ধর্ম ও বিশ্বাসকুরআন শিক্ষাজীবনযাপনবিশেষ সংবাদ
কীভাবে শিশুর সৃষ্টিশীলতা বিকশিত করবেন?
রাসেল আহমেদ | প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

কীভাবে শিশুর সৃষ্টিশীলতা বিকশিত করবেন? ইসলামি পরামর্শ কেন্দ্র “সামাহ”র কতিপয় পরামর্শ
মিডিয়া মিহির: প্রত্যেক শিশুর ভেতরেই লুকিয়ে থাকে এক সম্ভাবনাময় নায়ক—যে একটু অনুপ্রেরণা ও সুযোগ পেলে নিজের প্রতিভাকে বাস্তবে রূপ দিতে পারে। উপযুক্ত পরিবেশ, খেলাধুলা, শিল্পচর্চা ও পজিটিভ মনোভাবে সেই নায়ককে জাগিয়ে তোলাই পরিবার-পরিজনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।
শিশুর সৃষ্টিশীলতা বিকশিত করতে ইসলামি পরামর্শ কেন্দ্র “সামাহ”র কতিপয় পরামর্শ নিম্নরূপ:
১. মুক্ত ও সৃজনশীল পরিবেশ দিন
- শিশুকে দিন উন্মুক্ত এবং চাপমুক্ত পরিবেশ, যেখানে সে ভয় ছাড়া পরীক্ষা করতে এবং নতুন কিছু শিখতে পারে।
- আকর্ষণীয় কর্মকাণ্ড ও উত্তেজনাপূর্ণ খেলাধুলা শিশুর আত্মবিশ্বাস ও কল্পনাশক্তি জাগিয়ে তোলে।
২. শিল্পভিত্তিক কার্যক্রমের সুযোগ দিন
- চিত্রাঙ্কন, মাটির কাজ, খামির দিয়ে আকৃতি তৈরি করা—এগুলো শিশুর চিন্তাশক্তি ও সৃজনশীলতা বিকাশে সহায়ক।
- শিশুকে বিভিন্ন সৃজনশীল উপকরণ ও খেলনা দিয়ে কাজ করার সুযোগ দিন।
৩. শিশুর বিশেষ প্রতিভা চিহ্নিত করুন
- প্রতিটি শিশুর মধ্যে একটি বিশেষ প্রতিভা বা গুণ লুকিয়ে থাকে।
- সহানুভূতিশীল আচরণ ও উৎসাহ দিয়ে তাকে উদ্ভাবনী কাজের দিকে পরিচালিত করলে সে নিজেকে নতুনভাবে আবিষ্কার করতে পারে।
৪. শৈশবের গুরুত্ব
- শিশুর শৈশবই তার ভবিষ্যতের ভিত্তি গঠন করে।
- আত্মবিশ্বাস, কল্পনাশক্তি ও শিল্পবোধ গড়ে তোলার জন্য তাকে দিন ভালোবাসা, সময় ও সৃজনশীল পরিবেশ।
- ছোট ছোট পদক্ষেপেও গড়ে উঠতে পারে আগামী দিনের আত্মবিশ্বাসী, চিন্তাশীল ও উদ্ভাবনী নাগরিক।
সারসংক্ষেপ: শিশুর সৃষ্টিশীলতা বিকাশ করতে মুক্ত পরিবেশ, শিল্পচর্চা, খেলা, পজিটিভ অনুপ্রেরণা ও সময়ের গুরুত্বপূর্ণ অবদান অপরিহার্য। এগুলো শিশুর আত্মবিশ্বাস ও কল্পনাশক্তিকে উজ্জীবিত করে, যার ফলে সে ভবিষ্যতে চিন্তাশীল ও উদ্ভাবনী নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠে।