যদি খাবার হারাম হয়, কারবালার পথে পদার্পণ সম্ভব নয়
ডক্টর মুহাম্মাদ ফারুক হুসাইন। প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মিডিয়া মিহির: জীবন যদি ধর্ম এবং হালাল রিজিকের পথে পরিচালিত হয়, তবে সেটিই সত্যিকারের সুখের পথ। অপরাধমূলক বা অবৈধ সম্পদ মানুষকে আল্লাহর আহ্বান গ্রহণ থেকে বঞ্চিত করে। হুসাইনের পথে যারা চলতে চায়, তাদের উচিত নিজেদের জীবিকা ও আয়-ব্যয়ের শুদ্ধতার প্রতি নজর রাখা, যাতে চিরস্থায়ী দুঃখ ও কষ্টে পতিত না হন।
السَّلامُ عَلَیْکَ یا اَبا عَبْدِاللّهِ الْحُسَیْن (علیهالسلام)
قال الامام الحسین علیه السلام : الشُّكُومُ المُمتَلِئَةُ بِالحَرَامِ تُقَسِّي القُلُوبَ وَتُصَمُّ الآذَانَ عَن سَمَاعِ الحَقِّ
ইমাম হুসাইন (আ.) বলেছেন: যে, হারাম আহারে পূর্ণ পেট হৃদয়কে পাথরের মতো কঠিন করে দেয় এবং মানুষকে সত্য ও ন্যায় বোঝার ক্ষমতা থেকে বঞ্চিত করে।
ব্যাখ্যা:
১. হারাম আহারের প্রভাব:
ইমাম হুসাইন (আ.) এখানে বোঝাচ্ছেন, যে মানুষ যদি হারাম আহার বা অবৈধ রিজিক গ্রহণ করে, তাহলে তা শুধু শারীরিক ক্ষতি নয়, বরং হৃদয় ও মনকে নৈতিকভাবে পাথরের মতো কঠিন করে দেয়। হারাম আহার মানুষকে ন্যায়, সততা ও আল্লাহর আহ্বান বোঝার ক্ষমতা থেকে বঞ্চিত করে।
২. মন ও হৃদয়ের পরিবর্তন:
হৃদয় কঠিন হওয়া মানে মানুষ আত্মসংযম, ধৈর্য ও নৈতিকতা হারায়। হারাম আহার শুধু পেট ভর্তি করে না, এটি মানুষের দৃষ্টি ও বুদ্ধি-কেও প্রভাবিত করে।
৩. সত্য শুনতে অক্ষমতা:
অর্থ কান থেকে সত্য শুনতে অক্ষম বা শুনতে না চাওয়া। হারাম আহারের ফলে মানুষ আল্লাহর আহ্বান ও ন্যায়ের বার্তা শুনতে অক্ষম হয়ে পড়ে।
আধ্যাত্মিক শিক্ষা:
১.জীবন যদি হালাল রিজিক ও ধর্মের পথে পরিচালিত হয়, তা আল্লাহর সন্তুষ্টি ও সুখের পথ।
২.হারাম আহার ও অবৈধ সম্পদ মানুষকে আলোর পথ থেকে বিচ্যুত করে এবং চিরস্থায়ী দুঃখের দিকে ধাক্কা দেয়।
৩.তাই যারা হুসাইনের পথ অনুসরণ করতে চায়, তাদের উচিত নিজের আয়-ব্যয়, জীবিকা ও খাদ্যের পবিত্রতা নিশ্চিত করা।
সারসংক্ষেপ:
হারাম আহার শুধু দৈহিক ক্ষতি নয়; এটি মানসিক ও আধ্যাত্মিক বাধা, যা মানুষকে আল্লাহর আহ্বান গ্রহণ ও ন্যায়ের পথে চলা থেকে বিরত রাখে।