বিশ্ববিশেষ সংবাদ

গাজার ধ্বংসস্তুপে চাপা পড়েছে ১৪,২২২ মরদেহ, নিহতের সংখ্যা ৬২ হাজার

গাজার ধ্বংসস্তুপে চাপা পড়েছে ১৪,২২২ মরদেহ, নিহতের সংখ্যা ৬২ হাজার।

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনে ৬১ হাজার ৭০৯ তাজা প্রাণকে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি এখনো নিখোঁজ। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁরা আর বেঁচে নেই। এসব নিখোঁজ ব্যক্তির সংখ্যা হালনাগাদ করে মৃতদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত সরকার। হামলায় ১ লাখ ১১ হাজার ৫৮৮ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার কতৃপক্ষ।
গাজা সরকারের তথ্য বিভাগের প্রধান সালামা মারুফ এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, ইসরায়েলের হামলায় নিহত ৭৬ শতাংশ ফিলিস্তিনির মরদেহ উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে আনা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় ১৪ হাজার ২২২ ফিলিস্তিনি এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন। অথবা সেসব জায়গায় উদ্ধারকর্মীরা এখনো পৌঁছাতে পারেননি।
গাজার ধ্বংসস্তুপে চাপা পড়েছে ১৪,২২২ মরদেহ, নিহতের সংখ্যা ৬২ হাজার
আল-জাজিরার বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে মিডিয়া মিহির। গাজা সরকারের তথ্য বিভাগের প্রধান সালামা মারুফ বলেন, গাজায় প্রয়োজনীয় ভারী যন্ত্রপাতি প্রবেশের ওপর ইহুদিবাদী দখলদার ইসরায়েল সরকার নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। গাজায় ভারী যন্ত্রপাতি প্রবেশের অনুমতি না দেওয়ায় মৃতদেহ উদ্ধারে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ইসরায়েল সরকারের বিধিনিষেধের কারণে ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস গাজায় ইসরায়েলি যুদ্ধে নিহত ইসরায়েলি বন্দীদের মৃতদেহও ফেরত দিতে পারবে না।
২০২৩ সালের অক্টোবরে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি সরকারের গণহত্যার ১৫ মাসের যুদ্ধে কমপক্ষে ৬১ হাজার ৭০৯ ফিলিস্তিন জনগণ নিহত হয় এবং ১ লাখ ১১ হাজার ৬৩৩ জন আহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই শিশু এবং নারী। ১৫ জানুয়ারি ইসরায়েলি সরকার হামাসের “নির্মূল” বা বন্দীদের মুক্তিসহ তাদের কোনও যুদ্ধের লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হওয়ায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সাথে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হতে বাধ্য হয়।
আগের দিন ফিলিস্তিন সরকারি মিডিয়া অফিস সতর্ক করে দিয়েছিল যে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত “ন্যূনতম” পরিমাণ সাহায্য সরবরাহের অনুমতি না দিয়ে ইসরায়েল উপত্যকায় মানবিক পরিস্থিতি গুরুতরভাবে খারাপ করছে। গাজার সরকারি মিডিয়ার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করা সাহায্যের পরিমাণ এখনও ন্যূনতম প্রয়োজনের চেয়ে অনেক কম। আরো বলছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যস্থতাকারীদের চুক্তির মানবিক প্রোটোকল বাস্তবায়নের জন্য ইসরায়েলের উপর চাপ প্রয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছে। এটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মানবিক ট্র্যাজেডির বিষয়ে নীরব না থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত করার পরিকল্পনা ব্যর্থ করার জন্য “গাজার পুনর্গঠনের উপর একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন আহ্বান ত্বরান্বিত করার” আহ্বান জানিয়েছে তারা।
-মিডিয়া মিহির মধ্যপ্রাচ্য ডেস্ক/রাসেল আহমেদ

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button