জীবনযাপনবিশেষ সংবাদবিশ্বসংবাদ বিশ্লেষণস্বাস্থ্য পরামর্শ

ছোট শিশুদের ধৈর্য ও আবেগ নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধির উপায়

ডক্টর মুহাম্মাদ ফারুক হুসাইন । প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মিডিয়া মিহির:ছোট বেলায় ধৈর্য ও আবেগ নিয়ন্ত্রণ শেখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই দক্ষতাগুলো শিশুর সামাজিক অভিযোজন, শিক্ষাগত সাফল্য এবং মানসিক সুস্থতার ভিত্তি গঠন করে।

আজকের দ্রুতগতির পরিবেশে, শিশুদের সামনে ডিজিটাল গেম, সামাজিক প্রত্যাশা ও অন্যান্য উদ্দীপনার চাপ থাকে। এই পরিস্থিতিতে ধৈর্য এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণ শেখা তাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ:

১. সামাজিক ও শিক্ষাগত সাফল্য: ধৈর্য শেখা শিশুদের স্কুল ও সামাজিক জীবনে ভালো ফলাফল করতে সাহায্য করে।

২. আবেগ নিয়ন্ত্রণ: খারাপ অনুভূতি, রাগ বা হতাশার মুখোমুখি হলে শিশুকে শান্ত থাকতে শেখায়।

৩. বয়স উপযোগী শিক্ষা: ২–৬ বছর বয়সে বাবা-মা ও শিক্ষকের সাহায্যে স্ব-নিয়ন্ত্রণের প্রাথমিক দক্ষতা গড়ে ওঠে।

গবেষণায় প্রমাণিত পদ্ধতি:

১.শিশুদের জন্য লক্ষ্যভিত্তিক হস্তক্ষেপ এবং নিয়মিত অভ্যাস।

২. মার্শমেলো পরীক্ষা” থেকে জানা যায়, যারা বড় পুরস্কারের জন্য অপেক্ষা করতে পারে, তারা বড় হয়ে আত্মবিশ্বাসী ও সামাজিকভাবে অভিযোজিত হয়।

৩. দৈনন্দিন খেলাধুলা, খাবারের জন্য অপেক্ষা করা বা নিয়ম মানার অভ্যাস ধৈর্য ও আবেগ নিয়ন্ত্রণ বাড়ায়।

পিতামাতাদের জন্য টিপস:

১. শিশুকে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করার সুযোগ দিন।

২. আবেগ নিয়ন্ত্রণের জন্য ছোট ছোট চ্যালেঞ্জ তৈরি করুন।

৩. ধৈর্য ও নিয়ম মানার প্রতি ইতিবাচক প্রশংসা দিন।

৪. ডিজিটাল গেম ও অন্যান্য উদ্দীপনা সীমিত রাখুন, যাতে শিশু অভ্যস্তি শেখে।

শিশুরা এই বয়সে ধৈর্য ও আবেগ নিয়ন্ত্রণ শিখলে, ভবিষ্যতে তারা শিক্ষাগত, সামাজিক এবং মানসিকভাবে শক্তিশালী ও সফল হয়।

আরও পড়ুন 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button