শোনা—শিশুর আবেগ বোঝার নীরব ভাষা
রাসেল আহমেদ | প্রকাশ: ২রা ডিসেম্বর, ২০২৫

মিডিয়া মিহির: শিশুর আবেগগত বিকাশে শোনা এক অনন্য ও শক্তিশালী যোগাযোগপদ্ধতি। মনোবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে দেখা গেছে, শিশু তখনই নিজেকে নিরাপদ এবং স্বীকৃত মনে করে, যখন তার অনুভূতি, ভয়, প্রশ্ন ও চাহিদাগুলো গুরুত্বসহকারে শোনা হয়।
শোনা কেবল শব্দ গ্রহণ নয়; এটি যোগাযোগের আবেগীয় সুর। যখন শিশু বুঝতে পারে কেউ সত্যিই তাকে বোঝার চেষ্টা করছে, তার মস্তিষ্কে নিরাপত্তা ও বিশ্বাসের কেন্দ্রগুলো সক্রিয় হয়। ফলস্বরূপ, সে নিজের কথা আরও খোলামেলাভাবে প্রকাশ করতে পারে।
অনেক শিশু অভিমান করে বলে— “যখন আমরা কথা বলি, কেউ শোনে না; কিন্তু সবাই চায় আমরা যেন তাদের কথা শুনি।” এই কথার পেছনে লুকানো আছে স্বীকৃতির গভীর তৃষ্ণা। শোনা মানে শিশুকে জানানো—“তোমার কথা গুরুত্বপূর্ণ।”
শোনার শিল্পের মাধ্যমে পিতা-মাতা শুধু ভাষাগত তথ্যই দেন না; বরং চোখের দৃষ্টি, মাথা নেড়ে সাড়া দেওয়া, হাসি, ধৈর্য এবং উপস্থিতির অনুভবের মাধ্যমে অনেক অবাকথিত বার্তা শিশুর কাছে পৌঁছে যায়। পরস্পর বোঝাপড়া না থাকলে এসব বার্তা অসম্পূর্ণ থেকে যায়।
মনোবিজ্ঞানের গবেষণা দেখায়—সক্রিয় শ্রবণ শিশুর আত্মসম্মান, আবেগ নিয়ন্ত্রণ, সামাজিক দক্ষতা এবং পারিবারিক বিশ্বাসের ভিত্তি গড়ে দেয়।



