সন্তানকে নামাজের জন্য জাগিয়ে তোলার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার উপায়সমূহ
ডক্টর মুহাম্মাদ ফারুক হুসাইন। প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
মিডিয়া মিহির: শিশুকে নামাজের জন্য জাগিয়ে তোলার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো ঘুমের অভ্যাস ও অভিভাবকের আচরণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঠিক ঘুমের ব্যবস্থাপনা এবং কোমল, উৎসাহব্যঞ্জক আচরণই এই সমস্যার কার্যকর সমাধান।
নামাজ বিশেষজ্ঞ কেন্দ্রের এক পরামর্শক শিশুদের নামাজের জন্য জাগিয়ে তোলার সমস্যার সমাধানে দুটি মূলনীতি—“ঘুমের ব্যবস্থাপনা” ও “সঠিক আচরণ”—এর ওপর ভিত্তি করে বাস্তবসম্মত উপায় ব্যাখ্যা করেছেন।
প্রশ্ন: আমাদের মেয়ে কয়েক মাস হলো বালেগ হয়েছে। কিন্তু দুপুরে অনেকক্ষণ ঘুমায়, ফলে মাগরিব ও এশার নামাজের জন্য তাকে জাগাতে সমস্যা হয়। আবার ফজরের নামাজের সময়ও তাকে জাগাতে গিয়ে মাঝে মাঝে ঝগড়া হয়। কী করা উচিত?
উত্তর:
১. ঘুমের ব্যবস্থাপনা
১.দুপুরের ঘুম অল্প সময়ের হওয়া উচিত—আধা ঘণ্টা বা চল্লিশ মিনিট।
২.দীর্ঘ দুপুরের ঘুম মানুষকে অমনোযোগী করে এবং রাতের ঘুম দেরি করায়।
৩.রাতের ঘুম মধ্যরাতের আগে হওয়া জরুরি। সন্তানকে রাত দশটা বা সাড়ে দশটার মধ্যে ঘুমাতে অভ্যস্ত করতে হবে। অভিভাবকরা নিজেরাও যদি দেরি করে জাগেন, সন্তানকে বোঝানো কঠিন হয়ে যায়।
২. সঠিক আচরণ
১- সন্তানকে নামাজ পড়ানোর জন্য মারধর বা প্রতিদিন ঝগড়া করা উচিত নয়।
২- কোমলভাবে জাগাতে হবে, উৎসাহ দিতে হবে।
৩- দুপুরের ঘুমের পর ছোটখাটো প্রণোদনা—চা, কেক বা বিস্কুট—জাগার প্রেরণা বাড়ায়।
৩- ফজরের নামাজের জন্য জাগাতে হবে স্নেহপূর্ণভাবে।
৪- পুরস্কার ও উৎসাহ কার্যকর। মাঝে মাঝে উপহার দিলে সন্তান অভ্যাস গড়ে তোলে।
সারকথা: সন্তান নামাজের বিরোধী নয়, কেবল ঘুম থেকে ওঠার কষ্ট তাকে বিরক্ত করে। তাই অভ্যাস তৈরি করতে হবে। কিছুদিন নিয়মিত উৎসাহ ও পুরস্কারের মাধ্যমে সময়মতো ঘুমানো ও ওঠা অভ্যাসে পরিণত হবে।



