মির্জা জাওয়াদ আকা তেহরানির শিষ্টাচার: পরিবারের ঘুম নষ্ট না করতে রাতভর বাইরে অপেক্ষা
রাসেল আহমেদ | প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর, ২০২৫
মিডিয়া মিহির: শিষ্টাচার সবসময় উচ্চারিত শব্দে নয়; কখনও তা নীরবতা রক্ষা করা, ধৈর্য ধরা এবং অন্যের আরামের প্রতি সংবেদনশীল হওয়ার মধ্যে প্রকাশ পায়। আয়াতুল্লাহ মির্জা জাওয়াদ আকা তেহরানির জীবনে এমন নীরব শিষ্টাচারের অসংখ্য উদাহরণ আছে।
এক রাতে দেরি করে বাড়ি ফিরে তিনি বুঝতে পারেন—চাবি সঙ্গে নেই। দরজায় কড়া নাড়লেই পরিবার জেগে উঠবে; তাঁদের বিশ্রাম নষ্ট হবে। সেই একটুখানি বিবেচনার জায়গা থেকেই তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন— তাদের জাগিয়ে তুলবেন না।
রাত ছিল বেশ শীতল; কিন্তু তাঁর চরিত্রের উষ্ণতা সেই শীতকে মুছে দিয়েছিল। তিনি রাতভর গলিতে হাঁটলেন। ভোরের আজান হলে, যখন স্বাভাবিকভাবেই ঘরের মানুষ জেগে ওঠার সময়, তখন তিনি দরজায় কড়া নাড়লেন ।
এ ঘটনাটি জানার পর সন্তানের প্রশ্ন ছিল স্বাভাবিক—কেন তিনি আগে ডাকেননি? তাঁর জবাব ছিল আরও স্বাভাবিক, আরও মানবিক— “তোমরা ঘুমিয়ে ছিলে; আমি তোমাদের কষ্ট দিতে চাইনি।”
সেদিন তাঁর স্ত্রীও স্বপ্নে দেখেছিলেন—তিনি নাকি দরজার বাইরে বসে আছেন। ঘুম ভেঙে দরজা খুলতেই দেখলেন—স্বপ্ন সত্যি হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। স্বপ্নের মধ্যেও যেন তাঁর ব্যক্তিত্বের আলো ছড়িয়ে পড়েছিল।
এই ঘটনার শিক্ষা স্পষ্ট—শিষ্টাচার শুধু আচরণ নয়, এটি এক নীরব ইবাদত; যা অন্যের শান্তিকে নিজের প্রয়োজনের ওপরে স্থান দেয়।



