কুরআনজীবনযাপনবিশেষ সংবাদবিশ্ব

একটি বিভ্রান্তির জবাব: মুহাদ্দিসে নূরী কি কুরআনের বিকৃতিতে বিশ্বাস করতেন?

ডক্টর মুহাম্মাদ ফারুক হুসাইন। প্রকাশ : ২১ অক্টোবর ২০২৫

মিডিয়া মিহির: মুহাদ্দিস নূরীর গ্রন্থের নাম ছিল ফাসলুল খিতাব ফি তাহরিফিল কিতাব” — আর এ নামই তাঁর সমসাময়িক আলেমগণ ও সেই সময়ের বহু মানুষের মধ্যে ভুল ধারণার জন্ম দিয়েছিল। অনেকে মনে করেছিলেন, তিনি নাকি বিশ্বাস করেন যে কুরআনও তওরাত ও ইঞ্জিলের মতো পরিবর্তিত হয়েছে এবং তা আর আল্লাহর অক্ষত বাণী নয়।

কিন্তু বাস্তবতা ছিল ভিন্ন। স্বয়ং মুহাদ্দিস নূরী নিজেই এই ভুল-বোঝাবুঝি নিয়ে গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি তাঁর শিষ্য আল্লামা আকা বুজুরগ তেহরানীর কাছে অনুতপ্ত হৃদয়ে বলেন —ভালো হতো যদি আমি বইটির নাম রাখতাম ফাসলুল খিতাব ফি আদমে তাহরিফিল কিতাব’ অথবা ‘আল-কওলুল ফাসিল ফি ইসকাতে বাদিল ওহইন্নাযিল’, যাতে মানুষ ভুল করে এই ধারণা না করে যে আমি কুরআনের বিকৃতি বিশ্বাস করি।”

 ইতিহাসের গভীরে হারিয়ে যাওয়া এক প্রথা, বিশ্বাস ও অধ্যবসায়ের শক্তিতে আবারও ফিরে এলো। মুহাদ্দিস নূরী (রহ.), সেই অনন্য আলেম যিনি জ্ঞান, আখলাক ও ইবাদতের পাশাপাশি এক বিস্মৃত ঐতিহ্যকে পুনর্জীবন দিয়েছিলেন—ইমাম হুসাইন (আ.)-এর প্রতি ভালোবাসার প্রতীক আরবাইন পদযাত্রা তাঁর দৃঢ় সংকল্প শুধু পথচলার একটি রীতি নয়, বরং হয়ে উঠেছিল ঈমানের পুনরুত্থান, আত্মার তাজাকরণ, এবং ভালোবাসার এক জীবন্ত ইতিহাস।

মুহাদ্দিস নূরী: জ্ঞান, সাধনা ও শৃঙ্খলার এক দীপ্ত প্রতিমা

প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এক আলোকিত আলেমের জীবনগাথা—আয়াতুল্লাহ হাজ মির্জা হুসাইন ইবনে মোহাম্মদ তাকি নূরী তাবরসী (১২৫৪–১৩২০ হিজরি), যিনি “মুহাদ্দিস নূরী” বা “হাজি নূরী” নামে পরিচিত। তাঁর ওফাত দিবস উপলক্ষে তাঁর জীবন, কর্ম ও একটি বিতর্কিত রচনাকে ঘিরে একটি গবেষণাভিত্তিক আলোচনা প্রকাশিত হয়েছে।

জ্ঞানের সাধক, ইতিহাসের নির্মাতা

চতুর্দশ হিজরি শতাব্দীর শিয়া জগতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রেওয়ায়েতবিদ ও জীবনচরিত বিশারদ মুহাদ্দিস নূরী ছিলেন বহু মূল্যবান গ্রন্থের রচয়িতা। তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনাগুলোর মধ্যে রয়েছে:

১.মুস্তাদরাকুল ওসাইল — হাদিস সংকলনের এক অনন্য দৃষ্টান্ত

২.নাজমে সাকিব — ইমাম মাহদী (আ.)-এর জীবনী

৩.লুউলু ও মারজান — রোযাখানি ও মিনবারের আদর্শ

৪.ফাসলুল খিতাব ফি আদম তাহরিফে কিতাবে রাব্বিল আরবাব — কুরআনের বিকৃতি প্রসঙ্গে তাঁর অবস্থান

তিনি ছিলেন বহু মহান আলেমের শিষ্য ও সহচর—যেমন মোল্লা মোহাম্মদ আলী মাহাল্লাতি, শেখ আবদুর রহিম বুরুজারদি, শেখ আনসারি, মির্জা শিরাজি প্রমুখ। তাঁদের সাহচর্যে তাঁর চিন্তা ও সাধনার পরিধি আরও বিস্তৃত হয়।

