কিভাবে মানুষের ধর্ম পূর্ণতা লাভ করে?
মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনের সূরা মায়েদার ৩ থেকে ৫ নং আয়াতের মধ্যে মুসলমানদের ব্যাপারে কাফিরদের হতাশ হওয়ার দিকে ইঙ্গিত করে বলেন যে আজ আলী (আ.) এর বেলায়তের মাধ্যমে [অর্থাৎ আলীকে তোমাদের মাওলা ও ওয়ালী (পথপ্রদর্শক নেতা কর্তৃত্বশীল কর্তৃপক্ষ, শাসনকর্তা ও অভিভাবক) করে তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ করে দিলাম। এর মানে হযরত আলীর (আ.) এর ইমামতের কারণেই কাফির ও বিধর্মীরা হতাশা হয়েছে ।
মহানবী (সা.) বলেছেন: যখন ফিৎনাসমূহ রাতের বিভিন্ন অংশের মতো পর পর এসে তোমাদেরকে ঢেকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ও পেঁচিয়ে ফেলতে থাকবে তখন তোমাদের উচিত পবিত্র কুরআনকে আঁকড়ে ধরা (উসূলে কাফী, খ:২, পৃ:৪৫৯)
পবিত্র কুরআনে সূরা মায়েদার ৩ থেকে ৫ নং আয়াতের মধ্যে হারাম গোশত সমূহ পরিচিত করিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে শুরু হয়েছে এবং মহান আল্লাহ এ আয়াতে ৯ প্রকার গোশত হারাম (নিষিদ্ধ) বলে ঘোষণা করেছেন এবং এ আয়াতের ধারাবাহিকতায় মুসলমানদের ব্যাপারে কাফিরদের হতাশা ও নৈরাশ্যের (তাদের আশা ভঙ্গ হওয়ার ) দিকে ইশারা করে বলেন: তোমরা (মুসলমানরা) তাদেরকে (কাফির মুশরিকদেরকে) ভয় করো না বরং তোমরা আমাকেই ভয় করো।
মুসলমানদের এবং তাদের দ্বীনের ব্যাপারে কাফিরদের হতাশার কথা ব্যক্ত করার পর মহান আল্লাহ এরশাদ করছেন: “আজ আমি তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণ করে দিলাম। দ্বীন অর্থাৎ ধর্মের পূর্ণ (কামিল) হওয়ার ঘটনা হযরত আলী (আ)এর ইমামত (নেতৃত্ব) ও মহানবী (সা.)এর পথ অব্যাহত থাকার সাথেই একান্ত সংশ্লিষ্ট।
কাফিরদের আশা ছিল যে মহানবী (সা.) এর ওফাতের পর ইসলাম দুর্বল ও বিলুপ্ত হয়ে যাবে। কিন্তু তারা আমীরুল মু’মিনীন ইমাম আলী (আ.)-এর ইমামতের কারণে হতাশ ও নিরাশ হয়ে যায় এবং এটাই হচ্ছে দ্বীনের (ধর্মের) পূর্ণতা ও কাফিরদের হতাশার মধ্যকার সম্পর্ক। দ্বীনের পূর্ণতার আয়াতের ধারাবাহিকতায় মহান আল্লাহ হারাম (নিষিদ্ধ) গোশতের প্রসঙ্গ পুনরায় উত্থাপন করে বলেন: যারা অভাব ও ক্ষুধার শিকার এবং মৃত্যুর আশংকার মধ্যে রয়েছে তারা হারাম (নিষিদ্ধ) গোশত খেতে পারে। মহান আল্লাহ আরও বলেন যে, শিকারী কুকুরের শিকার কৃত পশুর মাংস হালাল।
মিডিয়া মিহির/ধর্ম ও বিশ্বাস
ধর্ম ও রাজনীতি বিষয়ক গবেষক,
মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান