জীবনযাপনকুরআন

নারীদের উচিৎ নিজ অধিকার সম্পর্কে সচেতন হওয়া

আহলুল কুরআন ’অর্থাৎ’ কুরআনের (প্রকৃত) অনুসারীরা মহান আল্লাহর অতি ঘনিষ্ঠ আপনজন এবং তাঁর বিশেষ ( নৈকট্য প্রাপ্ত) বান্দা।” [মাজমাউল বায়ান, ১/১৫]

নারীদের উচিৎ নিজ অধিকার সম্পর্কে সচেতন হওয়া

মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন পবিত্র কুরআনের ৭৭ পৃষ্ঠা এবং তার পরবর্তী পৃষ্ঠাগুলোতে (সূরা নিসায়) নারীদের অধিকারের কথা উল্লেখ করেছেন। এই আয়াতগুলো তখন নাযিল হয়েছিল যখন নারীদের কোনো মূল্য ছিল না এবং মেয়ে সন্তানদেরকে জীবন্ত কবর দেওয়া হত।

নবী করিম (সা.) বলেছেন,

اَهلُ القُرآنِ اَهلُ اللهِ وَخاصَّتُهُ

আহলুল কুরআন অর্থাৎ কুরআনের (প্রকৃত) অনুসারীরা মহান আল্লাহর অতি ঘনিষ্ঠ আপনজন এবং তাঁর বিশেষ ( নৈকট্য প্রাপ্ত) বান্দা।” [মাজমাউল বায়ান, ১/১৫]

কুরআন মাজীদের সুরা নিসা যেখানে নারীদের অধিকার ও বিধানসমূহ বর্ণিত হয়েছে। সুরাটি এমন এক জাহেলী যুগে নাযিল হয়েছে, যেখানে নারীদের সামাজিক মূল্যায়ন ছিল না এবং নারীদের প্রতি চরম অবিচার করা হত। কন্যা শিশুদের জীবন্ত কবর দেওয়া হত। এই সুরার শুরুতেই মহান আল্লাহ সমগ্র মানবজাতিকে সম্বোধন করেছেন—শুধু মুমিনদের নয় বরং “নাস (তথা মানুষ)” শব্দটি ব্যবহার করেছেন যাতে সবাই বুঝতে পারে যে, তাদের জন্ম ও জীবনের উৎস হল নারী এবং সকল মানুষের উচিত নারীদের অধিকার সম্পর্কে জানা।

এই সূরায় আল্লাহ তায়ালা এতিমদের অধিকার সংরক্ষণের বিষয়েও নির্দেশ দিয়েছেন এবং বিশেষ করে এতিম কন্যাদের অধিকার বিষয়ে তাগিদ দিয়েছেন। কারণ, অজ্ঞতার যুগে লোকেরা এতিম কন্যাদেরকে নিজেদের তত্ত্বাবধানে নিত এবং পরে তাদের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে নানা রকম নিগ্রহের শিকারে পরিণত করত। এরপর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা পুরুষদেরকে নারীদের দেনমোহর পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছেন এবং বলেছেন, “তোমরা নারীদের দেনমোহর তাদের ‘প্রাপ্য হক’ হিসেবে পরিশোধ করো, কেননা এটি তোমাদের উপর একটি অপরিহার্য ঋণ।”

এই সূরার আয়াতাংশে আল্লাহ আবারও এতিমদের সম্পদ গ্রাস করা সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। তিনি বলেছেন, “যদি কোনো এতিমের সম্পদ তোমাদের জিম্মায় থাকে, তবে তার প্রাপ্ত বয়সে পৌঁছার পর তা তার হাতে সমর্পণ করো। তবে দেওয়ার আগে তার বিচক্ষণতা ও প্রজ্ঞা যাচাই করো, যেন সে (এতিম) সম্পদ ব্যবস্থাপনায় সক্ষম হয়েছে কি না।” এভাবে সূরা নিসার শুরুতেই নারীদের অধিকার, দেনমোহর, এতিমদের হক এবং সম্পদ সংরক্ষণের ব্যাপারে মহান আল্লাহ সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।

মিডিয়া মিহির/জীবনযাপন/রাসেল আহমেদ

কুরআনে নারী একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। বিভিন্ন সূরার আয়াতে অনেক নারীর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এসব নারীদের মধ্যে অনেকে সৎ কাজের জন্য আবার অনেকে অসৎ কাজের জন্য উল্লেখিত হয়েছে। একমাত্র মরিয়ম (আ.) কে নাম দ্বারা কুরআনে উল্লেখ করা হয়েছে।

নারীদের-উচিৎ-নিজ-অধিকার-স/

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button