 আধ্যাত্মিক শৃঙ্খলার প্রতিচ্ছবি

মুহাদ্দিস নূরীর জীবন ছিল সময়ের নিখুঁত ব্যবস্থাপনায় গড়া। তাঁর শিষ্য আল্লামা আগা বুজুর্গ তেহরানীর বর্ণনায় উঠে আসে— আসরের নামাজের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত তিনি লেখালেখিতে নিমগ্ন থাকতেন। ইশার নামাজের পর পাঠ ও অধ্যয়ন, অজু অবস্থায় ঘুম, ফজরের দুই ঘণ্টা আগে জেগে ওঠা, এবং ইমাম আলি (আ.)-এর হারামে প্রথম প্রবেশকারী হিসেবে উপস্থিত হওয়া—এই ছিল তাঁর প্রতিদিনের রুটিন। শীত-গ্রীষ্মে কোনো পরিবর্তন ঘটত না। তিনি দর-এ-কিবলা দরজার সামনে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করতেন, হারামের প্রদীপ জ্বালাতে সহায়তা করতেন, এবং সূর্যোদয়ের আগে জামাতে ফজরের নামাজ আদায় করতেন।

 জ্ঞানের রাজ্যে নিরবিচার সাধনা

ফজরের পর মুহাদ্দিস নূরী চলে যেতেন তাঁর বিশাল গ্রন্থাগারে, যেখানে ছিল হাজারো দুর্লভ পাণ্ডুলিপি ও হস্তলিখিত কপি। তিনি অতি প্রয়োজন ছাড়া কখনও সেই ঘর ত্যাগ করতেন না। তাঁর ছাত্ররা—যেমন শেখ আব্বাস কুম্মি (মাফাতিহুল জিন্নানের রচয়িতা)—তাঁর কাজে সহায়তা করতেন।

লেখালেখির পর অল্প আহার, বিশ্রাম, জোহরের নামাজ, এবং পুনরায় গবেষণায় নিমগ্ন হওয়া ছিল তাঁর প্রতিদিনের ছন্দ।

জুমার দিন: ভিন্নতর এক সাধনা

শুক্রবার ছিল তাঁর জীবনের বিশেষ দিন। হারাম থেকে ফিরে খুতবার প্রস্তুতি, ধর্মীয় সভায় গভীর ও প্রাঞ্জল বক্তব্য, আহলে বাইতের (আ.) মুসিবতের সময় অশ্রুসিক্ত ভাষণ—সব মিলিয়ে এক হৃদয়স্পর্শী আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা।

মজলিস শেষে তিনি জুমার আমল—নখ ছাঁটা, গোসল, দোয়া ইত্যাদিতে ব্যস্ত থাকতেন। বিকেলে লেখালেখি বন্ধ করে আবার হারামে গিয়ে জিয়ারত ও দোয়ায় নিমগ্ন হতেন।

এক নিরবধি আলোকবর্তিকা

মুহাদ্দিস নূরীর জীবন ছিল জ্ঞান ও সাধনার অপূর্ব সমন্বয়। তিনি ছিলেন এমন একজন আলেম, যাঁর প্রতিটি নিঃশ্বাসে ছিল আল্লাহর স্মরণ, ইমাম আলি (আ.)-এর প্রতি গভীর ভক্তি, এবং মানবতার সেবায় আত্মনিবেদন। তাঁর জীবন আজও আমাদের জন্য এক অনুপ্রেরণার উৎস।

মুহাদ্দিস নূরী আরবাইন পদযাত্রার পুনর্জাগরণ

আরবাইন পদযাত্রা—ইমাম হুসাইন (আ.)-এর প্রতি ভালোবাসা ও আনুগত্য প্রকাশের এক গভীর প্রতীকী প্রথা—ইতিহাসে বহুবার বিস্মৃত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এক সাহসী আলেম, মুহাদ্দিস নূরী (রহ.), আবার এই মহান ঐতিহ্যকে জীবন্ত করে তুলেছিলেন।

ভুলে যাওয়া এক প্রথার পুনর্জন্ম

শেখ আনসারির যুগে ইমাম হুসাইন (আ.)-এর জিয়ারতে হাঁটাপথে কারবালা গমনের প্রথা প্রচলিত ছিল। বহু আলেম ও ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি পায়ে হেঁটে কারবালার উদ্দেশ্যে যাত্রা করতেন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই প্রথা ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যায়। এমনকি মুহাদ্দিস নূরীর সময় এসে এটি দারিদ্র্য ও অসহায়তার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হতো।

তবে নূরী সাহেব এই ধারণা ভেঙে দিলেন। তিনি দৃঢ় সংকল্প ও ঈমানি সাহস নিয়ে এই ভোলানো প্রথাকে পুনরুজ্জীবিত করলেন। তিনি তাঁর সঙ্গী ও শিষ্যদের সঙ্গে পায়ে হেঁটে কারবালার পথে রওনা হতেন, এবং মালপত্র বহনের জন্য কয়েকটি পশু ভাড়া করতেন।

