বাংলাদেশি মহিলা তালাবাদের জন্য হযরত ফাতিমা যাহরা (সা.আ.)-এর জীবনচরিতভিত্তিক শিক্ষা কর্মশালা শুরু
রাসেল আহমেদ | প্রকাশ: ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

মিডিয়া মিহির: ইরানের ধর্মীয় নগরী কোমের হাওজায়ে ইলমিয়ায় শিক্ষা সম্পন্ন করে দেশে ফিরে আসা বাংলাদেশি মহিলা তালাবাদের জন্য হযরত ফাতিমা যাহরা (সা.আ.)-এর উজ্জ্বল জীবনদর্শন, সংশয় নিরসন এবং জ্ঞানভিত্তিক আলোচনা শীর্ষক প্রথম শিক্ষা কর্মশালার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
প্রথমবারের মতো এ কর্মশালা আয়োজন করা হয়েছে এবং এটি মহিলা তালাবাদের জন্য বিশেষভাবে পরিকল্পিত ধারাবাহিক শিক্ষামূলক কর্মসূচির সূচনা বলে বিবেচিত হচ্ছে।
কর্মশালার মূল লক্ষ্য
-
মহিলা তালাবাদের ইলমি ও দাওয়াতি (প্রচারমূলক) দক্ষতা বৃদ্ধি
-
হযরত ফাতিমা যাহরা (সা.আ.)-এর মর্যাদা, জীবনদর্শন ও শিক্ষাকে গভীরভাবে বোঝার জন্য কাঠামোবদ্ধ পরিবেশ তৈরি
-
ঐতিহাসিক ও আকীদাভিত্তিক সংশয়গুলোর বিশ্লেষণ
-
প্রামাণ্য গবেষণা ও দলীলনির্ভর সমাধান প্রদান
এই কর্মশালাটি বাংলাদেশের মহিলা মুবাল্লিগ ও গবেষকদের ক্রমবর্ধমান প্রয়োজন বিবেচনায় ইলমি, গবেষণামূলক ও ব্যবহারিক দৃষ্টিকোণ থেকে প্রস্তুত করা হয়েছে।
প্রথম সেশনে উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ইতিহাস ও নারী হাওজায়ে ইলমিয়ার গবেষক ড. নাহিদ তাইয়্যাবী। অনলাইন ভিত্তিক এই ক্লাসে তিনি হযরত ফাতিমা যাহরা (সা.আ.)-এর জ্ঞানমূলক, ঐতিহাসিক ও সমাজিক দিকগুলো ব্যাখ্যা করেন এবং ইসলামী বিশ্বে প্রচলিত বিভিন্ন মতবাদ ও মিডিয়ায় উত্থাপিত প্রধান সংশয়গুলো জ্ঞানভিত্তিকভাবে পর্যালোচনা করেন।

কর্মশালার সময়সূচি
প্রতি রবিবার ইরান সময় দুপুর ৩:৩০ (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬:০০টায়) অনুষ্ঠিত হবে।
আগামী সেশনগুলোতে প্রামাণ্য ঐতিহাসিক উৎসসমূহের বিশ্লেষণ, গবেষকদের মতামতের মূল্যায়ন এবং দাওয়াতি কার্যক্রমে ব্যবহারযোগ্য কার্যকর কৌশল উপস্থাপন করা হবে।
এই কর্মশালা বাংলাদেশি মহিলা তালাবাদের শিক্ষা, গবেষণা ও প্রচারমূলক সক্ষমতা বৃদ্ধির একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ভবিষ্যতে আরও সম্পূরক কোর্স ও বিশেষায়িত কর্মশালার আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।
এই উদ্যোগটি বাংলাদেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার প্রতিনিধি দপ্তরের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে, যার লক্ষ্য বাংলাদেশি ইসলামী মহিলাদের সঙ্গে কোমের হাওজায়ে ইলমিয়ার শিক্ষাগত ও জ্ঞানগত সম্পর্ক আরও দৃঢ় করা।



