নফসের প্রবৃত্তি ও কামনা নিয়ন্ত্রণে করণীয়
রাসেল আহমেদ | প্রকাশ: ২০ নভেম্বর, ২০২৫

মিডিয়া মিহির: কিছু মানুষের আচরণ এমন হয় যে তাঁদের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে কথা বলা কঠিন হয়ে পড়ে। আলোচনার শুরুতেই তাঁরা অল্পতেই রেগে যান এবং তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখান। আসলে এ ধরনের আচরণ তাঁদের কাছে একধরনের আবেগের বিস্ফোরণ—নিজেদের অন্তর্গত অস্থিরতা, চাপ এবং অনুভূতির ভার তাঁরা এভাবেই প্রকাশ করে থাকেন। ফলে আশপাশের মানুষও কখনও অনিচ্ছাকৃতভাবে উত্তেজিত হয়ে পড়ে এবং কটু ভাষা, তিরস্কার বা দোষারোপের মধ্যে জড়িয়ে যেতে পারে।
আল্লাহ তাআলা মানুষকে (এমনকি সকল জীবকে)— কিছু স্বাভাবিক প্রবৃত্তি ও চাহিদা প্রদান করেছেন। এর মধ্যে অন্যতম হলো কামনা ও শারীরিক আকাঙ্ক্ষা, যা বংশবিস্তার ও সৃষ্টির ধারাবাহিকতা রক্ষার এক ঐশী ব্যবস্থা।
তবে মানুষ যদি এই প্রবৃত্তিগুলোকে ইচ্ছেমতো, নিয়ন্ত্রণহীনভাবে অনুসরণ করতে থাকে, তাহলে ভেতরে চাপ, অস্থিরতা এবং নফসের টান তৈরি হয়। এই অভ্যন্তরীণ চাপই তাকে ভুল কাজে, অনৈতিক আচরণে বা পথভ্রষ্টতার দিকে ঠেলে দিতে পারে।
এই কারণেই আল্লাহ তাআলা মানুষের কল্যাণে আকাঙ্ক্ষা পূরণের হালাল, সুশৃঙ্খল ও কল্যাণকর পথ নির্ধারণ করেছেন—যেমন বিবাহ। বিবাহ মানুষের স্বাভাবিক চাহিদাকে বৈধ পথের দিকে পরিচালিত করে, ফলে নফসের চাপ কমে যায় এবং মনে প্রশান্তি আসে।
অন্যথায়, প্রবৃত্তির অতিরিক্ত টান ও দমনের চাপ মানুষকে সহজেই ভুল পথে চালিত করতে পারে এবং সঠিক জীবনযাত্রা থেকে বিচ্যুত করতে পারে।



