ইমাম আলী (আ.)-এর হৃদয়স্পর্শী সতর্কবার্তা
ডক্টর মুহাম্মাদ ফারুক হুসাইন। প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২৫
মিডিয়া মিহির : ইমাম আলী (আ.) রাগকে “বেপরোয়া চালকের বাহন” বলে অভিহিত করেছেন—একটি আবেগ যা মানুষকে বিবেকহীন সিদ্ধান্তে ঠেলে দেয় এবং সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত করে। বসরার শাসনভার দেওয়ার সময় তিনি আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাসকে সতর্ক করে বলেন, আল্লাহর কাজে কখনো অযথা রাগ যেন না আসে, কারণ রাগের শিকড় শয়তানের মধ্যে নিহিত এবং এটি সঠিক পরিচালনার পথে বড় বাধা।
শয়তানের ফাঁদ ও নেতৃত্বের অন্তরায় — ইমাম আলী (আ.)-এর দৃষ্টিভঙ্গি
হুজ্জাতুল ইসলাম ও মুসলিমিন মোহাম্মাদ হাদি ফাল্লাহ রাগের দর্শন, প্রকৃতি এবং এর প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন।
তিনি ইমাম আলী (আ.)-এর একটি বিখ্যাত উক্তি তুলে ধরেন: “الغَضَبُ مَرکَبُ الطَّیشِ“ — অর্থাৎ, রাগ হলো বেপরোয়া চালকের বাহন।
ইমাম আলী (আ.) বোঝাতে চেয়েছেন, যে ব্যক্তি রাগের বশে তাড়াহুড়ো করে কাজ করে, সে যেন না ভাবে যে সে দ্রুত অগ্রগতির পথে এগোচ্ছে। বরং সেই রাগই তাকে থামিয়ে দেয়, পথভ্রষ্ট করে এবং সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে বাধা সৃষ্টি করে।
তিনি যখন আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাসকে বসরার শাসনভার দেন, তখন স্পষ্টভাবে সতর্ক করে বলেন: “الغَضَبَ طَیرَةٌ مِن الشیطانِ“ — অর্থাৎ, রাগ হলো শয়তানের পক্ষ থেকে আসা এক বেপরোয়া ও অজ্ঞতাপূর্ণ আচরণ।
ইমাম আলী (আ.)-এর পরামর্শ ছিল: একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি, বিশেষ করে যিনি আল্লাহর পথে কাজ করছেন, তাঁর উচিত রাগকে নিয়ন্ত্রণে রাখা। তিনি বলেন, “আমি, মুসলমানদের নেতা হিসেবে, তোমাকে উপদেশ দিচ্ছি—আল্লাহর উদ্দেশ্য ছাড়া কখনো অযথা রাগ করো না। কারণ এই রাগের শিকড় শয়তানের মধ্যে নিহিত এবং এটি নেতৃত্ব ও সঠিক পরিচালনার পথে বড় বাধা।



