নানান সমস্যা সত্ত্বেও দেশে বহু ইতিবাচক দিক রয়েছে: আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী
রাসেল আহমেদ | প্রকাশ: ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

মিডিয়া মিহির: ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলী খামেনেয়ী বলেছেন, সব ধরনের কঠিন পরিস্থিতি, সংকট ও সমস্যার পরও দেশে ইসলাম ও বিপ্লবের পথে অগ্রসর হওয়ার জন্য বহু ইতিবাচক দিক ও পর্যাপ্ত সক্ষমতা বিদ্যমান রয়েছে, যেগুলোকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।
দেশটির আলবোর্জ প্রদেশের ৫,৫৮০ শহীদের স্মরণে আয়োজিত বৃহৎ কংগ্রেসের আয়োজকদের সঙ্গে সাক্ষাতে এসব কথা বলেন।
এই সাক্ষাতে বিপ্লবী নেতা বর্তমান পরিস্থিতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হিসেবে প্রতিরক্ষা যুদ্ধ (দিফায়ে মুকাদ্দাস) যুগের প্রেরণা ও মূল্যবোধ নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, আজকের যুবসমাজ আমাদের বিচক্ষণ যুবসমাজ। বিভিন্ন আধুনিক যোগাযোগমাধ্যম ও প্রভাব বিস্তারকারী উপকরণ থাকা সত্ত্বেও তারা নিজেদের ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা করতে পেরেছে। এই সক্ষমতাকে ভিত্তি করে শিল্পসম্মত ও প্রভাবশালী উপায়ে মূল্যবোধগুলো যুবসমাজের কাছে তুলে ধরতে হবে।
আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী প্রতিরক্ষা যুদ্ধের যোদ্ধাদের মধ্যে আল্লাহর সান্নিধ্যের আকাঙ্ক্ষা ও ধর্মীয় দায়িত্ববোধকে সে সময়ের অন্যতম প্রধান প্রেরণা হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এসব প্রেরণা ও মূল্যবোধ যেন নিভে না যায়, সে বিষয়ে সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে।
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, কিছু সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ও দায়িত্বশীল সংস্থার কর্মকাণ্ডে প্রতিরক্ষা যুদ্ধের মূল্যবোধ নতুন প্রজন্মের কাছে যথাযথভাবে পৌঁছে দেওয়ার মতো প্রয়োজনীয় উদ্যোগ ও আন্তরিকতা পরিলক্ষিত হয় না।
বিপ্লবী নেতা আরও বলেন, প্রতিরক্ষা যুদ্ধের মূল্যবোধ ও প্রেরণা নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছাতে হলে নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা, সুপরিকল্পনা এবং শিল্পসম্মত উপস্থাপনা অপরিহার্য।
তিনি আবারও উল্লেখ করেন, সব ধরনের কষ্ট ও সংকট সত্ত্বেও দেশে ইসলাম ও বিপ্লবের পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি ও বহু ইতিবাচক সম্ভাবনা রয়েছে, যেগুলোকে সঠিকভাবে লালন ও জোরদার করতে হবে।
এ সময় তিনি আলবোর্জ প্রদেশের জনগণ, বিশেষ করে শহীদ পরিবারগুলোর প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং কংগ্রেসের আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
হযরত আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী কারাজ শহরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষের উপস্থিতিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, যদি শহীদদের স্মরণ এবং তাদের বার্তা ও মূল্যবোধ যথাযথভাবে তুলে ধরা যায়, তবে এই সুযোগের মাধ্যমে সেই বার্তা দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে।



