করেন যে, চীন ২০২৬ সালের নভেম্বরে গুয়াংডং প্রদেশের শেনজেন শহরে ৩৩তম অনানুষ্ঠানিক এপেক সম্মেলনের আয়োজক হবে।
৩২তম এপেক সম্মেলন দক্ষিণ কোরিয়ার গিয়ংজু শহরে ৩১ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর (২০২৫) অনুষ্ঠিত হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার আহ্বান: কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি ও চীনের ভূমিকা
সম্মেলন শেষে সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট লি জে-মিয়ং আশা প্রকাশ করেন যে, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে কোরীয় উপদ্বীপে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে পারবেন।
তিনি একই সঙ্গে চীনের প্রতি আহ্বান জানান, উত্তর কোরিয়া–সংক্রান্ত ইস্যুতে আরও সক্রিয় ও কার্যকর ভূমিকা পালন করতে।
সূত্র: তাসনিম আন্তর্জাতিক সংবাদ বিভাগ | গিয়ংজু, দক্ষিণ কোরিয়া



