জীবনযাপনধর্ম ও বিশ্বাস

নারী নির্যাতন— ইসলামের আলোকে এক নিন্দনীয় অপরাধ

ফাতেমা বাতুল | প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

মিডিয়া মিহির: ইসলামের দৃষ্টিতে নারী নির্যাতন একটি চরম নিন্দনীয় অপরাধ। এটি শুধু একটি সামাজিক ব্যাধি নয়, বরং ধর্মীয় ও নৈতিকভাবে এক গুরুতর জুলুম, যার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব।

মুসলমানদের আকীদা অনুযায়ী, নারী হলেন আল্লাহর পক্ষ থেকে এক মহান আমানত। তিনি কেবল একজন স্ত্রী, মা বা কন্যা নন—তিনি একজন পূর্ণাঙ্গ মানুষ, যাঁর অধিকার, মর্যাদা ও নিরাপত্তা ইসলামের দ্বারা সংরক্ষিত। ইসলামী চিন্তাধারায়, সাইয়্যেদা ফাতিমা যাহরা (সা.আ.)-কে নারী জাতির সর্বোচ্চ আদর্শ হিসেবে দেখা হয়। তাঁর জীবন আমাদের শেখায়—নারীকে সম্মান করা মানেই আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা।

ইমাম আলী (আ.)-এর একটি বিখ্যাত বাণী— “নারী হলো ফুল, তাকে ভালোবাসা ও কোমলতা দিয়ে যত্ন নিতে হয়।” এই বাণী স্মরণ করিয়ে দেয়, নারীর প্রতি সহিংসতা বা অবহেলা ইসলামের মূল শিক্ষার পরিপন্থী।

 ইসলামে জুলুমের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া একটি মৌলিক দায়িত্ব। ইমাম হুসাইন (আ.)-এর কারবালার বিপ্লব ছিল জুলুমের বিরুদ্ধে চিরন্তন প্রতিবাদ। নারী নির্যাতনও এক ধরনের জুলুম, যা পরিবার, সমাজ ও জাতিকে ধ্বংস করে। তাই, একজন প্রকৃত মুসলমান কখনোই নারী নির্যাতনকারী হতে পারে না—বরং সে হবে একজন রক্ষক, একজন সম্মানদাতা।

বিশ্বাস করা হয়, একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য ইমাম মাহদী (আ.ফা.)-এর আগমন হবে । সেই সমাজে নারী থাকবে নিরাপদ, সম্মানিত ও মর্যাদাপূর্ণ। যদি আমরা সত্যিই তাঁর প্রতীক্ষাকারী হই, তাহলে আমাদের সমাজে নারী নির্যাতনের কোনো স্থান থাকতে পারে না।

সমাধান ও আহ্বান

সমাজে পরিবর্তন আনতে হলে পরিবার থেকেই শুরু করতে হবে। নারীদের প্রতি সম্মান, ভালোবাসা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। কণ্ঠস্বর তুলতে হবে, প্রতিবাদ করতে হবে, শিক্ষা দিতে হবে—কারণ নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া মানেই ইমামদের পথে চলা। আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই মহান দায়িত্ব পালনের তাওফিক দান করুন।

আরও পড়ুন

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button