গাজার পক্ষে বিশ্বব্যাপী ঐক্যের আহ্বান জানালেন ইসলামি আলেমরা
রাসেল আহমেদ | প্রকাশ: ৩১ আগস্ট, ২০২৫

মিডিয়া মিহির: তুরস্কের ইস্তাম্বুলের আয়া সোফিয়া মসজিদে গত শুক্রবার শেষ হয়েছ আন্তর্জাতিক সম্মেলন “গাযা: ইসলামি ও মানবিক দায়িত্ব”। ৫০টি দেশের ১৫০ জন বিশিষ্ট আলেমের অংশগ্রহণে আয়োজিত এ সম্মেলন শেষে গাজায় চলমান গণহত্যা ও দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী ঐক্যের আহ্বান জানানো হয়। সম্মেলনের উদ্বোধন হয়েছিল আইয়ুব সুলতান মসজিদে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এবং সমাপ্তি ঘটে জুমার নামাজের পর সমাপনী ঘোষণার মধ্য দিয়ে।
তুরস্কের ডায়ানেত প্রধান আলী এরবাস বলেন, “গাজা মুসলমানদের জন্য ঈমানের ইস্যু। নির্যাতনের মুখে নীরব থাকা মানে দখলদারদের সহযোগিতা করা, যা শরিয়ত অনুযায়ী হারাম। তাই ইসরাইলি দখলদারদের স্বার্থ ও পণ্য বর্জন করা এখনই কর্তব্য।”
সমাপনী ঘোষণায় ইসলামি উলামা ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড. নাসরুল্লাহ হাজি মুস্তাফি ওগলু গাজায় হত্যাযজ্ঞ, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীরবতা এবং কিছু আঞ্চলিক পক্ষের “গ্রেটার ইসরাইল প্রকল্পে” সহযোগিতার নিন্দা জানান। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের বৈধ অধিকার হলো প্রতিরোধ, এমনকি সশস্ত্র লড়াইয়ের মাধ্যমেও।
ঘোষণায় আরও বলা হয়—
▫️গাজার অবরোধ ভাঙতে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিতে হবে।
▫️সীমান্তবর্তী দেশগুলোকে সব সীমান্ত গেট খুলতে হবে।
▫️স্বাধীনতার নৌবহর আরও জাহাজ দিয়ে শক্তিশালী করতে হবে। এছাড়া মুসলিম দেশগুলোকে যৌথভাবে ওয়াকফ তহবিল গঠনের আহ্বান জানানো হয়, যাতে বার্ষিক মুনাফার অন্তত ২% গাজার পুনর্গঠনে ব্যয় করা যায়।
সম্মেলনে ইসলামি দেশগুলোকে ইসরাইল ও তার মিত্রদের সঙ্গে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক সব সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানানো হয়। দখলদারদের সহযোগী পণ্য বর্জনকে শরিয়তসম্মত ফতোয়া হিসেবে ঘোষণা করা হয়। শেষে বলা হয়, গাজার গণহত্যা বন্ধ ও দখলদারিত্ব প্রতিরোধে এই সম্মেলন মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের এক ঐতিহাসিক অঙ্গীকার হয়ে থাকবে।