তারা নজফ থেকে কারবালা পর্যন্ত তিন রাতের মধ্যে পথ অতিক্রম করতেন। ভোর ও বিকেলে তারা হাঁটতেন, আর দুপুরে বিশ্রাম, নামাজ ও আহারের জন্য বিরতি নিতেন। এই দৃশ্য মানুষের হৃদয়ে গভীর প্রভাব ফেলেছিল। ধীরে ধীরে অনেক আলেম ও সাধারণ মানুষ তাঁদের সঙ্গে যোগ দিতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে তাঁদের কাফেলায় ত্রিশটিরও বেশি তাঁবু স্থাপন করা হতো, প্রতিটি তাঁবুতে বিশ থেকে ত্রিশ জন পর্যন্ত যাত্রী থাকতেন।

মুহাদ্দিস নূরীর প্রখ্যাত শিষ্যগণ

এই মহান আলেমের ছায়ায় বহু মেধাবী ছাত্র বেড়ে উঠেছেন, যাঁদের মধ্যে ছিলেন—

১- আল্লামা শহীদ শেখ ফজলুল্লাহ নূরী (তাঁর ভাগ্নে ও জামাতা),

২- শেখ আব্বাস কুম্মি (বিখ্যাত “মাফাতিহুল জিনান”-এর রচয়িতা),

৩- মোহাম্মদ বাকের কাইনি বিরজন্দি,

৪- আল্লামা আগা বুজুর্গ তেহরানী (বই “আয্-যারী’আ”-এর প্রণেতা),

৫- আল্লামা শেখ আলী ইবনে ইব্রাহিম কুম্মি,

৬- মৌলা মোহাম্মদ তাকি কুম্মি,

৭- মুজাহিদ আলেম মোহাম্মদ তাকি বাফাকি,

৮- শেখ ইসমাঈল ইবনে শেখ মোহাম্মদ বাকের ইসফাহানী,

৯- আরিফ ও সালেক আগা মির্জা জওয়াদ মালেকি তাবরিজী,

১০- সাইয়্যেদ আবুল কাসিম দেহকর্দি এবং আরও অনেকে।

শেষ পদযাত্রা ওফাত

মুহাদ্দিস নূরীর শেষ কারবালা যাত্রা ছিল ১৩১৯ হিজরি সালে। সেই বছরকে “হজে আকবরের বছর” বলা হয়, কারণ সে বছর ঈদুল আযহা, জুমা ও নওরোজ একত্রে হয়েছিল, এবং অসংখ্য মানুষ হজে অংশ নেয়। কিন্তু ঐ বছর মক্কায় ভয়াবহ কলেরা মহামারি ছড়িয়ে পড়ে, বহু হাজি মৃত্যুবরণ করেন।

কারবালা থেকে নজফ ফেরার পথে নূরী সাহেব সাধারণত পশুতে চড়তেন, কিন্তু ঐ বছর এক বন্ধুর অনুরোধে তিনি পায়ে হেঁটে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন। দুর্ভাগ্যবশত প্রচণ্ড গরমে খাদ্য পচে যায়, ফলে তিনি ও তাঁর সঙ্গীরা খাদ্যে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হন।

ফলে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং নজফে ফিরে এসে দীর্ঘ ধর্মসেবার পর ১৩২০ হিজরির ২৭ জমাদিউস সানি, বুধবার রাতে পরম সৃষ্টিকর্তার ডাকে সাড়া দেন।

তাঁর ওফাতের সংবাদে পুরো নজফ নগরী শোকে আচ্ছন্ন হয়ে যায়। বিপুলসংখ্যক আলেম, ছাত্র ও সাধারণ মানুষ তাঁর জানাজায় অংশ নেন। পরিশেষে তাঁর পবিত্র দেহ ইমাম আলি (আ.)-এর রওজা মুবারকের ‘দর-এ-কিবলা’-র পাশে সমাহিত করা হয়।

এক বিস্ময়কর ঘটনা

মুহাদ্দিস নূরীর মৃত্যুর সাত বছর পর, যখন তাঁর স্ত্রী মৃত্যুবরণ করেন, তাঁকে স্বামীর পাশে সমাহিত করার জন্য কবর খোঁড়া হয়। তখন দেখা যায়, নূরী সাহেবের দেহ সম্পূর্ণ অক্ষত অবস্থায় রয়েছে—যেন মাত্র কিছুক্ষণ আগে গভীর নিদ্রায় নিমগ্ন হয়েছেন। উপস্থিত সবাই এই দৃশ্য দেখে বিস্মিত ও আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।

