নারীদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি
ডক্টর মুহাম্মাদ ফারুক হুসাইন | প্রকাশ: ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাসূলুল্লাহ ﷺ আলী (আ.)-কে উদ্দেশ্য করে বলেন:
یا عَلِيُّ لَيْسَ عَلَى اَلنِّسَاءِ جُمُعَةٌ وَ لاَ جَمَاعَةٌ وَ لاَ أَذَانٌ وَ لاَ إِقَامَةٌ وَ لاَ عِيَادَةُ مَرِيضٍ وَ لاَ اِتِّبَاعُ جَنَازَةٍ وَ لاَ هَرْوَلَةٌ بَيْنَ اَلصَّفَا وَ اَلْمَرْوَةِ وَ لاَ اِسْتِلاَمُ اَلْحَجَرِ وَ لاَ حَلْقٌ وَ لاَ تَوَلِّي اَلْقَضَاءِ وَ لاَ تُسْتَشَارُ وَ لاَ تَذْبَحُ إِلاَّ عِنْدَ اَلضَّرُورَةِ وَ لاَ تَجْهَرُ بِالتَّلْبِيَةِ وَ لاَ تُقِيمُ عِنْدَ قَبْرٍ وَ لاَ تَسْمَعُ اَلْخُطْبَةَ وَ لاَ تَتَوَلَّى اَلتَّزْوِيجَ وَ لاَ تَخْرُجُ مِنْ بَيْتِ زَوْجِهَا إِلاَّ بِإِذْنِهِ فَإِنْ خَرَجَتْ بِغَيْرِ إِذْنِهِ لَعَنَهَا اَللَّهُ وَ جَبْرَئِيلُ وَ مِيكَائِيلُ وَ لاَ تُعْطِي مِنْ بَيْتِ زَوْجِهَا شَيْئاً إِلاَّ بِإِذْنِهِ وَ لاَ تَبِيتُ وَ زَوْجُهَا عَلَيْهَا سَاخِطٌ وَ إِنْ كَانَ ظَالِماً لَهَا.
“হে আলী! নারীদের ওপর জুমার নামাজ ফরজ নয়, জামাতের নামাজ তাদের জন্য ওয়াজিব নয়, আজান ও ইকামতের দায়িত্বও তাদের ওপর নেই। অসুস্থের খোঁজখবর নেওয়া তাদের ওপর ফরজে আইন নয়, জানাযার অনুসরণ করাও তাদের জন্য আবশ্যক নয়। হজের সময় সাফা-মারওয়ার মাঝে সায়ীতে দ্রুত দৌড়ানো (হারওলা) তাদের জন্য নির্ধারিত নয়, হাজরে আসওয়াদ স্পর্শ করা তাদের জন্য জরুরি নয়, মাথা মুণ্ডন (হলক) তাদের জন্য ওয়াজিব নয়। বিচারকের দায়িত্ব (কাজী হওয়া) তাদের ওপর অর্পিত হয়নি, পরামর্শদাতা হিসেবে তাদের শূরা-মহলে বাধ্যতামূলকভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। কুরবানির পশু জবাই তারা কেবল জরুরি প্রয়োজনে করতে পারে। তারা হজের তলবিয়া উচ্চস্বরে পড়বে না, কবরের পাশে অবস্থান করবে না, খুতবা শোনা তাদের জন্য আবশ্যক নয়, বিয়ের চুক্তি সম্পাদনের দায়িত্ব তাদের হাতে দেওয়া হয়নি। স্বামীর অনুমতি ছাড়া তারা স্বামীর ঘর থেকে বের হবে না; যদি তারা অনুমতি ছাড়া বের হয় তবে আল্লাহ, জিবরাইল ও মিকাইল তাদের প্রতি লা‘নত করেন। স্বামীর অনুমতি ছাড়া তারা তার ঘর থেকে কিছু দান করতে পারবে না। এবং যখন স্বামী তাদের প্রতি রাগান্বিত থাকে তখন তাদের জন্য স্বাভাবিকভাবে রাতযাপন বৈধ নয়, যদিও স্বামী তাদের প্রতি অন্যায়কারী হয়।”[1]
[1] . সূত্র: আল-খিসাল, খণ্ড ৩, পৃষ্ঠা ৫১১.