শিশুর ব্যক্তিত্বের সম্মান ও মর্যাদাপূর্ণ প্রতিপালন
ডক্টর মুহাম্মাদ ফারুক হুসাইন। প্রকাশ: ৩ ডিসেম্বর ২০২৫
মিডিয়া মিহির: শিশুকে কোনও কাজ থেকে বিরত রাখতে হলে জোর নয়, বরং সম্মতি, ভালোবাসা ও তাদের পছন্দের মাধ্যমে বোঝানোই সর্বোত্তম পথ—এ শিক্ষাই আমরা পাই প্রিয় নবী মুহাম্মদের (সা.) এক অনন্য শিক্ষণীয় ঘটনার মাধ্যমে।
জীবনের বড় বড় শিক্ষা সবসময় শ্রেণিকক্ষের ভেতরেই নয়; বরং মানুষের দৈনন্দিন আচরণ ও ছোট ছোট ঘটনার মধ্যেই লুকিয়ে থাকে।
একদিন রাসুলুল্লাহ (সা.) মসজিদের পথে যাচ্ছিলেন। পথে তিনি দেখলেন কিছু শিশু খেলছে। শিশুরা তাঁকে ঘিরে বলল, “আপনি আমাদের উট হোন, আমরা আপনার পিঠে চড়ে খেলব।
এদিকে সাহাবীরা মসজিদে নামাজের জন্য তাঁর অপেক্ষায় ছিলেন। তাঁরা বিলাল (রা.)-কে তাঁকে খুঁজে আনতে পাঠালেন। বিলাল এলে নবী (সা.) তাঁকে বললেন, আমার বাড়িতে যাও, শিশুদের জন্য কিছু নিয়ে এসো।” বিলাল গিয়ে আটটি আখরোট পেলেন।
নবী (সা.) তখন শিশুদের বললেন, তোমরা কি তোমাদের উটটাকে এই আখরোটগুলোর বিনিময়ে বিক্রি করবে? শিশুরা আনন্দের সঙ্গে রাজি হয়ে তাঁকে ছেড়ে দিল।
এই ঘটনার শিক্ষাটি হলো—কোনও শিশুকে যদি তার প্রিয় কোনো কাজ, বিশেষ করে খেলাধুলা থেকে বিরত রাখতে হয়, তবে তা জোরজবরদস্তিতে নয়; বরং এমনভাবে করতে হবে যাতে তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজি হয়। নবী (সা.)-এর মতোই, তাদের পছন্দের কিছু দিয়ে ইতিবাচকভাবে সমাধানের পথ খুঁজতে হবে।
সূত্র: সীরাতুল নবী ও আহলুল বায়ত—পৃষ্ঠা ৮৭।



