
মিডিয়া মিহির: সন্তানকে সুস্থ ও সুখীভাবে বড় করা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুসন্তান প্রতিপালনে সন্তানদের মানসিক স্বাস্থ্য বোঝা খুবই প্রয়োজন। কখনও কখনও, সন্তান মানসিকভাবে হতাশ বা বিষণ্ণ হয়ে পড়তে পারে। নিচে কিছু সাধারণ লক্ষণ দেওয়া হলো যা আপনাকে বুঝতে সাহায্য করবে:
মানসিক হতাশার লক্ষণসমূহ
১. মুড সুইং বা মানসিক পরিবর্তন: হঠাৎ করে মানসিক পরিবর্তন দেখা দিতে পারে। সন্তান খুব দুঃখিত, রাগান্বিত বা বিরক্ত হতে পারে।
২. আগ্রহ হারানো: আগে যে কাজে আগ্রহ ছিল—যেমন খেলা, পড়াশোনা বা বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো—সে ক্ষেত্রে আগ্রহ কমে যেতে পারে।
৩. খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন: খাওয়ার অভ্যাসে পরিবর্তন দেখা দিতে পারে। সন্তান হয়তো খুব কম খাবে বা অতিরিক্ত খেতে পারে।
৪. ঘুমের সমস্যা: ঘুমের অভ্যাসে পরিবর্তন হতে পারে। হয়তো খুব কম ঘুমাবে বা অতিরিক্ত ঘুমাবে।
৫. শক্তি হ্রাস: সবসময় ক্লান্ত বা শক্তিহীন বোধ করতে পারে। এমনকি ছোট কাজ করতেও সমস্যা হতে পারে।
৬. আত্মবিশ্বাসের অভাব: তারা নিজেদের সম্পর্কে নেতিবাচক কথা বলতে পারে এবং মনে করতে পারে কোনো কাজ ঠিকমতো করতে পারবে না।
৭. স্কুল বা মাদ্রাসার পারফরম্যান্সে পরিবর্তন: গ্রেড খারাপ হতে পারে বা স্কুলে যেতে অনীহা দেখাতে পারে।
৮. সামাজিক বিচ্ছিন্নতা: বন্ধুদের থেকে দূরে থাকতে পারে এবং সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে অনিচ্ছুক হতে পারে।
৯. আত্মহত্যার কথা বলা: যদি আত্মহত্যা বা মৃত্যুর কথা বলে, এটি অত্যন্ত গুরুতর লক্ষণ। এমন পরিস্থিতিতে অবশ্যই দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।
১০. শারীরিক সমস্যা: মাথাব্যথা, পেটে ব্যথা বা অন্যান্য শারীরিক সমস্যার কথা বলতে পারে, যাদের কোনো প্রকৃত শারীরিক কারণ নেই।
এ অবস্থায় করণীয়
-
খোলামেলা কথা বলুন: সন্তানের সাথে মন খুলে কথা বলুন এবং তাদের অনুভূতি বোঝার চেষ্টা করুন।
-
মনোযোগ দিয়ে কথা শুনুন: তাদের কথা গুরুত্ব সহকারে শুনুন। অনুভূতিকে ছোট করে দেখবেন না।
-
বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিন: যদি মনে হয় সন্তান গুরুতর মানসিক সমস্যার মুখোমুখি, একজন মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
-
সমর্থন দিন: সন্তানকে জানান যে আপনি সবসময় তাদের পাশে আছেন এবং সাহায্য করতে প্রস্তুত।
মানসিক স্বাস্থ্য সন্তানের সার্বিক উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য। সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সচেষ্ট থাকুন এবং প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিতে দ্বিধা করবেন না।



