কথায় কথায় কসম করার বিষয়ে ইসলামের বিধান
পবিত্র কুরআনের ১২২তম পৃষ্ঠায় (সুরা মায়েদা) আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা দুপ্রকার কসমের (শপথ) কথা উল্লেখ করেছেন এবং প্রত্যেকটির বিধান ব্যক্ত করেছেন।
নবী (সা.) বলেছেন,
اِذَا التَبَسَت عَلَیکُمُ الفِتَنُ، کَقِطَعِ الَّیلِ المُظلِمِ فَعَلَیکُم بِالقُرآنِ
“যখন ফিতনা (বিভ্রান্তি) সমূহ অন্ধকার রাতের টুকরোগুলোর মত তোমাদেরকে আচ্ছন্ন করে (ও ঢেকে ফেলে ), তখন তোমাদের কর্তব্য হলো কুরআনকে আকড়ে ধরা।” [উসুলে কাফি, খণ্ড- ২, পৃষ্ঠা- ৪৫৯]
কুরআনের ১২২তম পৃষ্ঠার (সুরা মায়েদা) শুরুতে আহলে কিতাবের ইসলাম গ্রহণের বিষয়টি বর্ণিত হয়েছে। এই আয়াতের শানে নুযুলে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এটি হাবশার বাদশার ইসলাম গ্রহণের প্রেক্ষাপটে নাযিল হয়েছে। তিনি খ্রিস্টান ছিলেন এবং যখন জাফর ইবনে আবি তালিব ও একদল মুসলিম হাবশায় গিয়ে নবী (সা.)-এর দাওয়াতপত্র পেশ করেন, তখন তিনি কুরআনের আয়াত শুনে কেঁদে ফেলেন এবং ইসলাম গ্রহণ করেন। এই আয়াতের শানে নুযুল সম্পর্কে আরও একটি রেওয়ায়াত বর্ণিত হয়েছে। এরপর ধর্মে বিদআত প্রবর্তনকারীদের সম্বোধন করা হয়েছে, যারা ইসলাম সম্পর্কে মিথ্যা রেওয়ায়াত মানুষের কাছে বর্ণনা করে।
নবী (সা.) তাদেরকে আল্লাহর নিকৃষ্টতম সৃষ্টি বলে আখ্যায়িত করেছেন। এরপর আল্লাহ বলেছেন, মুমিনগনের উচিত নয় কোনো বিষয়ে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সা.) অগ্রনী হওয়া এবং (অবশ্যই) আল্লাহর হালালকে হালাল ও হারামকে হারাম বলেই জানা উচিত।
এরপর আল্লাহ দুপ্রকার কসম (বা শপথের) কথা উল্লেখ করেছেন: প্রথমটি হল অনর্থক কসম (শপথ), যা উদ্দেশ্যপূর্ণ নয় এবং কেবল অভ্যাসের বশে বলা হয়ে থাকে। এই ক্ষেত্রে, কসম বৈধ নয় (বা মানা বাধ্যতামূলক) এবং এর জন্য কোনো শাস্তি নেই। দ্বিতীয় প্রকার হল শরীয়ত সম্মত কসম, যা স্বেচ্ছায় ও সজ্ঞানে করা হয়। এই ক্ষেত্রে কসমকারী তার কসম পূরণ করতে বাধ্য (অন্যথায় কাফফারা দিতে হবে)।
মিডিয়া মিহির/ধর্ম ও বিশ্বাস/রাসেল আহমেদ
সম্পাদনা: ক্বারী মীর রেজা হোসাইন শহীদ