“ফাসলুল খিতাব” — ভুল বোঝাবুঝির গ্রন্থ

মুহাদ্দিস নূরীর অন্যতম বিখ্যাত অথচ বিতর্কিত রচনা হলো “ফাসলুল খিতাব ফি তাহরিফে কিতাবে রাব্বিল আরবাব”—একটি আরবি ভাষার গ্রন্থ।

এই বইটিতে তিনি এমন ধারণা উপস্থাপন করেন যে, কিছু আয়াত যা মূলত আল্লাহর পক্ষ থেকে নাজিল হয়েছিল, বর্তমানে প্রচলিত কুরআনে অন্তর্ভুক্ত নেই, বরং বিশেষ কারণে তা ইমামগণের কাছে সংরক্ষিত আছে।

এই বইটি প্রকাশের পর ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়। অনেক আলেম মনে করেন, বইটির নাম দেখে অনেকে ভুলভাবে বুঝেছেন যে, নূরী সাহেব কুরআনের বিকৃতি বিশ্বাস করেন—যা আসলে সত্য নয়।

পরবর্তীতে তিনি নিজেই এ বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং তাঁর শিষ্য আল্লামা আগা বুজুর্গ তেহরানী-কে বলেন—

“ভালো হতো যদি বইটির নাম রাখতাম ‘ফাসলুল খিতাব ফি আদমে তাহরিফিল কিতাব’ (অর্থাৎ, কুরআনের অবিকৃতির প্রমাণ) বা ‘আল-কাওলুল ফাসিল ফি ইসকাতে বাদিল ওহইন্নাজিল’। এতে মানুষ ভুল ধারণা পোষণ করতো না।”

তিনি আরও ব্যাখ্যা করেন যে, তাহরিফ বলতে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন ‘নাকিসা’—অর্থাৎ কিছু অংশ হারিয়ে যাওয়া, কিন্তু শব্দ বা অর্থের পরিবর্তন নয়।

বইটির প্রকৃত উদ্দেশ্য প্রতিক্রিয়া

আল্লামা আগা বুজুর্গ তেহরানী তাঁর গ্রন্থ আয্যারী-তে লিখেছেন:

মুহাদ্দিস নূরী এই বইতে প্রমাণ করেছেন যে, কুরআনে কোনো বাড়তি সংযোজন, পরিবর্তন বা বিকৃতি ঘটেনি।”

বইটি তিনটি ভূমিকা, দুটি অধ্যায় ও একটি উপসংহারে বিভক্ত—

ভূমিকা ১: কুরআন সংকলনের ইতিহাস, খোলাফায়ের যুগ ও ইমাম আলী (আ.)-এর সংকলনের তুলনা।

ভূমিকা ২: কুরআনের তাহরিফ নিয়ে ঐতিহাসিক বিতর্ক।

ভূমিকা ৩: শিয়া দৃষ্টিকোণ থেকে কুরআনের অবিকৃতি ও তার বিশ্লেষণ।

বইটি প্রকাশের পরপরই বেশ কিছু আলেম এর জবাবে গ্রন্থ রচনা করেন, যেমন—
শেখ মাহমুদ তেহরানী, যিনি কাশফুল আরতিয়াব আন তাহরিফিল কিতাব নামের একটি রদ্দিয়া (প্রতিবাদী গ্রন্থ) লেখেন।

এর জবাবে মুহাদ্দিস নূরী স্বয়ং আলজাওয়াব আন শুবে কাশফুল আরতিয়াব নামে একটি উত্তরগ্রন্থ রচনা করেন, যেখানে তিনি তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করেন ও ভুল বোঝাবুঝি নিরসনের চেষ্টা করেন। তিনি বলেন—

যে কেউ ‘ফাসলুল খিতাব’ পড়তে চায়, আগে যেন আমার এই জবাবি রিসালাটি পড়ে। কারণ এটি মূল গ্রন্থের পরিপূরক।”

বর্তমান যুগের আলেমদের দৃষ্টিভঙ্গি

বিখ্যাত মারজায়ে তাকলিদ আয়াতুল্লাহ শুবেইরি জানজানি মনে করেন—

মুহাদ্দিস নূরীর বিরুদ্ধে অনেক বিরোধ ও সমালোচনার মূল কারণ তাঁর বই ‘ফাসলুল খিতাব’, যা আসলে ভুলভাবে বোঝা হয়েছে। তিনি কুরআনের বিকৃতিতে বিশ্বাসী ছিলেন না।”

তথ্যসূত্র

১. আয্-যারী’আ, আল্লামা আগা বুজুর্গ তেহরানী

২. উইকি নূর ও উইকি শিয়া

৩. জর’আতি আজ দারিয়া (আয়াতুল্লাহ শুবেইরি জান্জানি), খণ্ড ৩, পৃষ্ঠা ৩২৫।

আরও পড়ুন

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button