শিশুর প্রতি ভালবাসা কেমন হওয়া উচিত?
ডক্টর মুহাম্মাদ ফারুক হুসাইন। প্রকাশ: ১ ডিসেম্বর ২০২৫
মিডিয়া মিহির: শিশুর প্রতি প্রকৃত মমতা ও স্নেহ তখনই স্থায়ী প্রভাব ফেলে, যখন প্রথমে হৃদয়ে ভালোবাসা ও জ্ঞান জন্মায়, তারপর তার আচরণ ও অভ্যাসে তা প্রতিফলিত হয়। ইসলামী শিক্ষাও শিশুদের প্রতি এই দয়া ও স্নেহ প্রদর্শনের গুরুত্ব তুলে ধরে।
সৃষ্টিশীলতা ও নির্মাণ তখনই স্থায়ী হয়ে ওঠে, যখন প্রথমে মানুষের হৃদয়ে জ্ঞান ও প্রেমের অঙ্কুরোদ্গম ঘটে, এরপর তার কাজ ও আচরণে পরিবর্তনের স্রোত প্রবাহিত হয়।
স্থায়ী ও গভীর শিক্ষাদান সর্বদা অন্তর থেকেই শুরু হয়; কারণ প্রেম ও পরিচয়ের আলোই প্রতিটি স্থায়ী কর্মের মূল শিকড়।
ইসলামী শিক্ষা এ বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশ প্রদান করেছে:
«أَحِبُّوا الصِّبْیانَ وَ اِرْحَمُوهُمْ» —
অর্থাৎ, শিশুদের ভালোবাসো এবং তাদের প্রতি দয়া প্রদর্শন করো।
শিশুকে এমনভাবে স্নেহ করতে হবে—যাতে সে সেই স্নেহকে অনুভব করতে পারে, স্পর্শ করতে পারে, ও তার মধুর স্বাদ আত্মায় গ্রহণ করতে পারে।
একটি শিশু ভালো-মন্দ, সুন্দর–কুৎসিত, মমতা–বিদ্বেষ—এসব অনুভব করে শরীরগত অভিজ্ঞতার মাধ্যমে।
উদাহরণস্বরূপ, যদি মা–বাবা সন্তানের প্রতি নিজেদের ভালোবাসা প্রকাশ করতে চান, তবে তা খাদ্যের মাধ্যমেও প্রকাশ করতে পারেন—কারণ খাবার শিশুর কাছে একটি স্পষ্ট, উপলব্ধিযোগ্য স্নেহ–ভাষা।
তেমনই, শিশুর আনন্দ নিহিত থাকে তার গতিময়তা, খেলাধুলা ও উচ্ছ্বসিত চঞ্চলতার মধ্যে।
উৎস: সাজান্দেগি ও তার্ভীয়াতে দুখতারান, পৃষ্ঠা ৩১৮।



