ধর্ম ও বিশ্বাসবিশেষ সংবাদ

ইমাম মাহদী (আ.ফা.) ‘আহলে কিতাব’-এর মধ্যে তাদের আসমানী কিতাব অনুযায়ী বিচার করবেন

রাসেল আহমেদ | প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর, ২০২৫

মিডিয়া মিহির‘আহলে কিতাবের সঙ্গে ইমাম মাহদী (আ.ফা.)-এর আচরণ’ বিষয়ে আয়াতুল্লাহ মাকারেম শিরাজী বলেছেন, ইমাম মাহদী (আ.ফা.)-এর শাসনামলে সব মানুষ মুসলিম হবে না। আহলে কিতাবের মধ্যে যারা শত্রুতা করবে না এবং ইমাম ও তাঁর শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে সংঘাতে জড়াবে না, তারা ইসলামের অধীনে বসবাস করতে পারবে।

প্রশ্ন: ইমাম মাহদী (আ.ফা.)-এর আবির্ভাবের পর আহলে কিতাবের সাথে তিনি কীভাবে আচরণ করবেন?

সংক্ষিপ্ত উত্তর: হাদীস অনুযায়ী, ইমাম মাহদী (আ.ফা.) আহলে কিতাবের মধ্যে তাদের আসমানী কিতাব অনুযায়ী বিচার করবেন। এর অর্থ হতে পারে, যারা ইসলাম গ্রহণ করেনি কিন্তু ইসলামের অধীনে রয়েছে, তাদের জন্য তাদের কিতাবের বিধান প্রয়োগ করা। অথবা এর অর্থ হতে পারে, তাদের কিতাবে ইসলাম গ্রহণ ও রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি ঈমান আনার নির্দেশনা রয়েছে, সেগুলো প্রয়োগ করা। ইমাম মাহদী (আ.ফা.) বা হযরত ঈসা (আ.)-এর কাছে থাকা ইঞ্জিলের কিছু অংশে এই নির্দেশনা রয়েছে, যা আহলে কিতাবের সামনে প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করা হবে।

বিস্তারিত উত্তর: কিছু হাদীস অনুযায়ী, ইমাম মাহদী (আ.ফা.) আহলে তাওরাতের মধ্যে তাওরাত অনুযায়ী, আহলে ইঞ্জিলের মধ্যে ইঞ্জিল অনুযায়ী এবং আহলে যাবুরের মধ্যে যাবুর অনুযায়ী বিচার করবেন। এখানে দুটি প্রশ্ন উঠে:

১. ইমাম মাহদী (আ.ফা.)-এর আবির্ভাবের পর আহলে কিতাবের কেউ অবশিষ্ট থাকবে কি?

২. আহলে কিতাবের মধ্যে তাদের কিতাব অনুযায়ী বিচার করার অর্থ কী?

প্রথম প্রশ্নের উত্তরে বলা যায়: ইমাম মাহদী (আ.ফা.)-এর শাসনামলে সব মানুষ মুসলিম হবে না। আহলে কিতাবের মধ্যে যারা শত্রুতা করবে না এবং ইমাম ও তাঁর শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে সংঘাতে জড়াবে না, তারা ইসলামের অধীনে বসবাস করতে পারবে। এই গোষ্ঠী জিজিয়া প্রদানের মাধ্যমে তাদের জীবনযাপন চালিয়ে যেতে পারে।

দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরে দুটি সম্ভাবনা রয়েছে:

১. এর অর্থ হতে পারে, ইমাম মাহদী (আ.ফা.) বা হযরত ঈসা (আ.)-এর কাছে থাকা ইঞ্জিলের কিছু অংশে ইসলাম গ্রহণ ও রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি ঈমান আনার নির্দেশনা রয়েছে, সেগুলো প্রয়োগ করা হবে।

২. এর অর্থ হতে পারে, ইমাম মাহদী (আ.ফা.) আহলে কিতাবের মধ্যে তাদের কিতাবের বিধান প্রয়োগ করবেন, যারা ইসলাম গ্রহণ করেনি কিন্তু ইসলামের অধীনে রয়েছে।

তথ্যসূত্র: (১) আলী আসগর রিজওয়ানী, “মাআ’দ শেনাসি ওয়া পাসোখ বে শোবাহাত”, মসজিদে মুকাদ্দাস জামকারান, কোম, ১৩৯০ হিজরি শামসি, সপ্তম সংস্করণ, পৃষ্ঠা ৬৪০

আরও পড়ুন

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button