স্মার্ট ও সৃজনশীল সন্তান গঠনে অভিভাবকদের জন্য পরামর্শ
ডক্টর মুহাম্মাদ ফারুক হুসাইন। প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২৫
মিডিয়া মিহির: সন্তানদের বুদ্ধিমত্তা ও সৃজনশীলতা বিকাশে অভিভাবকদের উচিত তাদের ছোটবেলা থেকেই জনসমক্ষে কথা বলা বা কবিতা আবৃত্তি করতে উৎসাহিত করা। এই অভ্যাস শিশুদের সামাজিক ও মৌখিক দক্ষতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে, যা আত্মবিশ্বাস ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
আপনার সন্তানকে উৎসাহ দিন যেন সে মানুষের সামনে কথা বলতে বা কবিতা পড়তে সাহস পায়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের সামাজিক কর্মকাণ্ড, দলগত কার্যক্রম ও গ্রুপ গেমে অংশগ্রহণ করাতে পারেন। এতে তাদের আত্মবিশ্বাস যেমন বাড়বে, তেমনি বুদ্ধিমত্তাও বিকশিত হবে।
সন্তান শুধু একটি পরিবারের নয়, একটি জাতির ভবিষ্যৎ। তাদের বুদ্ধিমত্তা ও সৃজনশীলতা বিকাশের দায়িত্ব যেমন শিক্ষকের, তেমনি অভিভাবকেরও। আধুনিক যুগে শুধু পাঠ্যবইয়ের জ্ঞান নয়, সামাজিক দক্ষতা, আত্মবিশ্বাস এবং সৃজনশীল চিন্তাভাবনার বিকাশই একজন শিশুকে সত্যিকারের মেধাবী করে তোলে। তাই অভিভাবকদের উচিত ছোটবেলা থেকেই সন্তানদের এমন পরিবেশে গড়ে তোলা, যেখানে তারা কথা বলতে, ভাব প্রকাশ করতে এবং নতুন কিছু শেখার সুযোগ পায়।
সন্তানের ভেতরের সম্ভাবনাকে জাগিয়ে তুলতে হলে প্রয়োজন সঠিক দিকনির্দেশনা, উৎসাহ এবং ভালোবাসা। জনসমক্ষে কথা বলা, কবিতা আবৃত্তি, দলগত খেলাধুলা কিংবা সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ—এই সবই শিশুর আত্মবিশ্বাস ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে সহায়ক। অভিভাবকরা যদি সচেতনভাবে এই বিষয়গুলো চর্চা করান, তবে আগামী দিনের সমাজে আমরা পাবো একদল আত্মবিশ্বাসী, মেধাবী ও মানবিক নাগরিক। সন্তান গড়ার এই যাত্রায় প্রতিটি পদক্ষেপই মূল্যবান।
সূত্র: “কিভাবে স্মার্ট ও সৃজনশীল সন্তান গড়ে তুলবেন?”, পৃষ্ঠা ৭৭



