হিজবুল্লাহ লেবানন সরকারকে সুপারিশ করেছে যেন তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি রাজনৈতিক আত্মসমর্পণের অবসান ঘটায়।
মুহাম্মাদ ফারুক হুসাইন | প্রকাশ , ২৮ আগষ্ট ২০২৫

হিজবুল্লাহ মহাসচিবের রাজনৈতিক উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের ষড়যন্ত্র নিয়ে সতর্ক করে বলেছেন যে, আমেরিকা লেবাননে অশান্তি সৃষ্টি করে এই দেশকে দখলদারদের সাথে আপসের ফাঁদে ফেলতে চাইছে। তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যেন বিদেশি চাপের কাছে আত্মসমর্পণ না করে এবং যেসব দেশ লেবাননের সার্বভৌমত্বকে হুমকি দিচ্ছে তাদের সাথে সম্পর্ক পুনর্বিবেচনা করে।
তাসনিম আন্তর্জাতিক বিভাগ জানায়, লেবাননে যুক্তরাষ্ট্রের চাপ ও অশান্তি সৃষ্টির প্রচেষ্টা এবং ওয়াশিংটনের দূতদের বারবার বৈরুত সফরের প্রেক্ষিতে, হিজবুল্লাহ মহাসচিবের রাজনৈতিক উপদেষ্টা হোসেইন আল-খলিল গতকাল এক বিবৃতিতে সতর্ক করে বলেন যে, আমেরিকা লেবাননের সেনাবাহিনীকে জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড় করাতে চক্রান্ত করছে। তিনি সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে আহ্বান জানান বিদেশি দূতদের রাজনৈতিক নির্দেশনার কাছে আত্মসমর্পণ বন্ধ করতে।
হোসেইন আল-খলিল তার বিবৃতিতে জোর দিয়ে বলেন: যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ধারাবাহিক আচরণ থেকে স্পষ্ট যে তারা লেবাননের প্রতিরোধ ও প্রতিরক্ষা উপাদানগুলো ধ্বংস করতে এবং আমাদের দেশকে এক আমেরিকান-সায়োনিস্ট উপনিবেশে রূপান্তর করতে চাইছে। তারা লেবাননকে কথিত স্বাভাবিকীকরণ ও আত্মসমর্পণের পথে ঠেলে দিতে চায়, যার পরিণতি হবে তথাকথিত “আব্রাহাম চুক্তি”।
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমেরিকা ও আঞ্চলিক পক্ষগুলো যারা লেবাননের ওপর অভিভাবকত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চায় এবং প্রকাশ্য ও গোপনে হস্তক্ষেপ করছে, তারা দুঃখজনকভাবে লেবানন সরকারকে ভুল সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করতে সফল হয়েছে। এটি পূর্ণাঙ্গ আত্মসমর্পণের দিকে প্রথম পদক্ষেপ।
হিজবুল্লাহর এই কর্মকর্তা জোর দিয়ে বলেন
আমেরিকার উদ্ধত ও অপমানজনক নির্দেশনা, যা মার্কিন প্রতিনিধিদলের সদস্যরা গণমাধ্যমে এবং লেবাননের কর্মকর্তাদের সামনে প্রকাশ করেছে, তা কেবল একটি প্রকাশ্য অস্বীকৃতি এবং সরাসরি লঙ্ঘন সেই চুক্তির, যা আমেরিকা ও ফ্রান্সের সহায়তায় অক্টোবর ২০২৪-এ স্বাক্ষরিত হয়েছিল। ওই চুক্তির প্রথম ও সবচেয়ে স্পষ্ট ধারাগুলোতে বলা হয়েছে যে ইসরায়েলের সব স্থল, নৌ ও আকাশপথের আগ্রাসন এবং দখলদারি কার্যক্রম নিঃশর্তভাবে বন্ধ করতে হবে।