ট্রাম্পের স্বীকারোক্তি: আফগানিস্তানে জয়ের দ্বারপ্রান্তে ছিলাম, কিন্তু মার্কিন প্রত্যাহার ছিল রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত
ডক্টর মুহাম্মাদ ফারুক হুসাইন। প্রকাশ: ৬ অক্টোবর ২০২৫
মিডিয়া মিহির: যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, আফগানিস্তানে তারা সহজেই বিজয়ী হতে পারত, কিন্তু রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়াই অগ্রাধিকার ছিল। তাঁর এই মন্তব্য এসেছে মার্কিন নৌবাহিনীর ২৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে, যেখানে ইতিহাস এবং সামরিক শক্তির সীমাবদ্ধতা নিয়ে নতুন বিতর্কের আগুন জ্বলে উঠেছে।
ভার্জিনিয়ায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, “আমরা আফগানিস্তানে সহজেই জিততে পারতাম। যেকোনো যুদ্ধ সহজেই জিততে পারতাম, কিন্তু রাজনৈতিকভাবে সঠিক পদক্ষেপ নিলাম।” তিনি আরও যোগ করেন, “এবার আমরা জিতব। আর আমরা রাজনৈতিকভাবে সঠিক পদক্ষেপ নিতে চাই না; ইতিহাসও এ ধরনের কাজ কখনো করবে না।”
ট্রাম্পের বক্তব্যে তিনি আল-কায়দার নেতা উসামা বিন লাদেনের মৃত্যুর কথাও উল্লেখ করেন: “মনে আছে উসামা বিন লাদেনকে? তাঁর মাথায় এক গুলি চলানো হয়েছিল।”
এর আগে ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন যে যুক্তরাষ্ট্র পুনরায় আফগানিস্তানের বাগরাম বিমানঘাঁটি নিয়ন্ত্রণে নিতে চায়।
তালেবানদের প্রতিক্রিয়া:
এই ঘোষণার জবাবে তালেবানের সেনা প্রধান ফসিহুলদীন ফিত্রত জানিয়েছেন, তারা আফগানিস্তানের কোনো ইঞ্চি ভূখণ্ডই বিদেশি বাহিনীকে দিতে রাজি নয়। একইসঙ্গে, তালেবানের গোয়েন্দা সহ-প্রধান তাজ মীর জোয়াদ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, তারা আত্মঘাতী হামলার কৌশল পুনরায় চালাবে।
তালেবানরা পুনরায় জোর দিয়ে জানিয়েছে যে, আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব তাদের জন্য ‘লাল রেখা’ এবং কোনো বিদেশি শক্তি দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার অধিকার রাখে না। তারা স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছে যে, যদি যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে পুনঃপ্রবেশের চেষ্টা করে, তবে কঠোর প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত হবে।
ট্রাম্পের মন্তব্য ও তালেবানের প্রতিক্রিয়া মিলিয়ে দেখা যায়, আফগানিস্তানের পরিস্থিতি এখনও অত্যন্ত সংবেদনশীল। রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, সামরিক ক্ষমতা ও জাতীয় সার্বভৌমত্বের টানাপোড়েন এখনও এই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি আনতে বড় বাধা হিসেবে রয়ে গেছে।



