সৌদি বিমান সংস্থা ইরানি হজযাত্রী পরিবহনে আগ্রহী: সহযোগিতায় নতুন অধ্যায়
সৌদি আরবের বিমানসংস্থাগুলো এবার ইরানি হজযাত্রীদের পরিবহনের দায়িত্ব পেতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। গত কয়েক দশক ধরে ইরানি হজযাত্রীদের একমাত্র ভরসা ছিল দেশটির জাতীয় সংস্থা ইরান এয়ার। তবে চলতি বছর থেকে সৌদি ফ্লাইটগুলোও এ দায়িত্ব পালনে এগিয়ে এসেছে। খবর ফার্স নিউজ।
১৯৯৮ সালে সৌদি আরবের আকস্মিক সিদ্ধান্তে স্থানীয় বিমানসংস্থাগুলো হজ কার্যক্রম থেকে বাদ পড়ে যায়। এরপর থেকে ইরানি হজযাত্রীদের পুরো দায়িত্ব বহন করে ইরান এয়ার। তবে একক সংস্থার ওপর চাপ বৃদ্ধি, বিমানঘাঁটির সীমিত ধারণক্ষমতা এবং প্রায়ই ফ্লাইট বিলম্বের মতো জটিলতা তৈরি হতো। এবার ৭ বছর পর সৌদি ফ্লাইটগুলোর অংশগ্রহণে এই চাপ উল্লেখযোগ্য হারে কমবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
হজ সংস্থার উপপ্রধান আকবর রেজাই জানান, চলতি মৌসুমে ২০% ইরানি হজযাত্রী সৌদি বিমানে যাত্রা করবেন। তেহরান ও মাশহাদ বিমানবন্দর থেকে প্রায় ১৮ হাজার তীর্থযাত্রী সৌদি ফ্লাইটে পবিত্র ভূমির উদ্দেশে রওনা হবেন। এ পদক্ষেপের ফলে হজ ফ্লাইটের বিলম্ব কমতে পারে বলেও আশাবাদী কর্তৃপক্ষ।
এই যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে ফ্লাইটের চাপ কমার পাশাপাশি সেবার মান বৃদ্ধি ও সম্পদের ন্যায্য বণ্টন সম্ভব হবে। ইতোমধ্যে ইন্দোনেশিয়া ও পাকিস্তানের মতো দেশগুলোতে এমন সহযোগিতার সফল নজির রয়েছে। পরিবহন বিশেষজ্ঞ আলী রিভন্দীর মতে, হজযাত্রীদের কাছে বিমানের জাতীয়তা নয়, বরং সেবার মান ও আরামদায়ক ভ্রমণই অগ্রাধিকার পায়।
হজ বিশেষজ্ঞ রেজা মোন্তাজেরী সতর্ক করেন, সৌদি বিমানের নির্ভুলতা নিশ্চিত করতে যৌথ সমন্বয় দল গঠন এবং ফ্লাইট তদারকি জরুরি। এছাড়া, ফ্লাইট সূচি সম্পর্কে স্বচ্ছ তথ্য দেওয়া এবং সেবার মান বজায় রাখলে হজযাত্রীদের আস্থা অর্জন সহজ হবে।
এই সহযোগিতা শুধু হজযাত্রাকে সহজই করবে না, বরং পেশাদারিত্ব ও দক্ষতা বাড়াবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। দুই দেশের মধ্যকার সমন্বিত প্রচেষ্টা হজ ব্যবস্থাপনাকে আরও গতিশীল ও সমস্যামুক্ত করতে পারে বলে প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।
মিডিয়া মিহির/বিশ্ব