মুরহুম আল্লামা মিসবাহ ইয়াজদী (রহ.): ইরানের সংগ্রাম অটলতার অগ্নিপরীক্ষা
ডক্টর মুহাম্মাদ ফারুক হুসাইন। প্রকাশ: ৫ অক্টোবর ২০২৫
মিডিয়া মিহির: অত্যাচারী শক্তি আমাদের ওপর আট বছরের দীর্ঘ যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছিল। তবে সেই যুদ্ধই হয়ে উঠল আমাদের জাতির শক্তি, প্রতিরোধ ও অগ্রগতির পরিচায়ক। মরহুম আল্লামা মিসবাহ ইয়াজদী আমাদেরকে মনে করিয়ে দেন—যুদ্ধ শুধু ধ্বংস নয়, বরং বিকাশের এক অবিস্মরণীয় অধ্যায়।
প্রধান বক্তব্য: বিশ্বের ঔদ্ধত্যশীল শক্তিগুলো আমাদের ওপর আট বছরের যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু এর ফল হলো আমরা সেই যুদ্ধেই বহু উন্নত প্রযুক্তি অর্জন করেছি। আমরা অঞ্চলের সবচেয়ে শক্তিশালী সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াই করেছি, অথচ আমাদের ভূমির এক ইঞ্চিও তাদের হাতে সমর্পণ করিনি।”
শুরু থেকেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেছিলেন: এই আন্দোলন খুব বেশি দিন টিকবে না; সর্বোচ্চ ছয় মাস।এরপর তারা সব রকম ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হলো—
১. সাদ্দামকে উস্কানি দেওয়া
২. নোজেহ অভ্যুত্থান পরিকল্পনা করা
৩. তাবাস অভিযানের ব্যবস্থা করা
৪. এবং শেষ পর্যন্ত আট বছরের দীর্ঘ যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়া
তবু, সব প্রতিকূলতার পরও, তাদের কোনো ষড়যন্ত্র সফল হয়নি। একটির পর একটি সব ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু এই ব্যর্থতাগুলোই আমাদের জাতিকে শক্তিশালী করেছে, প্রতিটি আঘাত পরিণত হয়েছে বিকাশ ও অগ্রগতির নতুন পথ।
সংগ্রামের প্রতিফলন:
১. আট বছরের যুদ্ধ আমাদের দিয়েছে উন্নত প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতা
২. আমরা লড়েছি শক্তিশালী শত্রুর সঙ্গে,
অথচ এক ইঞ্চি জমি তাদের দেইনি।
৩. শত্রুর নিষেধাজ্ঞা, সম্পূর্ণ খালি হাতে থাকা, এমনকি সাধারণ সামগ্রীও না পাওয়া—সবই জয়ী হওয়ার পথকে আরও উজ্জ্বল করেছে
উপসংহার:
এই আট বছরের সংগ্রাম আমাদের শিখিয়েছে—
সংগ্রাম, ধৈর্য ও ঈমানের শক্তি দিয়ে অসম্ভবকে সম্ভব করা যায়। এটাই ইরানের অটলতা, শক্তি এবং স্থায়িত্বের প্রতীক। বক্তৃতা: মরহুম আয়াতুল্লাহ মিসবাহ ইয়াজদী
তারিখ: ২২/১১/১৩৮৮ হিজরি শামসি (১০ ফেব্রুয়ারি ২০১০ খ্রিস্টাব্দ)



