যে পাপ, নবীর ক্ষমাপ্রার্থনাতেও ক্ষমা হয় না
ডক্টর মুহাম্মাদ ফারুক হুসাইন। প্রকাশ: ৪ ডিসেম্বর ২০২৫
মিডিয়া মিহির: ধর্মীয় শিক্ষায় বলা হয়, এমন কিছু পাপ আছে যা নবী (সা.) সত্তর বার প্রার্থনা করলেও ক্ষমা নাও হতে পারে—আর সেই ভয়াবহ পাপ হলো মানুষকে অপমান ও হেয় করা। কারণ রক্তপাতের ক্ষত সেরে যায়, কিন্তু অপমান মানুষের আত্মা ও মর্যাদাকে আঘাত করে এবং তার ক্ষমা পাওয়া অত্যন্ত কঠিন।
এমন একটি পাপ আছে যা এমনকি নবী (সা.) যদি কারও জন্য সত্তরবারও দোয়া করেন, তবুও তা ক্ষমা নাও হতে পারে—এটি হলো অন্যকে অপমান ও হেয় করা। হযরত জয়নাব (সা.আ.) যেমন বলেছিলেন, “শাম ছিল কারবালার চেয়েও কঠিন”; কারণ কারবালায় রক্তপাত হয়েছে, কিন্তু শামে মানুষের আত্মমর্যাদা ও সম্মানকে ভেঙে চূর্ণ করা হয়েছে। এ ধরনের অপমান এমন গভীর ক্ষত সৃষ্টি করে যার ক্ষমা পাওয়া কঠিন।
অধ্যাপক আয়াতুল্লাহ্ মোহসিন ক্বারাতি এক বক্তৃতায় ‘অপমান নামের ক্ষমাহীন পাপ’ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, আমরা অনেক সময় খুব সহজে বিদ্রূপ করি ও ব্যঙ্গ করি। কিছু পাপ আছে, যেখানে আমরা বলি “হে আল্লাহ, ক্ষমা করো”—আর আল্লাহ ক্ষমা করেন। কিন্তু কিছু পাপ আছে—“বুঝলাম, ক্ষমা করো”—বললেই ক্ষমা হয় না।
যদি নবী (সা.) কারও জন্য দোয়া করেন, আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন। তবুও আল্লাহ কোরআনে বলেছেন—কিছু পাপ আছে, যেখানে নবী সত্তর বার প্রার্থনা করলেও সেই পাপ ক্ষমা করা হবে না।
কোন পাপটি এমন, যা নবীর দোয়াতেও ক্ষমা হয় না?
হযরত জয়নাব (সা.আ.)-এর কথার মতো: “শাম কারবালার থেকেও কঠিন ছিল। কারবালায় আমাদের রক্ত ঝরেছিল; শামে আমরা অপমানিত হয়েছি। তাই আমাদের কখনো কারও মর্যাদা ভঙ্গ করা উচিত নয়।



