রমজান মাসকেও অর্থ উপার্জনের উৎস বানিয়েছে সৌদি আরব
মক্কায় আল্লাহর ঘর যিয়ারতকারীদের জন্য পরিবহন সুবিধা সাধারণত বিনামূল্যে হয়ে থাকে, কিন্তু সৌদি কর্তৃপক্ষ এ বছর রমজান মাসে বাসের জন্য ফি নির্ধারণ করেছে। কাবা থেকে বাব আলী গেট পর্যন্ত প্রায় ১০ মিনিটের পথ, কিন্তু রমজান মাসে অতিরিক্ত জনসংখ্যার কারণে এই পথ অতিক্রম করতে সময় লাগে প্রায় ৩ ঘণ্টা। সাম্প্রতিককালে একজন আল্লাহর ঘর যিয়ারতকারী (হোসাইন মোলাভি) বলেন, “এখানে বাসের কমতি রয়েছে। এখানকার পরিস্থিতি যেন আরবাইনের {ইমাম হুসাইন (আ.)-এর চল্লিশা} মতো; একটি বাস পেতে কয়েক ঘণ্টা হাঁটতে হয়।”
মোহসেন রাসুলি নামে একজন কাবা ঘর যিয়ারতকারী বলেন, “যখন যাত্রীর সংখ্যা বেড়ে যায়, সৌদি কর্তৃপক্ষ বিনামূল্যে বাস সুবিধা বন্ধ করে দেয় এবং আসা-যাওয়ার জন্য চার্জ নির্ধারন করে।”
সৌদি আরব যিয়ারতকারীদের যাতায়াতের জন্য ফি নির্ধারণ করেছে, অথচ মসজিদুল হারামের আশেপাশে (মাগরিবের আজানের এক ঘণ্টা আগে থেকে ভোর পর্যন্ত) জায়গা পাওয়া দুষ্কর। এমনকি এখানে একটি টিকিট কাউন্টারও নেই। জামারাত বাসের একজন ড্রাইভার ওমরান সামির বলেন, “আমরা যাত্রীদের টিকিট ছাড়া বাসে উঠাতে পারি না। বাসের টিকিট ক্রয় করেও সময় মতো বাস পাওয়া যায় না, অপেক্ষা করতে হয় কয়েক ঘন্টা। কারণ সৌদি আরব হজ কর্তৃপক্ষ যথাযথ অবকাঠামো উন্নয়ন ছাড়াই শুধুমাত্র আয় বাড়ানোর জন্য অতিরিক্ত কাবা যিয়ারতকারী গ্রহণ করছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সৌদি কর্তৃপক্ষের উচিত মসজিদুল হারামের প্রধান স্টেশনগুলোতে বাসের সংখ্যা বাড়ানো এবং রমজান মাসে আল্লাহর ঘর যিয়ারতকারীদের কাছ থেকে আয় করার পরিবর্তে আগের মতো বিনামূল্যে পরিবহন সুবিধা চালু করা। যদি আয় বৃদ্ধি তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়, তাহলে অন্তত মক্কা-মদিনা হাই-স্পিড ট্রেনের মতো অনলাইন টিকেট বিক্রি করা উচিত।
মিডিয়া মিহির/ধর্ম ও বিশ্বাস/রাসেল আহমেদ