শিশু লালন-পালনে আমরা যে মহাসত্যটি সর্বদা বিস্মৃত হই
ডক্টর মুহাম্মাদ ফারুক হুসাইন। প্রকাশ: ১ ডিসেম্বর ২০২৫
মিডিয়া মিহির: শিশু লালন-পালনে ধৈর্য্য ও তার প্রাকৃতিক ভিন্নতাকে স্বীকার করা অপরিহার্য। শিশু বড়দের মতো আচরণ করবে—এটি আশা করলে ধৈর্য্যের অভাব দেখা দেয় এবং লালন-পালন জটিল হয়ে ওঠে।
শিশু লালন-পালনে ধৈর্য্য প্রয়োজন এবং তার স্বাভাবিকভাবে স্বাধীনতা দেওয়া মাঝে মাঝে বিশৃঙ্খলা ও শব্দসৃষ্টির কারণ হয়। কিছু বিষয় এতটাই স্বাভাবিক যে আমরা তা প্রায়ই ভুলে যাই। এর মধ্যে একটি হলো—শিশু হওয়া মানেই শিশু থাকা।
যখন আপনি এমন কারো সঙ্গে কথা বলেন যার শ্রবণ ক্ষমতা ঠিক আছে কিন্তু অসাবধানতার কারণে আপনার কথাগুলো বুঝতে পারে না, তখন আপনি ক্ষুব্ধ হোন। কিন্তু যদি কারোর শ্রবণশক্তি কম থাকে এবং সে ধীরে ধীরে বুঝতে পারে, তখন আপনি রাগ পান না, কারণ আপনি জানেন তার সমস্যা কী।
আমরা স্বীকার করতে চাইনি যে শিশুরা শিশু এবং তারা বড়দের মতো নয়। তাই তারা যখন খেলাধুলা বা চঞ্চলতা করে, তখন আমাদের ধৈর্য্যের সীমা দ্রুত শেষ হয়ে যায়।
যদি আমরা এই বিষয়টি মনোযোগ দিয়ে দেখার চেষ্টা করি, তাহলে বোঝা যাবে—যেমন শিশু যদি খেলাধুলা না করে, আমরা চিন্তিত হই; ঠিক যেমন আমরা তার খাওয়া না খাওয়ার জন্য আনন্দিত হই না, বরং উদ্বিগ্ন হই।
উৎস: আমরা আরেকটি আমি, তৃতীয় খণ্ড, পৃষ্ঠা ৮১–৮২।



